গুড়ের ফোঁটা-৩
সম্ভবত আইনস্টাইন (ভুলও হতে পারে) বলেছিলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানুষ যা শেখে তার সবটুকু ভুলে যাবার পর যেটুকু মনে থাকে সেটুকুই হলো শিক্ষা। কথাটি জেনেছি খুব বেশিদিন আগে নয়। জানার পর খুব উৎফুল্ল হয়েছিলাম। যাদের সার্টিফিকেট একটু দুর্বল তাদের জন্য তো’ উক্তিটি খুব এবং খুবই উৎসাহের। মাঝ বয়সে এসে এই উক্তিটি জানার পর মনে হলো বুকের উপর চেপে বসা বিশাল এক ব্যর্থতার পাথর আচমকাই নেমে গেলো। খুব হাল্কা লাগলো নিজেকে। ইদানীং খুব ফুরফুরেই আছি।
কিন্তু কথাটির মধ্যে সত্যিই ভাবার মতো বিষয়ও খুব জোরালো। তাহলে শিক্ষা বলতে তিনি কোন বিষয়টির উপর জোর দিয়েছেন আসলে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ভুলে গেলে কোন শিক্ষাটি তবে মানুষের মনে পাথেয় হিসেবে গেঁথে থাকে শেষ পর্যন্ত। কী সেই শিক্ষা, জ্ঞান কিংবা বিদ্যা যাকে ভিত্তি করে সত্যিই মানুষকে শিক্ষিত, জ্ঞানী কিংবা বিদ্যান বলা যেতে পারে।
এই ভাবনাটি যে শুধুই আমি একা ভাবছি এমনটি বলছিনা। উক্তিটি হয়তো অধিকাংশই জেনেছেন আরো অনেক আগে এবং অনেক আগে থেকেই হয়তো অধিকাংশ মানুষই এই বিষয়গুলো নিয়ে ভেবেছেন। আমার সমস্ত ভাবনার ভেতরে বারবার যে বিষয়গুলো এসেছে তা’ হলো তিনি হয়তো মানুষের সৃজনশীলতা ও মানবতা-বোধের শিক্ষার কথাই আসলে বলতে চেয়েছেন। অন্তত আমার কাছে উক্তিটির তাৎপর্য এখানেই।
মানুষ যদি কর্মে ও চিন্তায় সৃজনশীলতার পরিচয় না-ই দিতে পারলো কিংবা মানুষ যদি মানবতাই অর্জন করতে পারলো না তাহলে কী লাভ বড় বড় প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি অর্জন করে এবং বড় বড় প্রতিষ্ঠানের বড় বড় পদ-এ আসন লাভ করে। প্রকৃতপক্ষে কর্ম ও চিন্তায় সৃজনশীল ও মানবতা-বোধে উজ্জীবিত মানুষই প্রকৃত মানুষ।
যে উক্তিটি দিয়ে শুরু করেছি সেটি যে প্রকৃতপক্ষেই আইনস্টাইন-এর এ বিষয়ে আমি পুরোপুরি নিশ্চিত নই এবং লেখাটি শুরু করার আগে সেটি যাচাই করে দেখারও চেষ্টা করিনি। আসলে আমার কাছে উক্তিটিই মুখ্য এবং সেটি যে সর্বজন স্বীকৃত কোনো মনিষীই করেছেন এ বিষয়ে আমি ষোলো আনাই নিশ্চিত। ঠিক এই উক্তিটির মতোই আরো একটি তত্ত্ব বা কনসেপ্ট নিয়ে আজ কিছু কথা বলতে চাই (কিন্ত তত্ত্বটি কার কিংবা কোন শাস্ত্রে এটি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সে বিষয়েও আমি নিশ্চিত নই)। কনসেপ্ট-টি সম্ভবত ম্যানেজমেন্ট বা ব্যবস্থাপনা শাস্ত্রের হতে পারে। আসলে কিছু কিছু মতবাদ, কনসেপ্ট বা তত্ত্ব মানুষের মনে গেঁথে থাকে আজীবন এবং সেটি নিজের বাস্তব জীবনের বিভিন্ন ধাপের সাথে মিলিয়ে মিলিয়ে সে বা তারা জীবন পথে আগুয়ান হয়। ঠিক সে রকমই এই তত্ত্ব বা কনসেপ্ট-টি দ্বারা ব্যক্তিগত ভাবে আমি খুব প্রভাবিত। জীবনের ঘাত প্রতিঘাতে এই তত্ত্ব-টি আমাকে ধৈর্য ও স্থিরতা নিয়ে পথ চলতে খুব সাহায্য করে। তাই তত্ত্ব-টি নিজের মতো করে বিশ্লেষণের একটা প্রয়াস আমার আজকের আলচনায় চালাতে চাই।
