ষাট গম্বুজ মসজিদ বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ। মসজিদটির গায়ে কোনো শিলালিপি নেই। তাই এটি কে নির্মাণ করেছিলেন বা কোন সময়ে নির্মাণ করা হয়েছিলো সে সম্বন্ধে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। তবে মসজিদটির স্থাপত্যশৈলী দেখলে এটি যে খান-ই-জাহান নির্মাণ করেছিলেন সে সম্বন্ধে কোনো সন্দেহ থাকে না। ধারণা করা হয় তিনি ১৫শ শতাব্দীতে এটি নির্মাণ করেন। এ মসজিদটি বহু বছর ধরে ও বহু অর্থ খরচ করে নির্মাণ করা হয়েছিলো। পাথরগুলো আনা হয়েছিলো রাজমহল থেকে। এটি বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের একটির মধ্যে অবস্থিত; বাগেরহাট শহরটিকেই বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো এই সম্মান প্রদান করে।
মসজিদটি উত্তর-দক্ষিণে বাইরের দিকে প্রায় ১৬০ ফুট ও ভিতরের দিকে প্রায় ১৪৩ ফুট লম্বা এবং পূর্ব-পশ্চিমে বাইরের দিকে প্রায় ১০৪ ফুট ও ভিতরের দিকে প্রায় ৮৮ ফুট চওড়া। দেয়ালগুলো প্রায় ৮·৫ ফুট পুরু।বিস্তারিত জানতে উইকিপিডিয়া
(২) ষাট গম্বুজ মসজিদ ও জাদুঘর পরিদর্শনের সময়সূচী।
৩/৪) মেইন গেইট দিয়া ঢুকেই ডান পাশে যাদুঘর।
(৫/৬) একটু এগিয়ে বাম পাশে তাকালেই দেখবেন সবুজ ঘাসের গালিচায় ১৫শ শতাব্দীতে নির্মিত অপরুপ ষাট গম্বুজ মসজিদটি, যেন পটে আকা ছবি।
(৭) মেইন গেইটে দাড়িয়ে তোলা ছবি।
(৮) দক্ষিণ পূর্ব কোনে দাড়িয়ে ছবি তুললে এমনি দেখাবে।
(৯) মসজিদটির পূর্ব দেয়ালে ১১টি বিরাট আকারের খিলানযুক্ত দরজা আছে। মাঝের দরজাটি অন্যগুলোর চেয়ে বড়। উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালে আছে ৭টি করে দরজা। মসজিদের ৪ কোণে ৪টি মিনার আছে। এগুলোর নকশা গোলাকার এবং এরা উপরের দিকে সরু হয়ে গেছে। এই ছবিটা দক্ষিণ পার্শে দাড়িয়ে তুলেছি।
(১০) দক্ষিণ পশ্চিম কোনে মসজিদটির অজুখানা।
(১১) দক্ষিণ পশ্চিম কোনে দাড়িয়ে দেয়ালের বাহিরে থেকে তোলা মসজিদটির ছবি।
(১২/১৩) মসজিদের ভেতরে ৬০টি স্তম্ভ বা পিলার আছে। এগুলো উত্তর থেকে দক্ষিণে ৬ সারিতে অবস্থিত এবং প্রত্যেক সারিতে ১০টি করে স্তম্ভ আছে। প্রতিটি স্তম্ভই পাথর কেটে বানানো, শুধু ৫টি স্তম্ভ বাইরে থেকে ইট দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। এই ৬০টি স্তম্ভ ও চারপাশের দেয়ালের ওপর তৈরি করা হয়েছে গম্বুজ। মসজিদটির নাম ষাট গম্বুজ (৬০ গম্বুজ) মসজিদ হলেও এখানে গম্বুজ মোটেও ৬০টি নয়, ১১টি সারিতে মোট ৭৭টি আর চারকোনের বুরুজের উপরের ৪টি সহ মোট ৮১টি গম্বুজ।
(১৪) পূর্ব দেয়ালের মাঝের দরজা ও পশ্চিম দেয়ালের মাঝের মিহরাবের মধ্যবর্তি সারিতে যে সাতটি গম্বুজ সেগুলো দেখতে অনেকটা বাংলাদেশের চৌচালা ঘরের চালের মত।
(১৫) আর বাকি ৭০টি গম্বুজ আধা গোলাকার ।
(১৬) যাদুঘরের সামনে দাড়িয়ে নারকেল গাছ সহ তোলা একটি ছবি।
(১৭) আমি নিজে যে ওখানে গিয়েছি তার একটা প্রমাণ না দিলে কি করে হয়
Comments (38)
টাচি লেখা
কিসের আকাশ! বাবার প্রতি সন্তানের ভালোবাসার সাথে কি আর আকাশের বিশালতার তুলনা চলে!
... আবেগী
আপনার গল্প বলার শুরুটা অসাধারণ আহমেদ ইশতিয়াক। কিন্তু আশাহত হই যখন গল্পটা আপনি শেষ করেন না। আপনি আপনার বাবাকে নিয়ে যে স্মৃতি রোমন্থন শুরু করেছিলেন তা যদি আর কিছুটা এগিয়ে নিতেন তাহলে আমরা আরও খানকটা আপ্লুত হতে পারতাম।
বিষয়টা মাথায় রাখবো জিয়াউল হক ভাই...
ধন্যবাদ ...