ঘুটঘুটে অন্ধকারে হাজার হাজার জোনাকি মিটমিট করে আলো দিচ্ছে এমন দৃশ্য অতীতে গ্রাম বাংলায় প্রায়ই দেখা যেত। কিন্তু আপনি কি জানেন, জোনাকির এই আলোর জ্বলা-নেভার মাঝে রয়েছে বিশেষ একটি সংকেত? এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
প্রধানত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এলাকায় বাস করে জোনাকি পোকা। জোনাকির উদরে দুই ধরনের রাসায়নিক পদার্থের বিক্রিয়ার ফলে সৃষ্টি হয় এ আলোকদ্যুতির। কিন্তু কিভাবে জোনাকি পোকারা এ আলো জ্বালায় ও বন্ধ করে, বিষয়টি এখনো জানা যায়নি। তবে জানা গেছে, বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণ করতেই তারা এ কাণ্ড করে।
জোনাকির আলো জ্বালানো নেভানোর বিষয়টি যদি লক্ষ করেন তাহলে দেখতে পাবেন প্রত্যেক জোনাকির আলো জ্বলা-নেভার ভিন্ন ভিন্ন সময় রয়েছে। আর এ জ্বলা-নেভার ভিন্নতা সৃষ্টি হয় তাদের প্রজাতিগত ভিন্নতা থেকে।
পুরুষ জোনাকিরা স্ত্রী জোনাকিকে আকর্ষণ করার জন্য অন্ধকারে ঝোপ-জঙ্গলে তাদের আলো জ্বলা-নেভা করে। এ সময় কোনো স্ত্রী জোনাকি সেই আলো দেখে আকর্ষিত হয় এবং পাল্টা আলো জ্বলা-নেভা করে তার উত্তর দেয়। এভাবে স্বাভাবিক কার্যক্রম চললেও মাঝে মাঝে এ আলো তাদের জন্য ফাঁদ হয়ে ধরা দেয়। কারণ অনেক জোনাকি আবার এ আলো দেখে আকর্ষিত হয়ে গিয়ে দেখে, ডেটিংয়ের বদলে সেখানে অপেক্ষা করছে মৃত্যু। অনেক জোনাকি তাদের উদরপূর্তির জন্যও এ কৌশল কাজে লাগায়।
Comments (1)
বিজয়ী সকলকে আমাদের অভিনন্দন, ও সকল অংশগ্রহনকারীকেও আমাদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
নক্ষত্র ব্লগে বিজয়ী হিসেবে নামটি দেখে খুব ভাল লাগল। সকল ব্লগারদের শুভেচ্ছা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ নক্ষত্র ব্লগ, বিচারকমণ্ডলী, পাঠক এবং সবাইকে। ফেসবুকে কার যেন এক পোষ্ট দেখে এখানে এসেছিলাম। পাঠক মন্তব্য এবং ভোট দেখার কিছুটা সুযোগ হয়েছে। বিচারকদের ব্যাপারে সে সুযোগ হয়নি। বিচারক মণ্ডলী যখন লেখাগুলো পড়েন, তাদের নিজস্ব কিছু মতামত (প্রশংসা বা পরামর্শ) থাকে, সেগুলোকে আমি খুব মিস করি। নাম্বার ধরে ধরে নিজেকে মূল্যায়ন করাই কী যথার্থ মূল্যায়ন? আমার লেখনীর স্ট্রং পয়েন্ট কোথায়, দূর্বলতা কোথায়, কেন লেখাটা নির্বাচিত হলো/ কেন হলো না- সেগুলো জানাওতো দরকার। বিচারকরা সেটা ধরিয়ে দিলে একটা পূর্নাঙ্গ প্রতিযোগিতা এবং ফলাফল মনে হয়। বিজ্ঞ বিচারকদের এবং আপনাদের কাছে প্রত্যাশা এইটুকু থাকতেই পারে। নিরন্তর শুভকামনা
আপনার সাথে আমি একমত ।