ডাস্টবিনে ময়লা ফেলতে হবে অনেকেই মানেন না। যত্র তত্র বা রান্নাঘর থেকে পাশের খালি প্লটে ময়লা ফেলতেই অনেকেই ভালোবাসেন। সেখানে থাকে ডিমের খোসা, তরকারী বর্জ্য, মাছের আঁশ; এমনকি স্যানিটারী ন্যাপকিন, পরিত্যক্ত কনডম ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনি হাসছেন? ব্যাপারটা ভাবুন। এখন যত কঠিন নিয়ম করুন না কেন মানুষ ডাস্টবিনের যথাযথ ব্যবহার বুঝে মনে রাখছে না। শুধু কি তাই সিটি কর্পোরেশনের লোকজনও তেমন তোয়াক্কা করে না। কিন্তু ডাস্টবিনে কিছু জিনিস তারা ঠিক ঠিক ফেলে আসেন। বাড়ির কাজের মেয়েটিকে মেরে আধা মরা করে ডাস্টবিনে ফেলে আসেন, সদ্য প্রসব করা বাচ্চা সমাজের আড়ালে লুকিয়ে ফেলে আসেন। আর পত্রিকা ওয়ালারা তারপরই ঘটাঘট ছবি আর পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে সংবাদ পরিবেশন। টিভিওয়ালা খবরের মাঝে বিশেষ প্রতিবেদন। ক্যামেরার বহু কারুকাজে আম জনতা আহা উহু তারপর সবাই ভুলে যান। এবং যেই কার সেই। এই হচ্ছে আমরা। বাংলাদেশীদের মানবতা। ধিক এই মানবতায়।
সবশেষে হাস্যকর লাগে যখন দেখি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী শহরের ময়লা পরিষ্কার করছে নিজ হাতে। যেন এমন রাজার দেশে বাস করি যে রাজার আনুগত্যে চোর-ডাকাত সব অন্য দেশে চলে গেছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আর কোন কাজ নেই।
Comments (2)
চমৎকার একটি পোষ্ট ।