Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

তারেক জিয়ার ভয়াবহ নাশকতার পরিকল্পনা “অপারেশন এপ্রিল ফুল”

মাহবুবুল আলম

তারেক জিয়ার ভয়াবহ নাশকতার পরিকল্পনা “অপারেশন এপ্রিল ফুল”

৭০ দিন লাগাতার অবরোধ এবং শুক্র-শনি বাদে ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে দেড়মাসের লাগাতার হরতাল করে ১২১ জন নিরীহ মানুষকে পেট্রোলবোমায় পুড়িয়ে মেরে, দশ হাজার গাড়ি পুড়িয়ে, হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গু করে দেশের অর্থনীতির বারটা বাজিয়েও জনসমর্থনের অভাবে সরকারের ঘাম ঝরাতে না পেরে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের মাস্টারমাইন্ড তারেক জিয়া সরকার হটাতে সর্বনাশা পরিকল্পনা“অপারেশন এপ্রিল ফুল”-এর মাধ্যমে বাংলাদেশেনতুনকরেঅস্থিরতাএবং নাশকতাসৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছেন। এ  লক্ষ্যেলন্ডনেতার অনুসারি পরীক্ষিত ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের নিয়ে টানা১৬ঘণ্টাবৈঠক করেছেন তারেক জিয়া একই সাথে তার মা বেগম খালেদা জিয়াকে দিয়ে ঢাকায়  ১৩ মার্চ ২০১৫ সংবাদ ব্রিফিং করিয়েছেন। বেগম জিয়াও পুত্রের কথা মতো সংবাদ ব্রিফিং করে (যেহেতু সাংবাদিকদের সংবাদ সম্মেলনের কথা বলে ঢেকে কোন দিনই বেগম খালেদা জিয়া সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নে উত্তর দেন না; নিজের বক্তব্য শেষ করেই সাংবাদিকদের কোন প্রশ্ন করার সুযোগ না দিয়ে তড়িগড়ি ওঠে দাঁড়ান সে হিসেবে এটাকে কিছুতেই সাংবাদিক সম্মেলন হিসেবে আখ্যায়িত করা যায় না। তাই আমি এটাকে সংবাদ ব্রিফিং বলেছি।) সব নাশকতার দোষ সরকারের ওপর চাপিয়ে দিয়ে তার কথিত আন্দোলন যৌক্তিক পরিনতিতে না পৌঁছানো না পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য তার দলের নিস্ক্রিয় নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। যদিও বেগম জিয়ার সে দিনের সে সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপির ১৫ সদস্য বিশিষ্ট স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে একমাত্র নজরুল ইসলাম খান ছাড়া আর উল্লেখ করার মতো কোন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন না। তবু ‍তিনি সেই গায়েবি ডাকের হরতাল অবরোধ সফল করে শেখ হাসিনার সরকারকে সংলাপে বসার জন্য চাপ সৃষ্টির আহ্বান ও বিদেশী বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। কিন্তু বেগম জিয়া অান্দোলন যৌক্তিক পরিনতি বলতে কি বুঝিয়েছেন তা আমার মতো নালায়েকরা বুঝতে পেরেছেন কি না তা নিয়ে দু’দিন ধরেই সারা দেশে সে ভাষণ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। যাক বেগম জিয়ার ভাষণ বা সংবাদ ব্রিফিং নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনা করা এ লেখার উদ্দেশ্য নয়। উদ্দেশ্য কী তা আমার নিবন্ধের শিরোনাম দেখেই অনেকেই হয়তো বুঝতে পারছেন। তাই ভূমিকা না বাড়িয়ে সরাসরি মূল বক্তব্যে ফিরে যাই।

দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকার খবরে জানা গেছে যে, শেখ হাসিনার সরকারকে করে উৎখাতকরার লক্ষ্যে অস্থিতিশীল করতেলন্ডনে তারেক জিয়ার গোপনে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন।  সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যমতে জানা গেছে যে ওই বৈঠকে বাংলাদেশের অন্তত ১০০টি থানা এবং ১০০টি হাসপাতালে পেট্রোলবোমা এবং গ্রেনেড হামলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়এ সময় তারেক রহমান নাকি মন্তব্য করেন, পেট্রোলবোমা থেরাপি এখন আর কাজ করছে নাএবার যা করতে হবে সরকার পতন ছাড়াগতি নাইএই অপারেশনের নাম দেয়া হয়েছে অপারেশন এপ্রিল ফুলএপ্রিলের ১তারিখে এ হামলার প্রাথমিক তারিখও নির্ধারণ করা হয়েছেঅপারেশন এপ্রিলকে সফলকরতে ৫ জনের একটি দল বাংলাদেশে যাবে এক সপ্তাহের মধ্যেএজন্য ইতোমধ্যে ১০কোটি টাকার একটি বাজেট পরিকল্পনা তৈরি করে বিএনপি ঘরানার বিশিষ্টব্যবসায়ীদের কাছে বার্তা পৌঁছানো হয়েছেসাবেক ছাত্রদল নেতা পারভেজ মল্লিকের বাসায় এই বৈঠকে মঙ্গলবার কাল থেকেমধ্যরাত পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন জুবায়ের বাবু, মাহাদী আমিন, আতাউল্লাহফারুকসহ আরও ৫ জন

খবরে প্রকাশ অপারেশন এপ্রিল ফুলের জন্য ২০০ স্পটে একসঙ্গে ২০০ কর্মী কাজ করবে কোনভাড়াটিয়া দিয়ে এই অপারেশন যেন না করা হয় সে ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছেনতারেক রহমান এজন্য ছাত্রদলের সভাপতি, যুবদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন থেকেবিশ্বস্ত কর্মীদের তালিকা চাওয়া হয়েছে এই ২০০ জনকে মূলত তারেক রহমান নিজেমনিটর করবেন পুরো বৈঠকে ২০০টি স্পটসহ কারা কী দায়িত্বে থাকবে, কত টাকাবাজেট, টাকার যোগাড়এসব বিষয়ে কথা হয় বলে জানা গেছে

এ বিষয়ে লন্ডনভিত্তিক অনলাইন পত্রিকা ‘বিডিপ্যানোরামা’ বিস্তারিত খবর প্রকাশ করে আরও বলেছে ‘হিসাববহির্ভূতভাবেসন্দেহজনকঅতিরিক্তলেনদেনেরকারণে বিএনপিরসিনিয়রভাইসপ্রেসিডেন্টতারেকরহমানেরব্যাংকহিসাবস্থগিতকরেছে ব্রিটিশসরকারনানাকারণেব্রিটিশসরকারেরএকেরপরএকনিষেধাজ্ঞায়পড়তে যাচ্ছেনএকসময়েরহাওয়াভবনেরএইকর্ণধারএদিকেব্রিটেনেরআইনজীবীরা জানিয়েছেন, সেখানে তারেকরহমানেররাজনৈতিককর্মকান্ডে দ্রুতইনিষেধাজ্ঞা আসছেআগামীএকএপ্রিলবাংলাদেশঅচলকরারপরিকল্পনানিয়েলন্ডনেগোপন বৈঠকেরখবরফাঁসহয়েছে

‘বিডিপ্যানোরামা’-র খবরে আরও বলা হয় সরকারেরপতনঘটাতেএপ্রিলের ১ তারিখ দেশের১০০থানাওশতাধিক হাসপাতালেহামলারপরিকল্পনানেয়াহয়েছেদেশের২০০স্পটেদলেরবিশ্বস্ত সন্ত্রাসীরাএইঅপারেশনেঅংশনেবেবলেজানাগেছেঅনলাইনেরখবরেবলাহয়েছেচলতিসপ্তাহেব্রিটিশসরকারেরএকেরপরএক নিষেধাজ্ঞায়পড়ছেনবিএনপিরসিনিয়রভাইসপ্রেসিডেন্টতারেকরহমানএবার তারেকরহমানেরব্যাংকএ্যাকাউন্টস্থগিতকরেছেইউকেএইচএমরেভিনিউহিসাব বহির্ভূতভাবেসন্দেহজনকঅতিরিক্তলেনদেনেরকারণেইব্যাংকহিসাবস্থগিত করেছেব্যাংককর্তৃপক্ষ

