ক্যামেরা হাতে ঘুরতে বেড়োনোটা আমার স্বাভাবিক কাজের মধ্যে একটা । এমনি একদিন ঘুরতে বেড়িয়ে দেখতে পেয়েছিলাম । আখ থেকে কিভাবে গুড় তৈরী করে । আজকে আমার মিঠে পোষ্ট আসলে সেই গুড় কিভাবে তৈরী করে তারই ফটোব্লগ ।
কৃষকরা ক্ষেত থেকে আখ কাটছে.........
তারপর আখ মারাইয়ের মেশিনে এনে ফেলছে ।
আখ থেকে মেশিনের সাহায্যে নিংড়ে রস বের করে নেইয়া হচ্ছে ।
নিংড়ানো রস এসে জমা হচ্ছে মাটি খুঁড়ে ওখানে বসানো ড্রামে ।
সেই রস এনে ঢালা হচ্ছে বড় করে কড়াই তে, যা চুলার উপর বসানো ।
চুলায় আগুন জ্বালানোর পর রসের সাথে থাকা ময়লাগুলো উপরে ভেসে উঠছে, আর ওগুলো জাল দিয়ে ছেকে উঠানো হচ্ছে ।
ছেঁকে উঠানো ময়লা ফেলার ড্রাম, এগুলো ও পরে অন্য একটা কাজে লাগে ।
রসে যত জ্বাল দিচ্ছে ততই আস্তে আস্তে লাল রঙ ধারণ করছে ।
এক পর্যায়ে লাল হয়ে উপচে পড়ার চেষ্টা করছে, আর ওগুলো যাতে উপচে পড়তে না পারে তার জন্য লম্বা কিছু লাঠি দিয়া অনবরত ওদেরকে পেটাতে হচ্ছে ।
এই পর্যায়ে এর সুবাস আপনাকে সত্যিই আমোদিত করবে ।
তুলির শেষ আচড়......
এবার চুলা থেকে নামানোর পালা ।
চুলার পাশেই চারটা খুটির উপরে একটু কাত করে পাত্রটা রাখা হয় যাতে তৈরী গুড়টা নামিয়ে নিতে সুবিধা হয় ।
একটু নাড়াচাড়া করে কিছুটা ঠান্ডা করে নেওয়া.......
এবার মাটির পাত্রে সরিয়ে নেওয়া..........
আর কড়াই থেকে আঙুলের মাথায় একটু নিয়ে চেটে খাওয়ার যে কি মজা সেটা এদের চেয়ে ভালো আর কে জানে ?
এবার ঘরে ফেরা...........
Comments (21)
কিশোরী বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়া আর অপ্রাপ্ত বয়সেই মা হয়ে যাওয়ায় যেবুন্নাহার তার কৈশোর এবং যৌবন কালের কোনটাই উপভোগ করতে পারেন নাই। তার ওপর ছিল স্বামীর অনীহা। যে বয়সে বর্ষার বৃষ্টিতে খেলা করার কথা, সে বয়সে মা হয়ে সংসার করছিলেন। বৃষ্টিতে না ভেজার সেই অতৃপ্ত বাসনাটাই হয়তো বৃদ্ধা বয়সে মনের মাঝে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে বারবার। যেন বৃষ্টির ঘ্রাণ নিতে চান।
গল্পের শুরুটা বেশ ভালো হয়েছিল কিন্তু সেই রেশটা পরে আর ধরে রাখতে পারেন নাই। যতই গল্প সামনে আগাচ্ছিল ততই যেন আপনাকে কথায় পেয়ে বসেছিল। তাই মনে হয় গল্পটা কিছুটা বড় হয়ে গেছে। তাছাড়া নামকরণের সাথে গল্পের ধারাবর্ণনা এবং কাহিনী বিন্যাসে কিছুটা ঘাটতি পরিলক্ষিত হল। গল্পটা পড়ে মনে হল এই গল্পে আরও আবেগ থাকার দরকার ছিল। শব্দচয়নে এবং বাক্য গঠনেও আরও মুন্সিয়ানার অভাব বোধ করছি। গল্পের নাম 'বৃষ্টির ঘ্রাণ'। কিন্তু ফিনিশিংটাতে মনে হল হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুটাই বেশী প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে অথচ সেটা হওয়া উচিৎ ছিল বৃষ্টি।
আপনার কাছে প্রত্যাশাটা আরও বেশী ছিল। তবে আপনাকে দিয়ে হবে। কারণ আপনার মধ্যে আগ্রহ আছে। নিয়মিত লেখার স্পৃহা আছে। অন্তত আমার মতো অলস না। অনেক শুভ কামনা রইলো যূথী।
গল্পটা প্রথম রচনার সময় ২০১২, এরপরে বাকি ২ বইতে কপি পেস্ট করা হয়েছে। এমনকি এখানে পোস্ট করার সময়েও তাই। সে কারণে বলতেই হচ্ছে প্রায় দেড় বছর আগে রচিত একটি গল্পের মান এখনকার তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে থাকতেই পারে।
অলসতা আমারও আছে। ছিলোও। নইলে আমি এতদিনে একটি মৌলিক বই প্রকাশ করে ফেলতে পারতামই। তা আর হলো কই!
অনেক ধন্যবাদ, আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য ও পরামর্শের জন্য, ঘাস ফুল।
বসন্তের শুভেচ্ছা রইলো।
এগুলো কই পান, কামাল ভাই??
বসন্তের শুভেচ্ছা জানবেন।
বড় পোষ্ট সাধারণত আমি পড়তে পারি না, কিন্তু আপনার পোষ্টের শুরুতে একটু পড়ে ভালো লেগে গেলো বলে শেষ করে ফেললাম। একটা সংসারে বুড়ো মানুষদের কোন কোন সময় ঝামেলাই মনে হয়, বুড়ো হলে আমরাও হয়তো এমনি হয়ে যাবো।
বাক্য গঠন কবে যে শিখতে পারবো জানিনা, আপু আপনার কাছে আমি কোচিং করতে চাই, তয় টাকা পয়সা কিন্তু দিতে পারবো না