Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

Md. Nuruzzaman Bappi

৯ বছর আগে

কম্পিউটারের নীল আলো থেকে চোখ রক্ষা হবে যেভাবে...

কম্পিউটার এখন অধিকাংশ মানুষেরই কাজ আর অবসরের সঙ্গী। এ যন্ত্রটি ব্যবহারের কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। কম্পিউটার থেকে বের হওয়া ক্ষতিকর নীল আলো চোখের জন্য মারাত্মক সমস্যা তৈরি করতে পারে। একটানা কম্পিউটার ব্যবহারে ডিজিটাল আই স্ট্রেইন বা কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোমের মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে। মাথাব্যথা, চোখ ব্যথা, চোখে পানি ঝরা বা শুষ্কতা, ফোকাস নষ্ট হওয়ার বিষয়গুলো ডিজিটাল আই স্ট্রেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে আশার কথা হচ্ছে, মার্কিন চিকিত্সকেরা বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন যা কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম বা এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে সাহায্য করতে পারে।




কম্পিউটারে ধুলো, ময়লা কিংবা আঙুলের ছাপ পড়তে দেবেন না। ধুলা ময়লা পরিষ্কার করে ফেলুন। কারণ এগুলোর কারণে স্ক্রিনে কোনো কিছু পড়তে চোখের সমস্যা হয়। যদি পরিষ্কার করার অভ্যাস না রপ্ত হয় তবে এর কারণে আপনাকে খেসারত দিতে হবে। ধুলা জমা স্ক্রিন দীর্ঘদিন ব্যবহারের অভ্যাসের ফলে ‘ক্রনিক হেডেক’ দেখা দিতে পারে। প্রতিদিন তাই একবার করে কম্পিউটারের স্ক্রিন পরিষ্কার করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

সঠিক আলোর ব্যবহার

অভ্যন্তরীণ কোনো উজ্জ্বল আলো বা সরাসরি সূর্যের আলো কম্পিউটারে পড়লে তা চোখ ব্যথার কারণ হতে পারে। কম্পিউটারকে এমনভাবে রাখতে হবে যাতে ঘরের জানালা বরাবর কম্পিউটারের অবস্থান না হয়। মাথার ওপর সরাসরি ফ্লুরোসেন্ট বাতি এড়িয়ে চলা ভালো।

সহজে পাঠযোগ্য ফন্টের ব্যবহার

চোখ ব্যথার কারণ হতে পারে কম্পিউটার ব্যবহারকম্পিউটার স্ক্রিনে পড়ার জন্য খুব ছোট ফন্ট ব্যবহার করবেন না। চোখের কষ্ট হয় এমন ফন্ট বাদ দিয়ে চোখের জন্য আরামদায়ক ফন্ট নির্বাচন করুন।

নিয়মিত চোখের পলক ফেলা

কম্পিউটার স্ক্রিনের কারণে আমরা চোখের পলক ফেলতে ভুলে যাই। কম্পিউটারে কাজের সময় নিয়মিত বিরতিতে চোখের পলক ফেললে চোখে ময়েশ্চার তৈরি হয় যা চোখের শুষ্কতা দূর করে। চোখ যদি বেশি চুলকায় বা বেশি শুষ্কতা দেখা যায় তবে ডেস্কটপের পরিবর্তে ল্যাপটপ ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ নিচের দিকে চোখ গেলে চোখে ময়েশ্চার তৈরি হয়।

২০-২০-২০ নিয়ম

চোখ সুরক্ষার জন্য একটি নিয়ম হচ্ছে ২০-২০-২০। এতে প্রতি ২০ মিনিট পর পর, ২০ ফুট দূরত্বের কোনো জিনিসের দিকে ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকতে হয়। কম্পিউটার স্ক্রিনের দিকে এক নাগাড়ে তাকিয়ে থাকা ক্লান্ত চোখ বা কোনো কাজ করার সময় দৃষ্টি সরানোর সুযোগ না পেলে এই নিয়ম মেনে চলা উচিত। গবেষকেরা বলেন, চোখের বিশ্রামের জন্য ২০-২০-২০ নিয়মটি মেনে চললে চোখে যথেষ্ট আর্দ্রতা থাকে এবং চোখের ওপর চাপ কমে।

চোখ পরীক্ষা করা

যাঁরা কম্পিউটারে কাজ করেন তাঁদের প্রতিবছর অন্তত একবার চোখ পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। চোখ পরীক্ষা পুরো শরীর পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ। স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, টিউমারের মতো সমস্যাগুলো চোখ পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা যেতে পারে। চোখ পরীক্ষার সময় কতক্ষণ কম্পিউটার ব্যবহার করেন সেটা চিকিত্সককে জানাতে হবে।

ডেস্কটপে সমস্যা হলে ল্যাপটপ কাজে লাগাতে পারেনকম্পিউটার উপযোগী গ্লাস ব্যবহার করুন

খরচ বেশি হলেও চোখের জন্য কম্পিউটার গ্লাসে বিনিয়োগ করা যায়। কম্পিউটার গ্লাসের ব্যবহারে ঘাড়, পিঠ, চোখ সুরক্ষিত থাকে। অ্যান্টি গ্লেয়ার কোটিং কম্পিউটার থেকে নির্গত আলো থেকে সুরক্ষা দেয়। তবে চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া কম্পিউটার গ্লাস ব্যবহার করা উচিত নয়।

সবুজ শাকসবজি খাবেন

চোখ ভালো রাখতে হলে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। টাটকা সবুজ শাকসবজি, হলুদ ফলমূল যেমন গাজর, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি খেতে হবে। পাকা আম চোখের জন্য উপকারী।

১৫ মিনিট বিরতি

কাজের ফাঁকে ফাঁকে চোখের জন্য ১৫ মিনিটের বিরতি নেবেন। এ সময় চোখের দৃষ্টি ঘরের বা অন্য কোনো দিকে রাখবেন। এতে ফোকাসিং পেশি কিছুক্ষণ বিরতি পাবে।

চোখের ব্যায়াম

দু হাতের তালুর মাঝে কিছুক্ষণ চোখ ঢেকে রাখুন। এরপর ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন এবং চোখের পেশি শিথিল করুন। একে চোখের যোগ ব্যায়াম বলে। কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের চোখকে প্রশান্তি দিতে এটি ভালো উপায়। এসময় ঘাড় ও পিঠও হাত দিয়ে হালকা মেসেজ করতে পারেন।

চোখের ওষুধ

ভিটামিন এ, সি, ই, বি কমপ্লেক্স ও জিংক চোখের স্বাস্থ্য সুরক্ষার গ্রহণ করা যেতে পারে। চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী হোমিওপ্যাথিও সেবন করা যেতে পারে।

১ Likes ০ Comments ০ Share ৬৫২ Views

Comments (0)

  • - রব্বানী চৌধুরী

    চমৎকার লেখনী, 

    আপনার প্রথম পোষ্টটির জন্য আপনাকে অভিনন্দন।  নিয়মিত লিখবেন, শুভেচ্ছা জানবেন। ভালো থাকবেন।

    - নুসরাত জাহান আজমী

    নিয়মিত লিখুন। শুভেচ্ছা আপনাকে। emoticons

         

    • - নূরুল্লাহ মারূফ

      emoticons ধন্যবাদ আপনাকেও ৷ উৎসাহ লেখনীর ক্ষেত্রে অনেক বড় একটা সহায়ক ৷