বর্তমানটা কিছু সময় পর অতীত হবে আর বর্তমানের সব ধরণের কাজ কারবার ভবিষ্যতের জন্য সাইট ইফেক্ট হিসাবে তৈরি হবে । তার মানে দাঁড়াল আমরা অতীত এবং বর্তমান বলতে কিছু তৈরি করতে পারি না । বর্তমানের গতিবেগ ভবিষ্যতের লক্ষ্যমাত্রা আর অতীতের জন্য নিছক একটা ইতিহাস । আবার সেই ইতিহাসটাই হবে ঐতিহ্য ।
আমার টপিকটা হচ্ছে ঐতিহ্য কীভাবে তৈরি করা যায় ।
ধরুন শহর -নগর-বন্দর - প্রত্যন্ত অঞ্চল মিলে হাজার খানেক তরুণ সিদ্ধান্ত নিল আজ থেকে তারা কোন নারীকে ইভটিজিং করবে না বা হায়েনার মত ঝাপিয়ে পড়বে না। জবর দখল করবে না কারো পৈতিক সম্পত্তির উপর অথবা লুটপাট করবে না কোন বৃদ্ধ মায়ের বয়স্ক ভাতা । আরেকজনের কন্ঠ কে চাপাতির আঘাতে রুদ্ধ করে দিবে না । সংস্কৃতি রক্ষার নামে অন্ধ তন্ত্রের ভক্ত হবে না । শিক্ষার নামে ব্যবসা চালাবে না । কাউকে আঘাতের জন্য ধর্মকে হাতিয়ার বানাবে না । এভাবে চলল দশ বছর প্রশিক্ষণ কাল । প্রশিক্ষণ শেষে সবাই এপ্লাস মার্ক।
এবার প্রজেক্ট ফ্যামিলি । তারা সবাই তাদের ফ্যামিলির সব সদ্যস্যকে এভাবে চলার জন্য উদ্বুদ্ধ করল । গড়ে যদি পাঁচ সদ্যস্য বিশিষ্ট পরিবার হয় তাহলে পাঁচ হাজার মানুষ । প্রশিক্ষণ কাল দশ বছর পর সবাই এপ্লাস মার্ক যোগ্য।
এবার প্রজেক্ট বন্ধু । একজন মানুষ যদি গড়ে তার দশ জন বন্ধুকে দশ বছর তৈরি করে নিতে পারে । তাহলে দশ বছরে তার সংখ্যা দাড়াই পঞ্চাশ হাজার মানুষ । এভাবে লুপিং হবে প্রজেক্ট ফ্যামেলি থেকে প্রজেক্ট বন্ধু। এবার পঞ্চাশ বছর পর হিসাব করেন পঁচিশ লক্ষ মানুষ।ভয় পাচ্ছেন তখন দেশের জনসংখ্যা কত হবে তা নিয়ে ? আমার বিশ্লেষণে পঁচিশ কোটির বেশী হওয়ার কথা না ।আর একটু অন্য ভাবে চিন্তা করে দেখেন পঁচিশ কোটি মানুষের জন্য পঁচিশ লক্ষ ডাক্তার হলে চিকিৎসা খাতের কি অবস্থা হবে এটা আবার যেমন তেমন ডাক্তার না এপ্লাস মার্ক পাওয়া মানে ইবোলা , বোরবন মত ভাইরাসকে বর্ডারে গেইট পাশ নিয়ে ঢুকতে হবে।আর ইঞ্জিনিয়ার হলে তো ইমারতের নান্দনিকতা, প্রযুক্তির মিরাকল দেখার জন্য প্রতিদিন কি পরিমাণ পর্যটক আসবে তা আর কিয়াস করলাম না।
পঁচিশ লক্ষ মানুষ পঁচিশ লক্ষ মনস্তাত্ত্বিক গেরিলা একটি মনস্তাত্ত্বিক বিপ্লব। আমাদের বদর যুদ্ধের ইতিহাস তো সবার জানা ।সব বিল্পবীর লক্ষ যখন একটাই সেখানে মঞ্জিলে মকসুদে পৌঁছানো কেবল সময়ের ব্যাপার।শুরুটা আপনি করেন দেখবেন পিছনে আরো ৯৯৯ জন।পঞ্চাশ বছর পর নিউ ইয়র্ক টাইমসের হেডলাইন "পৃথিবীতে একমাত্র বসবাস যোগ্য দেশ বাংলাদেশ"
Comments (0)
আমির হোসেন ভাইয়ের বিজয়ী পুরস্কার প্রতিনিধিস্বরুপ গ্রহণ করায় বইটি এখন আমার কাছে আছে। পড়ার ইচ্ছা আছে।
ধন্যবাদ। পড়ে যদি বিশদ একটা সমালোচনা লেখেন তো আরো ভালো হবে।
প্রতিষ্ঠিত লেখকদের পাশাপাশি আমার নিজেরও দুটি অণুগল্প স্থান করে নিয়েছে বইটিতে। খুব ভালো লাগছে।
প্রত্যাশা বইটি পাঠকগণ গ্রহণ করবেন।
বাদশা ভাই ধন্যবাদ আলোকপাত করার জন্য।