জনকন্ঠে প্রকাশিত আরও একটি প্রতিবেদনে ঘটনারবিবরণেজানাযায়, ইউকেবিএনপিরমিডিয়াসেলেরকর্মীতাজউদ্দিনগত সোমবারন্যাটওয়েস্টব্যাংকেরস্ট্রাটফোর্ডব্রাঞ্চেতারেকজিয়ার এ্যাকাউন্টে৫ (পাঁচ) হাজারপাউন্ডক্যাশজমাদিতেগেলেএতথ্যবেরিয়েআসেব্যাংককর্তৃপক্ষ৫ (পাঁচ) হাজারপাউন্ডজমানিতেঅস্বীকৃতিজানায়এবংএই এ্যাকাউন্টটিস্থগিতকরেরেখেছেবলেজানিয়েদেয়বিডিপ্যানোরামারতদন্তে দেখাযায়, তারেকজিয়ারবাৎসরিকসেল্ফএসেসমেন্টেতারআয়-ব্যায়েরযেহিসাব দেখিয়েছেনসেখানেহিসাববহির্ভূতঅধিকলেনদেনেরজন্যইউকেএইচএমরেভিনিউ তারেকেরব্যাংকএ্যাকাউন্টস্থগিতকরেদিয়েছে

বিভিন্ন মিডিয়ায় এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর সারা দেশে বিএনপি তথা তারেক জিয়ার ওপর মানুষের ক্ষোভ ও ঘৃণার মাত্রা কতটা যে বেড়েছে তা বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত মতমত ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দিকে চোখ রাখলেই আরও ষ্পষ্ট হবে। এ নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন-জিয়া পরিবার আসলে কী চায়? কী তাদের উদ্দেশ্য। আর কেনইবা এ দলটি ১২১ জন নিরীহ মানুষকে পেট্রোলবোমায় পুড়িয়ে মেরে, দশ হাজার গাড়ি পুড়িয়ে, হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গু করেও শান্তি পাচ্ছে না। মানুষ এ কথাও বলাবলি করছে যে, জামায়াত-শিবির, বিভিন্ন জঙ্গীগোষ্ঠী ও পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা করেই বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বাসার পরিবর্তে অফিসে ঢুকিয়ে দিয়েছে। তাই এখানেই বসেই খালেদা জিয়া তার ছেলে ও ওইসব গোষ্ঠীর পরমর্শ মতো বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা ও দেশের অর্থনীতির ধ্বংসজ্ঞের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। আর তারেক জিয়া চিকিৎসার নামে লন্ডনে স্বেচ্ছানির্বাসনে থেকে দেশের বিরুদ্ধে একর পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।  

বিএনপির নীতি নির্ধারকদের পরামর্শ না শুনে পুত্র তারেক জিয়ার কথা মতো মানষ হত্যার নৃশংস কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়ার কারণে সেসব নীতি নির্ধারকও এখন বেগম জিয়াকে রীতিমতো এড়িয়ে চলছেন। তাই ১৩ তারিখের সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ মাত্র নজরুল ইসলাম খান ছাড়া আর কোন সিনিয়র নেতাকে দেখা যায়নি। তাদের কথা হলো এভাবে টানা ৭১ দিনের অবরোধ ও দেড়মাসের টানা হরতালে পেট্রোলবোমার নাশকতায় যে ভাবে সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছে তা থেকে অতি দ্রুত বেরিয়ে আসতে না পারলে বিএনপি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। আর বিএনপির ভেতর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অতি ক্ষুদ্র অংশটি মনে করছে, জামায়াত ও জঙ্গীরা বিশাল এনাকুন্ডা হয়ে যেভাবে বিএনপিকে গিলতে শুরু করেছে তাতে পুরোপুরি বিএনপি গিলে ফেলতে হয়তো বেশিদিন সময় লাগবেনা।

এ প্রসঙ্গে একটি কথা বলেই শেষ করবো, বিএনপি প্রধান যত দ্রুত সন্ত্রাসী ও নাশকতার পথ ছেড়ে গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল রাজনীতিতে ফিরে আসতে পারবেন ততই তার নিজের ও দলের মঙ্গল হবে। তা না হলে বিএনপি নামক দলটির শেষ পরিনতি হয়তো দেখতে বেশিদিন অপেক্ষা করতে পারেনা। কেননা, কোন রাজনৈতিক দল নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি ছেড়ে সন্ত্রাস ও নাশকতানির্ভর রাজনীতির মাধ্যমে টিকতে পারে না। এমন নজির পৃথিবীর কোন দেশেই নেই।


 

০ Likes ০ Comments ০ Share ৩৯২ Views