Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

আম আদমি এবং আওয়ামীলীগ ।

আমি আজ আপনাদের একটি ট্র্যাজিক গল্প শোনাব। অনেক দিন আগের কথা ,প্রাচীন গ্রিকের রাজা। গল্পটা এখানেই শেষ । এই ধরণের বক্তব্যে সাধারণত শ্রোতার আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয় । বাংলা ব্যাকরণেরর দৃষ্টিতে একটি সার্থক ব্যাক্যের যে  তিনটি গুন থাকা দরকার তার মধ্যে অন্যতম একটি গুন হচ্ছে আকাঙ্ক্ষা। যে বাক্যে বক্তার বক্তব্য অসম্পূর্ণ থাকবে অথবা আরো কিছু বক্তব্য সংযোজন না করলে শ্রোতার কাছে বক্তব্য অস্পষ্ট থেকে যাবে তাকেই বলে আকাঙ্ক্ষা। রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে এই আকাঙ্ক্ষাটা  আবার একটু ভিন্ন এখানে বক্তার বক্তব্য শ্রুতি সম্পন্ন  হলেও কর্ম সম্পন্ন হয় না । যেমন  দুইটি রাজনৈতিক দলের ক্ষমতার মসনদে  আরোহণ এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে যদি আমি আলোকপাত তবে বিষয়টা বোধগম্য হবে আশা করি । একটি হল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ যে দলটি উত্তান কাল থেকে নানান চড়াই উৎরাই পার করে দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিল একটি জিলাপি চক্র এবং আকাঙ্ক্ষা বিহীন বক্তব্যের মধ্য দিয়ে । প্রথমে আসি তাদের বক্তব্য নিয়ে আমরা কোন অনির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা  হস্তান্তর করবনা । সহমত পোষণ করলাম কেননা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র যখনি বলা হবে সেখানে  আর অনির্বাচিত শব্দটার বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই । সব ধরণের অনির্বাচিত কর্তার কর্মকে নির্বাসনে পাঠাতে হবে । সেই সূত্রে অরাজনৈতিক এবং অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার ইহকাল ও পরকালের মুক্তি কামনা করে তাকে গলা টিপে হত্যা করা হল । আমরা বিশ্বের অন্য সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ন্যায় নির্বাচনের আয়োজন করলাম এবং দুই তৃতীয়াংশ সাংসদ বিনা ভোটে মনোনীত হল অতঃপর  অগনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ন্যায় সরকার গঠন করলাম  । নির্বাচনে জিতেছে  আওয়ামীলীগ হেরেছে  রাষ্ট্র । যে সরকার অনির্বাচিত ব্যাক্তিদের হাতে তিন মাসের জন্য ক্ষমতা দিতে চাই নি সেই সরকার নিজেই এখন অনির্বাচিত সরকার হয়ে রাষ্ট্র চালাচ্ছে । নির্বাচনের আগে আওয়ামীলীগের বক্তব্য  জনগণের কাছে শ্রুতি সম্পন্ন ছিল কিন্তু নির্বাচনের পরে তা কর্ম সম্পন্ন ছিল না । এখন আওয়ামী কর্মীরা আনন্দে হাত তালি দিচ্ছে আর জনগণ আশাহত হয়ে মুখে হাঁই তুলছে । তবে নির্বাচনে অন্য কোন রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ না করলেও এতটা প্রশ্নবিদ্ধ হত না যদি আওয়ামীলীগ একক ঘোষিত প্রার্থী ব্যাবস্থা না করত । তাতে অন্তত ভোটাধিকার থাকত এবং জনগণ ভোট দিতে আসত। কি আর করার জনগণের সব আকাঙ্ক্ষার অকাল  মৃত্যুতে সরকার শোকাহত তাই হয়ত বলেছিলেন এটা শুধুমাত্র সংবিধান রক্ষার নির্বাচন । এখন আবার শোক শক্তিতে পরিণত হয়েছে তাই বলে বেড়াচ্ছেন আমরা দীর্ঘমেয়াদী । এবার আসি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেগে উঠা ভারতের আম আদমির কথা । বিপুল ভোটে জিতে সব চেয়ে কম বয়সী রাজনৈতিক দল দিল্লীর সিংহাসন জয় করেছেন এটা শুধু অসম্ভবই নয় বিস্ময়ের ব্যাপারও। নির্বাচনের পূর্বে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দুর্নীতি বিরোধী জনলোকপাল বিল সংসদে পাশ করতে না পারায় অরবিন্দ কেজরিওয়াল   পদত্যাগ করেছেন। এখানে অবশ্যই জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়েছে হাত তালি দিচ্ছে জনগণ আর হতশায় মুখে হাঁই তুলছে বিরোধীদল । কেননা জনলোকপাল বিল শুধুমাত্র বিজেপি কিংবা কংগ্রেসের জন্য নই এটা দিল্লীর সমগ্র দুর্নীতির  বিরুদ্ধে  । রাজ্যের বিধানসভায় যখন বিজেপি এবং কংগ্রেস এই বিলের বিরোধিতা করল তখন ধরে নিতে হবে রাজনৈতিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণের জয় হয়েছে। 

 
০ Likes ৫ Comments ০ Share ৪১১ Views