একটা সময় ছিল যখন চাওয়া গুলো শুধু চকলেট,আইসক্রীম কিংবা দুই চারটা জকজকে জামা কাপড়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, নিজেকে ছাড়িয়ে কোন কিছু চিন্তা করার বোধশক্তি ছিল না,সমাজের ত্রুটি গুলো চোখে পরত না,ভালই ছিলাম। যতই বড় হচ্ছি চাওয়া গুলো শুধু বেড়েই চলছে,এখন আর কেউ মাথায় হাত বুলিয়ে বলে না তোমার কি লাগবে? অর্হনিশি পরিশ্রম করে দুই একটা demand fulfill করতে পারলেও কলুষিত সমাজের মানবসৃষ্ট জটিলতার কারনে বার বার হুচট খেতে হয়। বাসের ভাড়া,রাস্তা পারাপার থেকে শুরু করে সচিবালয় সব কিছুতে এখন মামুর জোর,কেন জানি সততা,মেধার মূল্যায়ন দিন দিন ওঠে গেছে ।আমরা সবাই সবকিছুদেখি,কিন্তু এগুলো আমাদেরকে স্পর্শ করে না,সহ্য করি আর জোর গলায় বলি তাতে আমার কি???
এই আমার কি নামক বাক্যটি আমাদের সমাজকে খেয়ে ফেলেছে আর তারই জন্য সমাজের নোংরা মানুষগুলো আজ সমাজের মাথা হয়ে ওঠেছে।তাদেরই বা দোষকোথায় প্রতিবাধহীন সমাজই তো তাদের অন্যায় অত্যাচার করার অধিকার দিয়েছে। একটা সময় ছিল যখন খেলার মাঠে শুধু আনন্দই খুজে পেতাম,নিজেকে খেলোয়ার হিসেবে দেখতাম।এখন আর খেলার মাঠে আনন্দ খুজে পাই না,সমাজপতিদের আদরে লালিত কিছু বখাটেদের অনধিকার চর্চা কেন জানি খেলার মাঠে আজ নিজেকে অনেক স্পর্শ করে।
একটা সময় ছিল যখন নিজেকে বড় কোন নামকারা ডাক্তার হিসেবে চিন্তা করতাম।যখনি দেখলাম ডক্তার নামধারী কিছু মানুষ সহজ, সরল সমাজকে দিনের পর দিন আর্থিক ও মানুষিকভাবে অত্যাচার করে আসছে তখন থেকে ডাক্তার হওয়ার ইচ্চেটা চলে গেছে। একটা দীর্ঘ সময় কেটে গেছে স্বপ্নের জগতে ঘুরে ফিরে,এখন আমি অনেক বড় হয়েছি, এতটা বড় হয়েছি যে এখন আর অবাঞ্চিত স্বপ্নগুলো আমাকে টানেনা।সময়ের প্রয়োজনে এখন শুধুই মনে হয় সমাজ সংস্কারের মত কঠিন কাজের যদি অংশীদার হতে পারতাম আর এই স্বপ্নটাকে ধরেই এখন পথ চলছি……………..( সাখাওয়াত)
Comments (3)
একটা একটা করে পড়ে যাচ্ছি। খুব ভাল হলো আমার জন্য। রবিন্দ্রনাথ সমন্ধে জানতে পারবো। ধন্যবাদ