তত্ত্ব-টির মূল কথা হলো কোনো একটা অরগানাইজেশান বা সংগঠনের যাত্রা লগ্ন থেকে শুরু করে সফলতার সাথে চলমান থাকা অবস্থায় যাওয়া পর্যন্ত তাকে মূলত ৪-টি ধাপ অতিক্রম করে এগুতে হয় (১.Forming, ২.Storming, ৩.Norming এবং ৪.Performing)। আমার কাছে এটি শুধুমাত্র সংগঠন বাঅরগানাইজেশান-এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বলে মনে হয়নি। আমার কাছে বিষয়টিকে মনে হয়েছে আরো ব্যাপক। সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তো বটেই ব্যক্তি জীবন, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র কিংবা পারস্পরিক সম্পর্কের শুরু ও সফলতায় বিরাজমান ও চলমান থাকা অবস্থা পর্যন্ত যাওয়ার ধাপ গুলোকেও এই ৪-টি ধাপে মিলিয়ে আমরা ভাবতেই পারি। আর সেটি যদি সত্যিই আমরা ভাবি তাহলে আমাদের ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক জীবনে চলাটা আরো সুশৃঙ্খল, সহজ ও সাবলীল হবে বলেই আমার বিশ্বাস। আর সেজন্যেই আমার আজকের এই প্রয়াস।
(১)Forming: বিষয়টি আসলে খড়কুটো জড়ো করে পাখির বাসা বানানোর মতোই। মূল বিষয় হলো সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে আনুষঙ্গিক বা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, উপকরন কিংবা চিন্তা ও তথ্যের আয়োজন বা সমাবেশ ও সমন্বয় সাধন। হৈ হল্লা করে না হলেও সুশৃঙ্খল ও সুচিন্তিতভাবেই ধাপটি অতিক্রম জরুরি। ধরুন আপনি একটা সোয়েটার গার্মেন্টস শিল্প গড়ে তুলে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবসা দাঁড় করাতে চান। তাহলে প্রথম ধাপে আপনাকে যেগুলো করতে হবে তা হলো জমি কেনা থেকে শুরু করে ইমারত নির্মাণ, মেশিনপত্র কিনে এনে সেগুলোর সুশৃঙ্খল স্থাপনা, কর্মী নিয়োগ, দাপ্তরিক ও বিভিন্ন বিভাগীয় দায়িত্ব বন্টন এবং যাত্রা শুরু করা।
কেউ যদি একটা ভালবাসার সম্পর্কে জড়াতে চায় কিংবা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সংসার পাততে চায় (হতে পারে কেউবা লিভ টুগেদার করতে চায়) সেখানেও এই ধাপটি গুরুত্বপূর্ণঃ সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে Forming Stage-টি অতিক্রম করা। সংসার পেতে এক ছাদের তলায় বসবাস করতে হলে অবশ্যই আবাসন নিশ্চিত করতে হবে, থালা বাসন, হাঁড়ি পাতিল, গ্যাসের চুলা (অন্তত ম্যানুয়াল হলেও), প্রাথমিক কিছু আসবাব পত্র (অন্তত যেগুলো না হলেই নয়) ইত্যাদির সন্নিবেশ অবশ্যই ঘটাতে হবে। এই ধাপটি সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
(২)Storming: যাত্রা শুরু করার পরেই সোয়েটার ফ্যাক্টরীটি, প্রেমিক যুগল, নব দম্পতি কিংবা এক ছাদের তলায় লিভ টুগেদার বা একত্র বাসের জীবনে অবধারিত ভাবেই নেমে আসবে একটা ঝড়। আসবেই। কোনো মাফ নেই।
আপনি সোয়েটার ফ্যাক্টরীটি সফলভাবে চালু করার পর পরই অবশ্যম্ভাবী ভাবে কিছু অনাকাঙ্খিত বিষয়ের সম্মুখীন নির্ঘাত হবেন (সেটি বা সেগুলো ছোটও হতে পারে আবার বড়ও হতে পারে)। যেহেতু নিশ্চিত ভাবেই অনাকাঙ্খিত বিষয় আসবে সেহেতু সেগুলোকে বিপদ বা বিপর্যয় হিসেবে না দেখে চলমান প্রক্রিয়ারই একটি অবধারিত বাস্তব অংশ হিসেবে দেখে ঠান্ডা মাথায় বিচক্ষণতার সাথে মোকাবেলা করাই হবে সর্বোত্তম পন্থা। ধরুন আপনার ফ্যাক্টরী যাত্রা শুরু করার পর পরই এমন কোনো যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হলো যা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়োগ দেয়া সাধারণ মেকানিকস দ্বারা মেরামত করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তখন বিচলিত না হয়ে যথা দ্রুত কিছু মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেবার বিষয়টিই আপনাকে সমাধানের দিকে নিয়ে যাবে। অথবা যাত্রা শুরুর কিছু দিনের মাথায় দেখা গেলো ফ্যাক্টরীতে মজুরী কাঠামোকে কেন্দ্র করে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি হলো। এখানেও বিচলিত বা হতাশ হবার কোনোই প্রয়োজন নেই। গুরুত্বের সাথে ভেবে দেখা দরকার যে প্রাথমিকভাবে নির্ধারিত মজুরী কাঠামোয় সত্যিই কোনো দুর্বলতা থাকলেও থাকতে পারে। ঝড় দেখে আত্ম-হননের পথ বেছে না নিয়ে বাঁচার পথ খোঁজাটাই হবে বিচক্ষণতার পরিচায়ক।
একইভাবে সংসার যাত্রার প্রথম সকালেই আসতে পারে দুর্যোগ। ধরা যাক কোনো একজন পুরুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবার পূর্বে আমাদের আলোচনার প্রথম ধাপের মতোই তার কর্মস্থলের আশেপাশে একটি বাসা মোটামুটি গুছিয়ে বিয়ে করতে গেছেন গ্রামের বাড়ীতে। বাসর রাত শেষে প্রথম ভোরে তার প্রিয়তমা স্ত্রী একটু দেরীতে ঘুম থেকে জাগলো এই প্রত্যাশা নিয়ে যে উৎসব মুখর প্রথম সকালটায় তার বা তাদের জন্য নাস্তা হয়তো তৈরিই আছে। অন্যদিকে শ্বশুর শাশুড়ি বা দেবর ননদ অপেক্ষায় আছে আজ সকালটায় সবাই মিলে নতুন বউয়ের রান্না করা নাস্তা পেট পুরে খাবে। এভাবেও সংসার যাত্রায় ঝড়ের সূত্রপাত হতে পারে। কিন্তু এই ঝোড়ো অবস্থার মোকাবেলাটা চাই অবশ্যই ঠান্ডা মাথায়। আবার এমনটিও হতে পারে স্বামী-স্ত্রী বৈবাহিক অনুষ্ঠানাদি সেরে যখন নিজেদের ভাড়া বাসায় উঠলো (এক ছাদের তলায়) তখন স্বামীর নব জীবনে পদার্পণে আনাড়ি হাতে গোছানো সংসার স্ত্রীর হয়তো ঠিক আশানুরুপ বা স্বপ্নে সাজানো সংসারটির মতো হলো না। চুলাটি ম্যানুয়াল, থালা বাসন সবই সংখ্যায় এবং মূল্যে কম, ফ্রিজ নেই, ওভেন নেই, সোফা নেই কিংবা একটি বুক শেলফে তাকে তাকে সাজানো বই কিংবা ঘরে একটি ফুলদানিও নেই। তার এই স্বপ্নভঙ্গ-টিকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখে ঝগড়া-র ঝড় তুললে অবশ্যই বিপদ ডেকে আনা হবে জীবনে। বরং উচিত হবে এই নেই অবস্থায় বসে আগামীর জন্যে নতুন স্বপ্ন দেখে একসাথে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের সঙ্কল্পে বা আশ্বাস বুকে নিয়ে পথ চলা।
(৩)Norming: দ্বিতিয় বা অবশ্যম্ভাবী ঝোড়ো অধ্যায়টি যদি ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সাথে পারি দেয়া যায় তাহলে অবশ্যই ঝড় থেমে সব শান্ত হয়ে আসবে এই ধাপে এসে। আপনার সোয়েটার ফ্যাক্টরীটি যান্ত্রিক ত্রুটি থেকে রেহাই পাবে অথবা শ্রমিক অসন্তোষও ক্রমে শান্ত হয়ে আসবে। আপনি অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ফ্লোর-এ ফ্লোর-এ হেঁটে দেখবেন আপনার ফ্যাক্টরী সুন্দর ভাবেই চলছে।
একইভাবে দেখা যাবে নব-দম্পতির মুখের হাসি। অভাবের সংসার কিংবা অনেক অনেক নেই-এর সংসারও দিব্যি সুন্দরভাবে চলছে (যেনো প্রতিদিনই তাদের চড়ুইভাতি)। আসলে দ্বিতীয় ধাপটি সুন্দরভাবে অতিক্রমের ফল স্বরুপ তৃতীয় ধাপের এই শান্তি অবশ্যই দৃশ্যমান হবে।
