জাতিসঙ্গের এক হিসেব মতে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রতিদিন গড়ে ১২০০ মানুষ মারা গিয়েছিল । অর্থাৎ ঘণ্টায় প্রায় ৬০জন আর মিনিটে ১ জন ।
১৯৭১সালে ৩০লক্ষ মানুষের জীবনদান, ২লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি আর ৩কোটি মানুষের গৃহহীন হওয়ার মধ্য দিয়ে মানচিত্রে স্থান নেই "বাংলাদেশ ।"
# পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর কোনো মায়া-মমতা না এ দেশের মানুষের প্রতি । তাদের মতে আমরা অমানুষ । আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত ছিলো তাদের কাছে নিলামে তোলা পণ্যের মতো এবং আরো একটি ধারণা সুস্পষ্ট ছিলো যে, আমাদের মা-বোন'রা ধীরে ধীরে হিন্দু হয়ে যাচ্ছে । অতএব এদের ভোগের পাত্র বানানোই যায় । মানে আমাদের মা-বোনদের ধর্ষণ করা যায়, এতে করে কোনো গোনাহ্ হবে না ।
কিন্তু রাজাকার, আলবদর, আল সামস নামধারী আমাদের দেশের যে নরপুশুরা এ হত্যা কাণ্ড, ধর্ষণ এবং লুটপাটের সাথে জরিত ছিলো তাদেরকে আমরা কি বলবো ???!
এখন এমন একটি অবস্থা যে, রাজাকার বলতে আমরা শুধু একটি দলকে বোঝে থাকি । আবার রাজাকার বিরোধী বলতে বুঝি অন্য আরেকটি দলের মানুষকে । তাহলে রাজাকার বলতে আমরা কি বুঝবো । কে রাজাকার ????
# মার্চ থেকে ডিসেম্বর- ৭১ এর এই ৯মাসে বীর বাঙালি অস্র হাতে নিয়ে দেশ স্বাধীন করে । এতো কম সময়ে শক্তিশালী হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে আনার নজির খুবই কম । হয়তো আরো কম সময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারতো । যদি সে সময় না থাকতো---
* কুখ্যাত শান্তি বাহিনী * জামায়েতে ইসলামি * মুসলিম লীগ * রাজাকার * আলবদর * আল সামস * মুজাহিদ এবং ইস্ট পাকিস্থান সিভিল আর্ম ফোর্সেস ।
# রাজাকার কি ???
দেশ যদি হয় মা___তবে সেই মায়ের সম্ভ্রমহানী করেছিলো তারই কিছু সন্তান । রাজাকার তারাই যারা দেশের সন্তান হয়ে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীকে বাঙালি নিধনে সহায়তা করেছিলো ।
১৯৭১ সালের মে মাসে খুলনার খানজাহান আলি রোডের আনসার ক্যাম্পে ৯৬জন জামায়েতি ইসলামি কর্মীর মাধ্যমে প্রথম গৃণ্য রাজাকার বাহিনী গঠিত হয় । এর আগে এপ্রিল মাসে গঠিত হয় শান্তি বাহিনী । এরপর ধীরে ধীরে আরো বিভিন্ন সংঘটনের ব্যানারে আর জামায়েতি ইসলামের পৃষ্ঠ-পোষকতায় রাজাকাররা শুরু কর মুক্তিমুদ্ধা হত্যা, নারি ধর্ষণ, লুটপাট অগ্নিসংযোগ সহ বিভিন্ন জগন্যতম কাজগুলো ।
এসব রাজাকারদের অত্যাচারের মাত্রা ছিলো তীব্র আকারের । বাঙালি হয়ে বাঙালি হত্যা, নিজ জাতির সঙ্গে বেইমানি, পৃথিবীর মানুষ খুব কম দ্যাখেছে । মায়ের কোল থেকে শিশু কেঁড়ে নিয়ে হত্যা, পুত্রের সামনে মাকে ধর্ষণ, বাবার সামনে কন্যার সম্ভ্রমহানী, ধর্ষণের পড় মেয়ের অঙ্গহানী থেকে শুরু করে পাকিস্থানি হানাদারের জন্য শহর এবং গ্রাম থেকে ধরে আনা এমন কোনো কাজ নেই রাজাকাররা করে নি । ধর্মের নামে এইসব জগন্য কাজগুলো পাকিস্থান রক্ষার্থে ধর্মীয় ভাবে জায়েজ মতে করতো । আর তাই স্বাধীনতার এতোটা বছর পরেও এতো দম্ভ তাদের ।
বাংলাদেশের মানুষ আজ অসহায় । বাংলাদেশের মাটিতে আজ রাজাকাররা প্রতিষ্ঠিত । রক্তই যদি স্বাধীনতার মূল্য হয় তবে বাঙালি জাতি সর্বোচ্চ মূল্য দিয়েছে । আজ আবার জেগে উঠেছে বাংলাদেশ । আসুন আমরা জানতে চাই__এই রাজাকাররা কারা । দেশের জন্য এদের ভূমিকা কী ছিলো । আসুন আমরা খুঁজে বের করি দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে থেকে সঙ্গঘঠিত রাজাকারদের । হোক সে আওয়ামীলীগ হোক সে বিএনপি হোক সে জামাত-শিবির । তাদের পরিচয় শুধু একটাই তারা "রাজাকার ।"
১৯৭১সালে ৩০লক্ষ মানুষের জীবনদান, ২লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি আর ৩কোটি মানুষের গৃহহীন হওয়ার মধ্য দিয়ে মানচিত্রে স্থান নেই "বাংলাদেশ ।"
# পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর কোনো মায়া-মমতা না এ দেশের মানুষের প্রতি । তাদের মতে আমরা অমানুষ । আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত ছিলো তাদের কাছে নিলামে তোলা পণ্যের মতো এবং আরো একটি ধারণা সুস্পষ্ট ছিলো যে, আমাদের মা-বোন'রা ধীরে ধীরে হিন্দু হয়ে যাচ্ছে । অতএব এদের ভোগের পাত্র বানানোই যায় । মানে আমাদের মা-বোনদের ধর্ষণ করা যায়, এতে করে কোনো গোনাহ্ হবে না ।
কিন্তু রাজাকার, আলবদর, আল সামস নামধারী আমাদের দেশের যে নরপুশুরা এ হত্যা কাণ্ড, ধর্ষণ এবং লুটপাটের সাথে জরিত ছিলো তাদেরকে আমরা কি বলবো ???!
