আমি বড় মস্ত ফাঁকিবাজ
ফাঁকি দিয়েছি যত অন্যায় অনাচার অনিষ্ট সহচর
ফাঁকি দিয়েছি আমি কালের গড়া কালো দেহের সাদা আস্তরণ
শুধু চেয়েছি জেগে উঠে কি সত্য কখনো ঐ দিগন্তে ।।
আমি বড় মস্ত ফাঁকিবাজ
ফাঁকি দিয়েছি যত নৃশংস নিপীড়ন নির্লিপ্ত গলাবাজ
ফাঁকি দিয়েছি আমি স্বৈরচারের মায়াকান্না এবং স্বাধীনতা সৌধ
শুধু চেয়েছি ফেঁপে উঠে কি কখনো জনতার ঢেউ ।।
আমি বড় মস্ত ফাঁকিবাজ
ফাঁকি দিয়েছি যত আঁধার রোদন শোষণ আর অত্যাচার
ফাঁকি দিয়েছি আমি আলোকে ঢেকে রাখা কুয়াশা
শুধু চেয়েছি দেখতে মৃদু মৃদু আলো কেমনে জ্বলে ।।
Comments (12)
নীলদা
আপনার সাথে একমত
বেশ লেখেছেন বটে ------
শুভেচ্ছা আলমগীর ভাই। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল
আপনার সাথে একমত নীলদা। আধুনিক যন্ত্রমাতি ব্যবহার করা দোষের নয়। কিন্তু, গানের ভাবকে অনুসরন না করে, হেড়ে গলায় লালনগীতি গাওয়া সমর্থন করি না একদম।
তবে, তরুন প্রজন্ম শুনছে, কারন তাদের শোনানো হচ্ছে। আর লালনের গানের প্রান ছুয়ে যাওয়া সুরই হয়তো, কাছে টানছে শ্রোতাদের। শ্রোতারা হয়তো সুরটাকে ভালবেসেই গান শুনছে। গানের কথাগুলো নিয়ে মাথা ঘামানোর এনার্জি নেই তাদের!
তরুন প্রজন্ম শুনছে, কারন তাদের শোনানো হচ্ছে। আর লালনের গানের প্রান ছুয়ে যাওয়া সুরই হয়তো, কাছে টানছে শ্রোতাদের। শ্রোতারা হয়তো সুরটাকে ভালবেসেই গান শুনছে।
আমি সহমত এই সুর কে উপেক্ষা করা যায় না। তবে তার গানের ভাব এ মজতে পারলে আমরা শুদ্ধ সমাজ গঠনে এগিয়ে যেতে পারতাম।
ধন্যবাদ অমিত
একবার লালন শাহ্ এর মাজারে গিয়া আর ফিরতে ইচ্ছা করলো না।রাত যতো বাড়ে,আমি আরো বেশী ডুবতে থাকলাম গানের মাঝে।সে এক অন্যরকম অনুভুতি।
ধন্যবাদ নীলদা চমৎকার একজন সাধক কে উপস্থাপনের জন্যে।
তার মাজারে গেলে ভালো লাগা কাজ করে। আমিও গিয়েছি। ফিরতে ইচ্ছে করেনি তবু ফিরেছি। এমন অবস্থা আমাদের অনেকেরই হয় মনে হচ্ছে।