(৪)Performing: এই ধাপটি হলো সুখের পরে সুখ। শান্তির পরে আরো শান্তি এবং উত্তরোত্তর উত্থানের জোয়ারের এই ধাপ। প্রথম তিনটি ধাপে সৃজনশীল ও বিচক্ষণ থেকে যিনি বা যারা দক্ষ মাঝির মতো অবিচল থেকেছেন তিনি বা তাদের জন্য এই ধাপ হলো চরম ও পরম সুখের।
আপনি যদি সত্যিই প্রথম তিনটি ধাপে বিচক্ষণতা ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে থাকেন তাহলে এই পর্যায়ে এসে আপনি পাবেন অফুরন্ত স্বস্তি ও সফলতার সুখ। আপনি তখন আন্তর্জাতিক বাজারে একের পর এক শিপমেন্ট দিতে থাকবেন নির্বিঘ্নে। আপনি মনোযোগ দিতে পারবেন ফ্যাক্টরী-টির কমপ্লায়েন্স ব্যবস্থা আরো জোরালো করায়, ভাবতে পারবেন ফ্যাক্টরীর সামনে একটা বাগান করার কথা কিংবা অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা জোরালো করার কথাও আপনি তখন ঠান্ডা মাথায় ভাবতে পারবেন। আপনার মানবিকতাবোধও এই ধাপে এসে জাগ্রত হবার সুযোগ পাবে। দেখা যাবে আপনি হয়তো আপনার কর্মীদের বছরে বছরে ভালো ইনক্রিমেন্ট দিচ্ছেন কিংবা প্রফিট বোনাস দেবার সুযোগও আপনার তখন হচ্ছে। আর এভাবেই যদি চলে আপনি অবশ্যই একজন খ্যাতিমান ও সফল ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত হবেন; যার ফল আপনার পরিবারও ভোগ করবে।
ঠিক এভাবেই প্রথম তিনটি ধাপ ধৈর্য, পারস্পরিক সমঝোতা সর্বোপরি বিচক্ষণতার সাথে পারি দেয়া দম্পতিও এই পর্যায় বা ধাপে এসে অনাবিল সুখের মুখ নিশ্চয়ই দেখবে। দেখা যাবে তারা একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে খুব সুখে শান্তিতে দিনাতিপাত করছে। দেখা যাবে ম্যানুয়াল চুলার বদলে আসছে অটো চুলা ও ওভেন, ফ্রিজ আসছে, শেলফে প্রিয় বইগুলো দিন দিন বেড়েই চলেছে, সোফা হচ্ছে, টি টেবিল হচ্ছে, ফুলদানিতে প্রতি সন্ধ্যায় আসছে নতুন নতুন ফুল কিংবা জানালায় ঝুলছে বাহারি পর্দা। এভাবেই উত্থান আসে। এভাবেই উত্থান আসবে এবং আসবেই। ঠিক এমন একটা সংসারে যখন জন্ম নেবে কোনো নতুন শিশু (হোক না সে কন্যা কিংবা পুত্র) সে অবশ্যই পাবে তার বেড়ে ওঠার উপযুক্ত ও অতি সহায়ক একটি চমৎকার পরিবেশ। সমাজ ও দেশও পাবে তার ভবিষ্যতের সু-নাগরিক (কর্ণধারও হতে পারে)। এই দম্পতি-র অর্থাৎ স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ের বাবা-মাও তাদের সন্তানের সুখের সংসার দেখে বৃদ্ধ বয়সে উজ্জ্বল ও আনন্দিত মুখ নিয়ে শান্তিতে মৃত্যুর প্রহর গুনতে পারবেন।
কথা বাড়াতে চাই না। আসলে মানুষ যদি মানবতাবোধ ও সৃজনশীলতা নিয়ে বিচক্ষণতার সাথে নিজের জীবনকে ধাপে ধাপে ভাগ করে নিতে পারে এবং ধৈর্য সহকারে সেগুলো অতিক্রম করতে পারে তাহলে তার বা তাদের জীবনে সুখ আসতে বাধ্য। পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র এমনকি আন্তর্জাতিক জীবনেও একই কথা প্রযোজ্য। আমরা মানবতাবোধে উজ্জীবিত সৃজনশীল ও সফল মানুষের পৃথিবী দেখতে চাই।
Comments (14)
ভাল লিখেছেন সরোয়ার ভাই।
খুব সুন্দর ভাবনাময় কবিতা
খুব সুন্দর কবিতার ভাবনা, খুব সুন্দর কবিতার কথাগুলো।