সৎকার গাঁথা
-জয় গোস্বামী
[আবৃত্তি শুনতে হলে ক্লিক করুন]
আমরা যেদিন আগুনের নদী থেকে
তুলে আনলাম মা’র ভেসে যাওয়া দেহ
সারা গা জ্বলছে, বোন তোর মনে আছে
প্রতিবেশীদের চোখে ছিল সন্দেহ?
দীর্ঘ চঞ্চু, রোঁয়া ওঠা ঘাড় তুলে
এগিয়ে এসেছে অভিজ্ঞ মোড়লেরা
বলেছে- ‘এ সভা বিধান দিচ্ছে শোনো –
দাহ করবার অধিকারী নয় এরা’।
সেই রাত্রেই পালিয়েছি গ্রাম ছেড়ে
কাঁধে মা’র দেহ উপরে জ্বলছে চাঁদ
পথে পড়েছিলো বিষাক্ত জলাভূমি
পথে পড়েছিলো চুন – লবণের খাঁদ
আমার আঙুল খসে গেছে, তোর বুক
শুঁকিয়ে গিয়েছে তীব্র চুনের ঝাঁঝে
আহার ছিলো না, শৌচ ছিলো না কারো
আমরা ছিলাম শব বহনের কাজে
যে দেশে এলাম মরা গাছ চারিদিকে
ডাল থেকে ঝোলে মৃত পশুদের ছাল
পৃথিবীর শেষ নদীর কিনারে এসে
নামিয়েছি আজ জননীর কঙ্কাল
বোন তোকে বলি, এ অস্থি পোড়াবোনা
গাছের কোটরে রেখে যাবো এই হাড়
আমরা শিখিনি, পরে যারা আছে, তারা-
তারা শিখবে না এর ঠিক ব্যবহার?
সারা গায়ে আজ ছত্রাক আমাদের
চোখ নেই শুধু কোটর জ্বলছে ক্ষোভে
আমি ভুলে গেছি পুরুষ ছিলাম কি-না
তোর মনে নেই ঋতু থেমে গেছে কবে
পূবদিকে সাদা করোটি রঙের আলো
পিছনে নামছে সন্ধ্যার মতো ঘোর
পৃথিবীর শেষ শ্মশানের মাঝখানে
বসে আছি শুধু দুই মৃতদেহ চোর!
Comments (8)
আমি ও বিশ্বস্ত সূত্রে এই মাত্র খবর পেলাম সাহিত্যে বিশাল অবদানের জন্য নোবেল কমিটি এক নুতুন মুখের তরুন সাহিত্যিকের নাম ঘোষনা করেছেন।
দেওয়ান কামরুল হাসান রথী।দৌড় দিয়ে দেখে আসেন তো ।নামটা চেনা চেনা লাগছে কেন?
মুন আপা সাহিত্য কবিতা দিয়ে আপনারা নোবেল পাবেন আর আমি পাবো নোবল।
হাসাইতে হাসাইতে দারুণ চপটোঘাত করিল্যান ভ্রাতা ৷ দেখি ত্যাগো টিকিটা কতখান নড়ে এইবার ৷
জোকার ভাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
রসাত্মক লেখাটা ভাল লাগল। ভাল লাগল আপনি সমাজের একটা দিক তুলে ধরেছেন।
প্রিয় মাসুদ ভাই ধন্যবাদ আপনাকে