এখন এমন একটি অবস্থা যে, রাজাকার বলতে আমরা শুধু একটি দলকে বোঝে থাকি । আবার রাজাকার বিরোধী বলতে বুঝি অন্য আরেকটি দলের মানুষকে । তাহলে রাজাকার বলতে আমরা কি বুঝবো । কে রাজাকার ????
# মার্চ থেকে ডিসেম্বর- ৭১ এর এই ৯মাসে বীর বাঙালি অস্র হাতে নিয়ে দেশ স্বাধীন করে । এতো কম সময়ে শক্তিশালী হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে আনার নজির খুবই কম । হয়তো আরো কম সময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারতো । যদি সে সময় না থাকতো---
* কুখ্যাত শান্তি বাহিনী * জামায়েতে ইসলামি * মুসলিম লীগ * রাজাকার * আলবদর * আল সামস * মুজাহিদ এবং ইস্ট পাকিস্থান সিভিল আর্ম ফোর্সেস ।
# রাজাকার কি ???
দেশ যদি হয় মা___তবে সেই মায়ের সম্ভ্রমহানী করেছিলো তারই কিছু সন্তান । রাজাকার তারাই যারা দেশের সন্তান হয়ে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীকে বাঙালি নিধনে সহায়তা করেছিলো ।
১৯৭১ সালের মে মাসে খুলনার খানজাহান আলি রোডের আনসার ক্যাম্পে ৯৬জন জামায়েতি ইসলামি কর্মীর মাধ্যমে প্রথম গৃণ্য রাজাকার বাহিনী গঠিত হয় । এর আগে এপ্রিল মাসে গঠিত হয় শান্তি বাহিনী । এরপর ধীরে ধীরে আরো বিভিন্ন সংঘটনের ব্যানারে আর জামায়েতি ইসলামের পৃষ্ঠ-পোষকতায় রাজাকাররা শুরু কর মুক্তিমুদ্ধা হত্যা, নারি ধর্ষণ, লুটপাট অগ্নিসংযোগ সহ বিভিন্ন জগন্যতম কাজগুলো ।
এসব রাজাকারদের অত্যাচারের মাত্রা ছিলো তীব্র আকারের । বাঙালি হয়ে বাঙালি হত্যা, নিজ জাতির সঙ্গে বেইমানি, পৃথিবীর মানুষ খুব কম দ্যাখেছে । মায়ের কোল থেকে শিশু কেঁড়ে নিয়ে হত্যা, পুত্রের সামনে মাকে ধর্ষণ, বাবার সামনে কন্যার সম্ভ্রমহানী, ধর্ষণের পড় মেয়ের অঙ্গহানী থেকে শুরু করে পাকিস্থানি হানাদারের জন্য শহর এবং গ্রাম থেকে ধরে আনা এমন কোনো কাজ নেই রাজাকাররা করে নি । ধর্মের নামে এইসব জগন্য কাজগুলো পাকিস্থান রক্ষার্থে ধর্মীয় ভাবে জায়েজ মতে করতো । আর তাই স্বাধীনতার এতোটা বছর পরেও এতো দম্ভ তাদের ।
বাংলাদেশের মানুষ আজ অসহায় । বাংলাদেশের মাটিতে আজ রাজাকাররা প্রতিষ্ঠিত । রক্তই যদি স্বাধীনতার মূল্য হয় তবে বাঙালি জাতি সর্বোচ্চ মূল্য দিয়েছে । আজ আবার জেগে উঠেছে বাংলাদেশ । আসুন আমরা জানতে চাই__এই রাজাকাররা কারা । দেশের জন্য এদের ভূমিকা কী ছিলো । আসুন আমরা খুঁজে বের করি দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে থেকে সঙ্গঘঠিত রাজাকারদের । হোক সে আওয়ামীলীগ হোক সে বিএনপি হোক সে জামাত-শিবির । তাদের পরিচয় শুধু একটাই তারা "রাজাকার ।"
এখন এই রাজাকারদের যদি আমরা ক্ষমা করে দেয়, অথবা ওদের হয়ে কাজ করি তবে জেনে রাখবেন- "প্রকারন্তরে আমরা আমাদের মায়ের সম্ভ্রমহানী নিজেরাই করছি ।" [আস্তাগফিরুল্লাহ্]
Comments (0)
খুবি ভাল লেখেছেন দাদা
শুভ কামনা-------
ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন ।