Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

Blog Moderator

১০ বছর আগে

:: এক্সক্লুসিভ ব্লগার সাক্ষাতকার আয়োজন :: ঘাস ফুল

সুপ্রিয় ব্লগারবৃন্দ, শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। আপনারা গত কয়েকদিনে নক্ষত্র ব্লগের আয়োজন :: এক্সক্লুসিভ ব্লগার সাক্ষাতকার :: এর ৫টি পর্ব উপভোগ করেছেন। ব্লগারদের মাঝে পারস্পারিক যূথবদ্ধতা তৈরিতে এই আয়োজন নিঃসন্দেহে ভূমিকা রাখবে বলে নক্ষত্র আশা প্রকাশ করে।

আনন্দের কথা ইতিমধ্যে বাংলা ব্লগিং কমিউনিটির অনেক সদস্য আগ্রহ নিয়ে এই আয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রাখছেন। এই আয়োজনে সকলের অংশগ্রহণের নিমিত্তে ব্লগারদের কাছ থেকে আমরা কিছু প্রস্তাবনা পেয়েছি। তারই আলোকে পাক্ষিক এই আয়োজনের এক সপ্তাহ পূর্বে অতিথির নাম প্রকাশ করে আমরা আগ্রহী ব্লগারদের কাছ থেকে প্রশ্ন আহবান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন থেকে নক্ষত্র ব্লগের প্রশ্নমালার সঙ্গে অতিথিকে আমরা এই পোষ্টে প্রাপ্ত প্রশ্নমালাও জানিয়ে দেবো এবং অতিথি নক্ষত্র ব্লগের প্রশ্নমালার পাশাপাশি পোষ্টে প্রাপ্ত ব্লগারদের নির্বাচিত প্রশ্নের উত্তরও জানাবেন বলে আশা করি।

লেখালেখি, ব্লগ এবং সাম্প্রতিক ব্লগিং এর নানা দিক নিয়ে আমরা কথা বলেছি গুণী ব্লগার, পোষ্ট এবং মন্তব্যে সহ ব্লগারদের প্রিয় মুখ ঘাস ফুল এর সাথে। ব্লগার ঘাস ফুল দীর্ঘদিন ধরে ব্লগিং করছেন। বেশ কয়েকটি ব্লগে রয়েছে তার দৃপ্ত পদচারনা। ইতিমধ্যে শালীন সুন্দর এবং দায়িত্বশীল ব্লগিং করে সকলের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছেন।
আমরা তার সঙ্গে আলাপের বিস্তারিত দিচ্ছি পোষ্টে। আশা করি সবাই উপভোগ, আত্মস্থ করবেন তার মূল্যবান কথাগুলো। আমরা আমাদের অতিথির কাছ থেকে শুনবো তিনি কি ভাবছেন সাম্প্রতিক ব্লগ এবং ব্লগিং নিয়ে। আসুন পড়ি সে সব কথা।

নক্ষত্র ব্লগ: শুভেচ্ছা আপনার জন্য! কেমন আছেন?
ঘাস ফুল: ধন্যবাদ। নক্ষত্র-ব্লগের কর্তৃপক্ষ এবং ব্লগার ভাই, বোন ও বন্ধুদেরও আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। আলহামদুলিল্লাহ্‌। ভালো আছি।  

নক্ষত্র ব্লগ: ব্লগ, ফেসবুকসহ ভার্চুয়াল মাধ্যমে সম সাময়িক ভ্রমণ পোষ্ট/ ছবি পোষ্ট নিয়ে আপনার মতামত কি?
ঘাস ফুল:  এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে অনেক কিছু বলতে হবে। আমি বিস্তারিত না বলে সংক্ষেপে সারাংশটা বলছি।  আজ যা বর্তমান, ভবিষ্যতে তা-ই হবে অতীত। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভার্চুয়াল মাধ্যমে সম সাময়িক ভ্রমণ পোষ্ট/ছবি পোষ্ট থেকে তাদের অতীত সম্বন্ধে অনেক কিছু জানতে পারবে, দেখতে পারবে, বুঝতে পারবে এবং শিখতেও পারবে।

নক্ষত্র ব্লগ: বর্তমানে ব্লগ, ফেসবুকসহ ভার্চুয়াল মাধ্যমে যারা লিখছেন তাদের মাঝে কাদের লেখা আপনার কাছে ভালো লাগে?
ঘাস ফুল:  যারা ভার্চুয়াল জগতে লিখছেন তাদের সবার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি। এই জগতে যারা লেখালিখি করেন, তাদের কারোই খাটো করে দেখার কোন অবকাশ নাই। কারণ এখানে সবাই যার যার মতো চেষ্টা করছেন নিজের লেখালেখি নিয়ে। তাই সবার লেখার মানেও তারতম্য থাকাটাই স্বাভাবিক। একজনের সব লেখা যেমন ভালো হয় না, ঠিক তেমনি একজনের সব লেখা খারাপও হয় না। তাই আমি এখানে কারো নামই উল্লেখ করতে চাচ্ছি না। সবার জন্য আমার আন্তরিক শুভ কামনা রইলো।

নক্ষত্র ব্লগ: ব্লগ ফেসবুক সহ ভার্চুয়াল মাধ্যমে যারা লিখছেন তাদের সমাজের প্রতি কতটুকু দায়বদ্ধতা আছে বলে মনে করেন? তারা কি তা পালন করছে বলে মনে করেন?
ঘাস ফুল:  যারা ভার্চুয়াল জগতে লিখছেন, তাদের সচেতন নাগরিক হিসাবেই বিবেচনা করা হয়। আর প্রতিটা সচেতন নাগরিকেরই সমাজের প্রতি যথেষ্ট দায়বদ্ধতা থাকা উচিৎ। যেহেতু ভার্চুয়াল জগতটা বিশ্বময়, তাই তাদের দায়বদ্ধতাও অনেক বেশী। আমি বলবো না যে সবাই যার যার দায়বদ্ধতা সঠিকভাবে পালন করছে। যারা করছে আর যারা করার চেষ্টা করছে, তাদের সবাইকে আমার অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ। যারা করছেন না তাদের বলবো নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারবেন না। কারণ সমাজটা যদি ধ্বংস হয়ে যায়, তখন কিন্তু আপনারাও ধ্বংস হয়ে যাবেন। কারণ আপনারাও যে সমাজেরই অংশ। সবশেষে বলবো অনেকেই পালন করছেন। আর সে কারণেই রাজনৈতিক ধ্বংসলীলার মধ্যেও আমাদের দেশটা এখনো বেঁচে আছে।  

নক্ষত্র ব্লগ: সাম্প্রতিক সময়ের লেখক/ব্লগারদের মাঝে কাদেরকে আপনি প্রতিশ্রুতিশীল বলে ভাবছেন?
ঘাস ফুল:  আমার ব্লগিং জীবনটা মাত্র এক বছর এক মাসের। এই অল্প সময়ে অনেককেই হয়তো আমি সঠিকভাবে বিচার করতে পাড়বো না। তবে এটা ঠিক অনেক প্রতিশ্রুতিশীল লেখক/ব্লগার আছেন। তাদেরকে যদি একটু যত্ন করা যায় কোনভাবে এবং তারা নিজেরাও যদি আরও বেশী যত্নশীল হন, তবে এক সময় তাদের ভিতর থেকেই বেরিয়ে আসতে পারে অনেক গুণী লেখক।

নক্ষত্র ব্লগ: ব্লগকে বলা হচ্ছে বিকল্প মিডিয়া? এই বিষয়ে আপনার কি মত?
ঘাস ফুল: এখনো হয়তো বিকল্প মিডিয়া হিসাবেই আছে। তবে ভবিষ্যতে ব্লগই একমাত্র মিডিয়া হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

নক্ষত্র ব্লগ: আপনার পড়া সর্বশেষ পোষ্ট কোনটি এবং তা কোন ব্লগে পড়েছেন?
ঘাস ফুল: নক্ষত্র-ব্লগে তাহমিদুর রহমান এর একটা পোষ্ট, ‘নক্ষত্র ব্লগের কবিদের জন্যে সুখবর’।

নক্ষত্র ব্লগ: ব্লগে ফেসবুকে লেখকদের লেখার মান, ছবির মান কেমন বলে মনে করেন আপনি?
ঘাস ফুল: ব্লগে ফেসবুকে লেখার মান এবং ছবির মান অনেকটা পাঁচমিশালী। তবে ব্লগের চাইতে ফেবুতেই লেখার মান অনেক ক্ষেত্রে বেশী খারাপ। কারণ এখানে কোন মডারেশন নেই আর ফেবু মূলত বন্ধু বান্ধব আত্মীয়স্বজন কেন্দ্রিক। তাই এখানে ভালো লেখার জন্য আলাদা ভাবে দায়বদ্ধ না। তাই যার যা খুশি লিখে যাচ্ছে। তাছাড়া ফেবুকে অনেকেই লেখালেখির মাধ্যম হিসাবে বিবেচনা করে না। কিন্তু ব্লগকে মোটামুটি সবাই লেখালেখির একটা মাধ্যম হিসাবে দেখে থাকে। যদিও এখন অনেক ব্লগে মডারেশন নেই, তারপরও সবাই একটু বেশী সচেতন থাকে,  কিছুটা দায়বদ্ধ থাকে, কারণ তারা নিজেরাও জানে ব্লগে অনেক জ্ঞানী গুণী পাঠক এবং লেখক আছেন।

নক্ষত্র ব্লগ: একটি ব্লগ এবং ব্লগারদের ইতিবাচক দিক কোনটি বলে মনে করেন আপনি?
ঘাস ফুল:  ব্লগ এবং ব্লগারদের ইতিবাচক দিক নিয় ব্লগ বিশেষজ্ঞ ব্লগ-রত্ন শ্রদ্ধেয় মাঈনউদ্দিন মইনুল ভাই উনার সাক্ষাৎকার পর্বে কিছু কথা বলেছিলেন, যার সাথে আমি সম্পূর্ণভাবে একমত এবং বিশ্বাস করি। তাই এখানে তাঁর কথাটিই উদ্ধৃত করছি। তিনি বলেছেন, “ব্লগ এবং ব্লগারদের প্রত্যাশিত ইতিবাচক দিকটি হলো, সকল ধারার পাঠক-লেখকের সাথে মিশতে পারা এবং ভিন্নমতের সাথে সহাবস্থান করতে পারা। এটি অক্ষুণ্ণ থাকলে বাঙলা ব্লগ আরও এগিয়ে যাবে অদূর ভবিষ্যতে।“

নক্ষত্র ব্লগ: আপনার শৈশব কোথায় কেটেছে? পারিবারের কথা এবং শিক্ষাজীবন নিয়ে কিছু কথা জানতে চাই।
ঘাস ফুল: আমার শৈশব কেটেছে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানার বাহাদুরসাদি ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামে। বাবা নেই। মা আছেন। তবে আমার সাথে নয়। তিনি দেশে আমার বড় ভাইয়ের কাছে আছেন। লন্ডনে আমার সাথে আছেন সহধর্মিণী সাহিদা ইসলাম (ঘাস ফুলি) আর আমার একমাত্র সন্তান সাদি আদনান দীপ্ত (ছোট ঘাস ফুল)। রাষ্ট্র বিজ্ঞানে মাস্টার্স করে শিক্ষাজীবনের ইতি টেনেছি।  

নক্ষত্র ব্লগ: আপনার জীবনের আনন্দময় স্মৃতি কোনটি যা মনে হলে এখনো আপনার ভালো লাগে।
ঘাস ফুল:  সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া আমার একমাত্র সন্তানকে যখন আমার হাতে তুলে দেয়া হয়।

নক্ষত্র ব্লগ: প্রিয় বই এর নাম?
ঘাস ফুল:  প্রিয় বইয়ের তালিকায় অনেক বই-ই আছে। তবে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবনচরিত মূলক উপন্যাস ‘শ্রীকান্ত’ আমার প্রিয় বই, যা তিনি চার খণ্ডে লিখে সমাপ্ত করেন।  

নক্ষত্র ব্লগ: আপনার প্রিয় লেখক কারা?
ঘাস ফুল:  প্রিয় লেখকের তালিকাও মোটামুটি লম্বা। তাঁদের মধ্য থেকে কয়েক জনের নাম বলছি। গল্প উপন্যাসের জন্য শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, হুমায়ূন আহমেদ, ধীরাজ ভট্টাচার্য, ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। কবিতার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ, হেলাল হাফিজ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ। আত্বমোন্নয়নমূলক লেখার জন্য আমেরিকান লেখক ডেল কার্নেগীও আমার খুব প্রিয় একজন লেখক।

নক্ষত্র ব্লগ: আপনি গান শুনেন? আপনার প্রিয় গান কোনটি? আপনার প্রিয় শিল্পী কারা?
ঘাস ফুল:  আমার প্রিয় গান শচীন দেব বর্মণের ‘কে যাস রে ভাটি গাঙ বাইয়া/আমার ভাইধন রে কইয়ো, নাইওর নিতো বইলা’। যতবারই এই গানটি শুনি ততবারই আমার চোখ জলে ভরে যায়। ভাইদের জন্য বোনদের দরদ যে কত গভীর এই গানটি শুনলে সহজেই তা অনুধাবন করা যায়। গানটির অন্তরায় একটি কলি আছে, ‘সুজন মাঝিরে ভাইরে কইয়ো গিয়া/না আসিলে স্বপনেতে দেখা দিতো বইলা’ এই কলি দুটো শুনার পর চোখের পানি ধরে রাখা সত্যিই দায়। আমার একটি মাত্র বোন, যার বিয়ে হয়ে গেছে। গানটি শোনার সময় বোনকে খুব অনুভব করি।  

প্রিয় শিল্পীর মধ্যে আছে এন্ড্রু কিশোর, আবদুল হাদি, সুবীর নন্দী, জেমস, আইয়ুব বাচ্চু, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, ভুপেন হাজারিকা, নচিকেতা, কুমার শানু, কিশোর কুমার, মোহাম্মদ রফি, লতা মুঙ্গেশকর, আশা ভোসলে, সনু নিগাম সহ আরও অনেকে।

নক্ষত্র ব্লগ: নক্ষত্র ব্লগ নিয়ে আপনার মতামত/পরামর্শ/উপদেশ কি?
ঘাস ফুল:  নক্ষত্র কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত ব্লগারদের প্রতি তাদের যে আন্তরিকতা, হৃদ্যতা দেখিয়ে যাচ্ছেন, আশা করছি সেটা তারা অব্যাহত রাখবেন এবং পাশাপাশি ব্লগের নিজস্ব কার্যক্রমগুলো চালিয়ে যাবেন। পোষ্ট স্টিকি এবং সুপার স্টিকির ব্যাপারে কোন ধরণের স্বজনপ্রীতি বা পক্ষপাতমূলক কাজ যেন তারা না করেন। ফেক নিকের ব্যাপারে কোন ধরণের ছাড় যেন দেয়া না হয়। কর্তৃপক্ষ যেন কোন ব্লগার বা লেখকের সাথে কোন ধরণের বাদানুবাদে জড়িয়ে না পড়েন, বিশেষ করে রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় অনুভূতি সম্পন্ন কোন ব্যাপারে। ব্লগারদের মধ্যে যেকোনো কোন ধরণের ঝগড়া বিবাদ বিচক্ষণতার সহিত সর্ব নিম্ন সময়ে সমাধান করতে হবে। এগুলো করতে পারলে নিকট ভবিষ্যতেই নক্ষত্র-ব্লগ সবার প্রিয় ব্লগে পরিণত হবে।  

নক্ষত্র ব্লগ: আমাদের সময় দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ঘাস ফুল:  নক্ষত্র-ব্লগকেও অনেক ধন্যবাদ আমার মতো একজন নাদান ব্লগারকে গুরুত্ব সহকারে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য।  

***********************


ব্লগারদের প্রশ্ন:

কালের পুতুল
দাদা কি বিবাহিত?
উত্তর:  হ্যাঁ

প্রেম করেছেন জীবনে?
উত্তর:  করেছি

ছ্যাকা খেয়েছেন কয়টা?
উত্তর: সেটার হিসাব রাখি নাই


জাকিয়া জেসমিন যূথী

ফুলের সাথে তুলনা করা হয় কোমল-মতি'দের। সাধারণত নারীদের।
১/ আপনি কি মানুষ হিসেবে কোমল-মতি বলে মনে করেন নিজেকে? ব্যাখ্যা করুন।
উত্তর: পৃথিবীতে নারী পুরুষ কেউ-ই শতভাগ কোমল-মতি নয়। জীবনের প্রয়োজনে অনেক সময় নারী পুরুষ সবাইকেই কোমল হতে হয় আবার জীবনের প্রয়োজনেই অনেক সময় কঠিন হতে হয়। তাই আমি নিজেকে শুধু কোমল-মতি বলতে চাই না।

২/ সারাজীবন একটা ছবি দিয়াই জীবন পার করছেন কেন? শুনেছি আপনি স্বদেশ ছেড়ে উন্নত দেশে অবস্থান করছেন। সেখানে নিশ্চয়ই ছবি তোলার উপায় আছে! আমরা আরও কিছু ছবি মানে আপনার ফোটুক দেখতে চাই।
উত্তর: আমার নিকের নাম ঘাস ফুল। তাই একটা ঘাস ফুলকেই সব সময় ব্যবহার করে আসছি। তবে নিকের আড়াল থেকে যখন বের হয়ে আসবো তখন নিকের আড়ালের মানুষটির ছবিও দেখতে পাবেন। যেহেতু এখনই বের হয়ে আসার ইচ্ছা নাই। তাই আপাতত কোন ছবিও নাই।

৩/ ভাইজান কি লম্বু নাকি বাট্টু??অথবা উচ্চতা কত? (অচেনা কাউকে করা আমার যে প্রশ্নটা নিয়ে আমার বন্ধুরা বিরক্ত আর বলে আমি নাকি নিজে যথেষ্ট লম্বা বলেই আশেপাশের সবাইকে বাট্টু বলে মনে করি! সেই প্রশ্নটা আপনাকেও...)
উত্তর: যেহেতু আপনি নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন আপনি লম্বা বলে আশেপাশের সবাইকে বাট্টু বলে মনে করেন, তাই আমার উচ্চতার কথা আর জানাচ্ছি না। কারণ এটা আপনার বিশ্বাস নাও হতে পারে।

লুব্ধক রয়
কখন জীবনকে ছোট মনে হয়? সঙ্গে কেন মনে হয় তা জানালে ভাল লাগবে।
উত্তর: অনেক ধারণায় হয়তো ভালো কাজ করতে গেলে টাকা পয়সা লাগে। কিন্তু আমি তা মনে করি না। ভালো কাজের জন্য শুধু দরকার একটা সুস্থ সুন্দর মন মানসিকতা। এই সুস্থ সুন্দর মন মানসিকতা নিয়ে যদি কারো পাশে দাঁড়িয়ে কাউকে অন্তত একটু আশ্বস্ত করতে পারি এই বলে যে, ভয় পেয়ো না, আমি তোমার পাশেই আছি, এগিয়ে যাও। তাতে যদি ওই নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিন্দু মাত্র উপকার হয়। তখনই মনে হয় জীবনটা কেন এতো ছোট। আর দীর্ঘ হলে হয়তো আরও কারো পাশে এভাবে দাঁড়াতে পাড়তাম।

কখন জীবনকে খুব দীর্ঘ মনে হয়? সঙ্গে কেন মনে হয় তা জানালে ভাল লাগবে।
উত্তর: আমি ধর্মে বিশ্বাস করি। আমি মুসলমান। তাই আমি পরলোকেও বিশ্বাস করি। যখন ভাবী পরলোকের জন্য তো কিছুই করতে পাড়লাম না। দিন দিন পাপের বোঝা কেবলই ভারী হচ্ছে। এই ভাবনা থেকে মনের মধ্যে উঁকি দেয়, জীবনটা কেন এতো দীর্ঘ। আরও একটু ছোট হলে হয়তো পাপের বোঝাটা কম হত।


ইকবাল মাহমুদ ইকু

ঘাসফুল নাম করনের হেতু কি?
উত্তর: আমার জীবনের একটা অধ্যায় ঘাস ফুলের মতো অবহেলিত ছিল। সেটা আমি এখনো ভুলতে পারি নাই। তাই আমার নিকের নাম ঘাস ফুল।

নক্ষত্র ব্লগ এ আপনার কেমন লাগছে?
উত্তর: এখনো পর্যন্ত ভালো লাগছে।  

ব্লগার মানে আমাদের কে আপনার কত টুকু আপন মনে হয় ?
উত্তর: ভার্চুয়াল জগতের বন্ধুত্ব এখন বাস্তব জীবনেও বেশ প্রভাব বিস্তার করছে। তাই প্রতিটি ব্লগারকেই বেশ আপন মনে হয়।

ব্লগিং জীবন শুরু করেছিলেন কিভাবে? কোন মজার ঘটনা আছে কি ব্লগিং নিয়ে?
উত্তর: ব্লগার মাটির-ময়নার উৎসাহে ব্লগিং জীবন শুরু করি। আলো ব্লগে আমার এক বন্ধুর পক্ষ নিয়ে ফেক নিক প্রসঙ্গে সঞ্চালকের বিরুদ্ধে কথা বলার পর আমাকে এবং আমার বন্ধু ব্লগার গোলাম মোস্তফাকে সাময়িক ব্যান্ড করেছিল। সেই ঘটনায় আমি খুব মজা পেয়েছিলাম।  


মোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা  

এক.  ঘাসফুলের আড়ালে প্রিয় মানুষটি কে?  পেশা, অবসর বিনোদন পরিবার পরিজন সম্পর্কে কিছু …
উত্তর: ঘাস ফুলের আড়ালে আমি আতিকুল ইসলাম। এক সময় চাকুরী করতাম। এখন ব্যবসা করার চেষ্টা করছি। অবসর এবং বিনোদন এক সুতোয় গেঁথে আছে। দুটোই কাটে ব্লগিং করে আর খেলা দেখে। অবশ্য মাঝে মাঝে সিনেমা নাটক দেখি, বই পড়ি আর ঘুরতে বের হই।

দুই. প্রথম লেখালেখি কখন থেকে?
উত্তর: লেখক নয় বলে লেখালেখির তেমন কোন অভ্যাস ছিল না। স্কুল জীবনে অন্যান্যদের মতো আমিও টুকটাক কয়েকটা কবিতা লিখেছিলাম, তবে তার কোনটাই সংগ্রহে নাই। এখন যা লিখছি, তা গত এক বছর আগে ব্লগিং শুরু করার পরেই লেখা।

তিন. সাহিত্যের কোন বিষয় পড়তে এবং লিখতে ভালো লাগে?
উত্তর: পড়তে ভালো লাগে গল্প উপন্যাস। লিখতে পারি না তাতো জানেনই। তারপরও যদি টুকটাক লিখতে ইচ্ছা করে তবে ছোট গল্প লিখতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।

চার. ব্লগীয় জীবনের স্মরণীয় ঘটনা মনে পড়ছে কি?
উত্তর:  উপরে ইকবাল মাহমুদ ইকুর একটা প্রশ্নের উত্তরে ব্লগের একটা মজার ঘটনা বলেছি। ওটাই আমার ব্লগিয় স্মরণীয় ঘটনা।

পাঁচ. মূলধারার সাহিত্য এবং ব্লগ সাহিত্যে তুলনামূলক আলোচনা করবেন কি?
উত্তর: এখনো পর্যন্ত ব্লগ সাহিত্য মূল ধারার সাহিত্যে স্থান করে নেয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু আমার বিশ্বাস অদূর ভবিষ্যতে এই দুই ধারাই মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে।
 

কামরুন নাহার ইসলাম
১। বিদেশে থেকে দেশের কথা প্রতিনিয়ত: মনে পড়ে। আপনার কাছে আমার প্রশ্ন: আপনি কি মনে করেন, দেশের চেয়ে বিদেশে আপনি ভালো আছেন?
উত্তর: মানুষ অনেক ভাবেই ভালো থাকতে পারে। কেউ শারীরিক ভাবে, কেউ মানসিক ভাবে, কেউ আর্থিক ভাবে আবার কেউ হয়তো সব ভাবেই।  বিদেশে আমি শুধু শারীরিকভাবে এবং আর্থিকভাবে ভালো আছি। মা, ভাই বোন আত্মীয়স্বজন বন্ধু বান্ধব আর দেশের কাদা মাটি জল ছেড়ে মানসিকভাবে ভালো নেই।

২।  আপনার কি মনে হয় এক ব্লগার আরেক ব্লগারের প্রতি অনেক টান অনুভব করেন, নাকি এগুলো লোক দেখানো টান?
উত্তর: ভার্চুয়াল সম্পর্কগুলোতে সব ধরণের টানই আছে। এখানে বুঝার উপায় নাই কোনটা আসল টান আর কোনটা লোক দেখানো টান। তবে কারো কারো মধ্যে প্রকৃত টানও পরিলক্ষিত হয়।

৩। আপনি নিজেকে কি মনে করেন? সাধারণ নাকি অসাধারণ?
উত্তর:  আমার নিকের নামকরণই এর উত্তর। মানে ঘাস ফুলের মতোই সাধারণ।

৪। আপনি কোন কোন ব্লগে ব্লগিং করেন? কোন ব্লগে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন?
উত্তর: ব্লগিং শুরু করি আলো ব্লগ দিয়ে। কিন্তু এখন মূলত নক্ষত্র-ব্লগেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। মাঝে মাঝে আলোতে, জলছবি বাতায়নে আর শব্দনীড়ে যাই।

৫। আপনার এত প্রাণবন্ত থাকার রহস্য কি?
উত্তর: নিজের কষ্টগুলোকে ভুলে থাকার আপ্রাণ প্রচেষ্টা।


নীল সাধু
খুব যখন অসহায় বা কষ্টে থাকেন তখন কার মুখ ভেসে উঠে মনে?
উত্তর:  আমার বড় ভাইয়ের মুখটা ভেসে উঠে। কারণ বড় ভাইয়ের কাছ থেকেই শিখেছি কীভাবে দারিদ্র, অসহায় আর কষ্টের সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হয়। পিতৃতুল্য বড় ভাই আজ আর নাই। উনার জীবনের একমাত্র পরাজয় হয় ক্যানসারের সাথে যুদ্ধ করতে যেয়ে। ২০০৯ সালের ২৭শে জানুয়ারির ওই যুদ্ধে তিনি পরাজয় বরণ করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরেন।

সম্পূরক প্রশ্ন: ভেসে উঠা মুখটি কি শুধু একজনের নাকি এতে মাঝে মাঝে পরিবর্তন আসে? (এই প্রশ্নের উত্তরে মা, বাবা এবং মহান সৃষ্টিকর্তা উহ্য থাকবেন)
উত্তর: বিয়ের পর আমার চারটি অপারেশন হয়। চারটি অপারেশনেই আমাকে ঘুম পারিয়ে করানো হয়। দুটো অপারেশন হয় বাংলাদেশে আর দুটো হয় লন্ডনে। অপারেশনের পর যখন আমার ঘুম ভাঙানো হয় তখন প্রতিবারই কাকতালীয় ভাবে আমি সর্বপ্রথম আমার বউয়ের নাম ধরে ডেকেছি এবং তাকেই সবার আগে দেখতে চেয়েছি। হয়তো ঘুমের ঘোরে আমি তাকেই দেখছিলাম, তাই এমন হয়েছে। এটা আমার বউয়ের কাছ থেকে পরে শুনেছি।


সুমন আহমেদ
১। ব্লগ নিক ঘাস-ফুল, আসল নাম জানতে পারি কি?
উত্তর: আতিকুল ইসলাম

২। ব্লগিং কেন করেন?
উত্তর:  নিজের চিন্তা চেতনা এবং লেখাকে অন্যের সাথে শেয়ার করে সেটার ভুল শুদ্ধ যাচাই করার জন্য এবং অন্যের চিন্তা চেতনা আর লেখালেখি থেকে নিজের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার জন্য।  তাছাড়া অনেকের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ তো আছেই।

৩। কবিতায় মন্তব্য করছেন না, যে কারণে করছেন না তা কি যথার্থ কারণ হতে পারে? যদি বলা হয় আপনি গল্প শিখে আসুন তারপর মন্তব্য করুন, তাহলে কি গল্পেও মন্তব্য করা বন্ধ করে দেবেন?
উত্তর: কবিতায় আমি আর কখনোই মন্তব্য করবো না এটা কিন্তু বলি নাই। বলতে পারেন একটা বিরতি নিয়েছি কিছুটা নিজের অজ্ঞতার জন্য আর কিছুটা অভিমানেও বটে। কবিতা বিষয়ে আমার অজ্ঞতার কারণে হোক আর সীমাবদ্ধতার কারণেই হোক সেখানে মন্তব্য করতে অনেক সময় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না। কারণ অনেক সময়ই অনেক কবিতার মূল বিষয়বস্তু ধরতে ব্যর্থ হই। তাই কোন যুক্তিতর্কে খুব একটা যাওয়ার সুযোগ হয় না। কবিতার প্রকাশভঙ্গী যেখানে অনেকটা বদ্ধ, গল্পের বেলায় সেটা অনেকটা কিংবা পুরোটাই প্রকাশিত। তাই গল্পে আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধও করি। এখানে সহজেই যুক্তিতর্কে যাওয়ার সাহস রাখি। তাই হয়তো গল্পের বেলায় সহজে মন্তব্য বিরতি হবে না।

৪। বলা হয় মূলধারা এবং আন্তর্জালে যারা লিখেন তাদের সে ধারার বাইরে মনে করা হয়, এ বিষয়ে আপনার মতামত কি?
উত্তর: সময়ের পরিবর্তনের সাথে এবং প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সাথে সভ্যতার অনেক পরিবর্তন হয়েছে, হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। এখনই মানুষ আন্তর্জাল ছাড়া জীবন কল্পনা করতে পারে না। ভবিষ্যতে এর চাহিদা এবং ব্যবহার বাড়বে বৈ কমবে না। এখনো আন্তর্জালে যারা লিখেন তারা মূলধারায় যাওয়ার একটা চেষ্টা করেন। তাই হয়তো তারা আন্তর্জালের লেখকদের বাহিরের মনে করেন।  আমার বিশ্বাস অদূর ভবিষ্যতে মূলধারা এবং আন্তর্জালে যারা লিখেন এক হয়ে মিশে যাবেন।  এখন আন্তর্জালের লেখকদের বই যে হারে বের হচ্ছে, তাতে করে মূল ধারার লেখকরা আন্তর্জালের লেখকদের যে ভাবনায় অবমূল্যায়ন করে থাকেন, সেটা আর বেশী দিন করতে পারবেন বলে মনে হয় না।  

৫। একটি প্রিয় কবি এবং কবিতার নাম বলুন?
উত্তর:  প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম আর প্রিয় কবিতা নাজিম হিকমতের ‘জেলখানার চিঠি’


মোঃ : আশিকুজ্জামান

প্রশ্ন:  আপনি কত দিন পরপর দেশে আসেন? এসে কি করেন?
উত্তর: একটা লম্বা সময় ধরে দেশে আসি না। তা প্রায় সাত বছর হল।


আনমনা

১) আপনার ব্লগীয় নাম ঘাসফুল জানি,  আপনার প্রকৃত নাম কি?  (বলতেই হবে বাধ্যবাধকতা নেই)
উত্তর:  আতিকুল ইসলাম

২)  ব্লগিং শুরু করার পর কোন বিষয় টি বা নিজের ভেতর কোন পরিবর্তন আপনাকে ভাবিয়েছে অথবা নিজেকে আগের থেকে একটু আলাদা মনে করিয়েছে?
উত্তর: ব্লগিং করার আগে গল্প, উপন্যাস, ছড়া, কবিতা ইত্যাদি পড়ে শুধু অনুভব করতাম। আর ব্লগিং শুরু করার পর এখন অনুভবের পাশাপাশি এসব বুঝারও চেষ্টা করি এবং লেখকের বার্তাটা ধরার চেষ্টা করি।

৩) ব্যক্তিগত জীবনে ব্লগার ঘাসফুল কি এতোটাই গোছালো এবং বিশ্লেষণাত্মক যতটা ব্লগে?
উত্তর:  কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিপরীত। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্লগার ঘাস ফুলের মতোই।

৪) নিজের দুটো খারাপ দিক বলুন যা সুযোগ পেলেই বদলে নেবেন আর দুটো দিক বলুন যা আপনি ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বদলাতে পারছেন না?
উত্তর: ব্লগিং এর পিছনে আর খেলা দেখার পিছনে অনেক সময় দেই। ফলে পরিবারের পিছনে কম সময় দেয়া হয়। ব্লগ আর খেলা দেখার পিছনে পরিমিত সময় দেয়া ভালো। কিন্তু লাগামহীন সময় দেয়া মানে সেটা খারাপ। এই দুটোতেই লাগাম টানতে হবে। আবার এই দুটোকেই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বদলাতে পারছি না।  

৫) প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের দর্শন আলাদা, উপলব্ধি আলাদা, আলাদা তার ভাবনার জগত। বেচে থাকার এবং ফেলে আসা সময়ের জীবন নিয়ে আপনার উপলব্ধি সেই সাথে আপনার জীবনের দর্শন কি?
উত্তর: জীবনে সুখ দুঃখ চক্রাকারে আসে। তাই দুটোকেই মেনে নিয়ে জীবনে সামনে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ। দুঃখের সময় ভেঙে না পড়ে, সুখের স্মৃতিগুলোকে আগলে ধরে বাঁচার জন্য লড়াই করে যাওয়াই শ্রেয়। কোন অবস্থাতেই হাল ছেড়ে দেয়া যাবে না। ফেলে আসা সময়গুলোই আমার অতীত। আমি অতীতকে ভুলে যেতে চাই না। বরং অতীতকে অবলম্বন করে, বর্তমানকে সাথে নিয়ে ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়াতে চাই। যদি তাই না করি, তখন দেখা যাবে ভবিষ্যতই আমাকে আস্তা-কুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে।  

৬) আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি কি? আপনার কি মনে হয়?  
উত্তর: আমাদের পৈতৃক বাড়ি মুন্সি-গঞ্জে। কিন্তু আমার বাবা তার পরিবার নিয়ে চাকুরী সূত্রে গাজীপুরে আবাস গড়েন। পৈতৃক সম্পত্তি যা ছিল সেটা আমার চাচারা ভোগ দখল করে খাচ্ছে। বাবা যখন মারা জান, তখন আমাদের জন্য কিছুই রেখে যেতে পারেন নাই। দীর্ঘদিন আমরা মা ভাই বোন মিলে ভাড়া বাসায় থেকেছি। মুন্সিগঞ্জ ছেড়ে গাজীপুরে ভাড়া থাকতে থাকতে এক সময় আমাদের গায়ে ভাড়াটিয়া খেতাব সেঁটে দেয়া হয়। অনেক কষ্ট করে আমি সেই গাজীপুরেই কয়েক বিঘা জমি কিনে ভাইদের বাড়ি করে দেই। তারা এখন সেখানে সুখে বসবাস করছে। যারা এক সময় আমাদের ভাড়াটিয়া বলতো, দেখা গেছে তাদের অনেকের চাইতেই এখন আমার ভাই বোনেরা শিক্ষা দীক্ষায় জমি জমায় এমন কি অর্থ সম্পদেও এগিয়ে আছে। মা ভাই বোনের এই সুখটা আমাকে অনেক তৃপ্তি দেয়। যদিও জানি এটা হয়তো আমার দায়িত্বের মধ্যেই পরে। তারপরও বলবো মা ভাই বোনের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি, এটাই আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি।  

৭) নক্ষত্র ব্লগ কে এক বাক্যে বর্ণনা করতে বলা হলে?
উত্তর: লম্বা রেসের ঘোড়া, যা অনেক দূর পর্যন্ত যাবে বলে মনে হচ্ছে।

৮) মনে করুন আপনার হাতে সব ক্ষমতা, আজকে আপনারই দিন- চাইলে সংশোধন করে দিতে পারে এমনকি বদলেও দিতে পারেন নক্ষত্র ব্লগের যেকোনো একটা দিক অথবা অংশ। এমন সুযোগ থাকলে ঠিক এই মুহূর্তে কি সংশোধন বা বদলে ফেলতেন? (কোনো সুকৌশলী উত্তর আশা করছিনা।)
উত্তর: ব্লগের স্বার্থে নক্ষত্র কর্তৃপক্ষের প্রতিটা সদস্যকে ভার্চুয়াল জগতে এবং এর বাইরেও যেকোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, স্ট্যাটাস, বা লেখালেখি বন্ধ করে দিতাম। কারণ আমরা বাঙালীরা সবাই কম বেশী দলকানা। আমরা এখনো ততটা উদার হতে পারি নাই। তাই কেউ নিজের দলের বিরুদ্ধে কোন কথা বললে আমরা সহজে মেনে নিতে পারি না। কেউ যাতে বলতে না পারে নক্ষত্র-ব্লগ কর্তৃপক্ষের অমুক ওই দল করে, আমি যাবো না সেখানে। সোজা কথা কর্তৃপক্ষের কারো কোন রাজনৈতিক মতাদর্শের জন্য যেন কোন ব্লগার, নক্ষত্র-ব্লগ বিমুখ না হয়। আমি জানি এই ধরণের চিন্তাভাবনা রক্ষণশীলতার পরিচয় বহন করে। কিন্তু ব্লগটাকে নিয়ে যদি আপনার মনে কোন স্বপ্ন থেকে থাকে, তবে এটা কোন বড় ছাড় নয়।

৯)আপনি যে কয়টা ব্লগে লিখেন তার নামগুলো কি কি? আপনার নিজের কাছে এদের মধ্যে নক্ষত্র কততম অবস্থানে আছে?  
উত্তর: এক সময় আলো ব্লগে লিখতাম। যেখানে ঘাস ফুলের জন্ম হয়েছে। সাত আট মাস সেখানে চুটিয়ে ব্লগিং করেছি। তারপর সেখানকার সঞ্চালকের কর্মকাণ্ডে বিরক্ত হয়ে চলে আসি। তবে মাঝে মাঝে টুকটাক যাওয়া হয় এখনো। শব্দনীড় এবং জলছবি বাতায়নেও মাঝে মাঝে যাই। তবে মূলত ব্লগিং করছি এখন নক্ষত্র-ব্লগেই। তাই এর অবস্থানই এক নম্বরে।

১০) সবকয়টি প্রশ্ন পড়ার পর আপনার মাথায় প্রথম কোন শব্দ বা বাক্যটা অথবা প্রশ্নটা এসেছে আমার উদ্দেশে?
উত্তর: আমারে প্যাঁচগিত ফালাইছেন দেইখা মনে কইছিল, আফনারে হাতের কাছে পাইলে ইচ্ছা মতো ছ্যাছ্যা দিতাম। মাইরা তুলাধুনা কইরা লাইতাম।  


অমিত বাগচী (অন্তহীন)
কখন একজন ব্লগারকে আপনি "স্বার্থক ব্লগার" বলবেন?
উত্তর: সার্থক ব্লগারের সংজ্ঞা হয়তো একেক জন একেক রকম দিতে পারে। তবে আমি মনে করি, পারস্পারিক সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে, ভিন্ন মতালম্বীদের সাথে সহাবস্থান করে মন্তব্য প্রতিমন্তব্য দিয়ে যারা প্রাণবন্ত ব্লগিং করে এবং ব্লগিং উপভোগ করে তারাই আমার দৃষ্টিতে ‘সার্থক ব্লগার’। একজন সার্থক ব্লগার, একজন সার্থক লেখক নাও হতে পারেন।  


জিয়াউল হক
১। আপনার পূর্ণ পরিচয় বলুন (বায়োডাটা)?
উত্তর: এই প্রশ্নের উত্তর ওপরে ইতিমধ্যেই চলে এসেছে। তাই নূতন করে আর বললাম না।

২। আপনার যা কিছু প্রিয়।
উত্তর: ওপরে কিছু প্রিয় এর ব্যাপারে বলা আছে। খেলা (ফুটবল, ক্রিকেট, গলফ, টেনিস, স্নুকার) দেখা খুবই প্রিয়। বলতে পারেন খেলা দেখার পাগল। আর এই পাগলামির জন্য অনেক প্রিয় এখন ঢাকা পরে গেছে। তাই সেগুলো আর বলে লাভ নাই।  

৩। আপনার যা কিছু অপ্রিয়।
উত্তর: দেশের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে, তারা শুধু অপ্রিয়ই নয়, তাদের আমি মন থেকে ঘৃণা করি। দেশদ্রোহী রাজাকার অপ্রিয়। বাকী যেগুলো আছে সেগুলো অপ্রিয় হলেও ইচ্ছা থাকলে হয়তো ঠিক করে নিতে পারবে। তাই আমি একেবারেই অপ্রিয় বলে দূরে ঠেলে দিতে চাই না। তাতে হয়তো ঠিক হওয়ার উৎসাহটাই হারিয়ে ফেলবে।  

৪। আপনার সখ।
উত্তর: ব্লগিং করা, খেলা দেখা

৫। সাহিত্যের কোন শাখায় আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন (পড়তে এবং লিখতে)।
উত্তর: এটার উত্তরটা ওপরে সুমন আহমেদের এক প্রশ্নের জবাবে আছে।

৬। একজন লেখকের জন্য ব্লগ কতটা সহায়ক হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর: যদিও ব্লগকে সাহিত্যের মূলধারার সাথে ধরা হয় না, তারপরও সাহিত্য চর্চার জন্য এখন ব্লগ অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং সহায়ক ভূমিকা রাখছে। তার প্রমাণ হিসাবে এখন বই মেলায় ব্লগারদের প্রচুর বই বের হচ্ছে। ভবিষ্যতে এর পরিমাণ বাড়বে বৈ কমবে না। তবে এই ক্ষেত্রে ব্লগগুলোকে সৃজনশীল হতে হবে। সাহিত্য চর্চার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।

৭। ব্লগিং এর মাধ্যমে একজন লেখক কি সত্যিকারের লেখক হয়ে উঠতে পারবে বলে আপনি মনে করেন ? (যতটা সম্ভব বিস্তারিত বলুন)
উত্তর: একজন সত্যিকারে লেখক হওয়ার জন্য ব্লগ বা অন্য কোন মাধ্যম আসল ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমার মনে হয় না। সত্যিকারের লেখক হতে সর্বপ্রথম আপনাকে একজন ভালো পাঠক হতে হবে। লেখালেখির প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক, মনোযোগী এবং ধৈর্যশীল হতে হবে। জানার কৌতূহল থাকতে হবে। পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর এমন কী পুরো বিশ্বের ওপর যতটা পাড়া যায় নজর রাখতে হবে লেখার উপাদান খোঁজার জন্য। তারপর একটা লক্ষ স্থির করে ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে হবে। তবে সস্তা কোন জনপ্রিয়তার পিছনে ছুটা যাবে না। নিজের লেখার ওপর ভালো আস্থা থাকতে হবে। নিজের শব্দের ভাণ্ডারকে ধীরে ধীরে সমৃদ্ধ করতে হবে। কবিতা, ছড়া, সংগীত এই সব বিষয়ে লেখার সময় অনেক সময় ছন্দ মাত্রা বা তালের দরকার হয়। তাই সেসব বিষয়ে সম্মুখ জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তাছাড়াও যেকোনো লেখার ক্ষেত্রে কিছু প্রাথমিক রীতি নীতি আছে। সেগুলো যতটা পাড়া যায় জেনে নিতে হবে।

৮। কোন ব্লগকে সাহিত্য ব্লগ হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পরও সেখানে ব্লগারদের আজাইরা (রাজনীতি ও অন্যান্য) ফাও প্যাঁচাল পাড়াকে আপনি কতটা সংগত মনে করেন ? (এই প্রশ্নটি এড়িয়ে যাবেন না, গেলে সত্যি সত্যি মামলা দিমু)
উত্তর: রাজনৈতিক প্যাঁচালকে আপনি কখনই সাহিত্যের বাহিরে ফেলতে পারবেন না। সাহিত্যের সব শাখায়ই রাজনৈতিক বিষয়বস্তুর উপস্থিতি আছে। মোদ্দা কথা, আমরা কেউ রাজনীতির বাইরে নই বা থাকা সম্ভবও না। আমি সব সময়ের জন্য আজারাই প্যাঁচালের পক্ষে না, তবে মাঝে মাঝে পক্ষে। এতে করে অনেক সময় একগুঁয়েমি দূর হয় এবং মাথা পরিষ্কার হয়। যারা সৃষ্টিশীল তারা দেখা যায় আজারাই প্যাঁচাল থেকেও তাদের কোন সৃষ্টির রসদ খুঁজে বের করে নেয়।  


সালাহ্‌আদ-দীন
ভাই আপনের নাম ঘাস ফুল রাখছে কে?
উত্তর: ঘাস ফুলের আড়ালে যে আছে সেই আতিকুল ইসলাম

নিক নিয়ে লেখালেখি করতে কেমন লাগে?
উত্তর:  এখনো পর্যন্ত ভালোই লাগছে। তবে ভবিষ্যতের কথা বলতে পারি না।

ব্লগ আর ফেস বুক সমাজের পজেটিভ পরিবর্তনে কিভাবে ভূমিকা রাখতে পারে?
উত্তর: সমাজের অসংগতিগুলোকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে এর কুফল সম্বন্ধে মানুষকে সজাগ করে তুলতে ব্লগ এবং ফেস বুক ভালো ভূমিকা রাখতে পারে। তাতে করে সমাজে পজেটিভ পরিবর্তন আসবে।


গৌতমমূসা মোহাম্মদ কৃষ্ণঈসা
আপনার মন্তব্য দেখে মনে হয় ব্লগের জন্য আপনি অনেক সময় দেন। প্রতিদিন কি পরিমাণ সময় আপনি ব্লগের জন্য বরাদ্দ করেন?
উত্তর: নির্দিষ্ট কোন সময় ব্লগের জন্য বরাদ্দ নেই। তবে যখনই সময় পাই ব্লগে ঢুকে পরি।


হাছান উদ্দিন রোকন   
১) আপনি মনে হয় ছেলে তবে মেয়েদের মত কোমল-মতি নাম "ঘাস ফুল "নামকরণের সার্থকতা তাত্ত্বিকভাবে বিশ্লেষণ করুন।
উত্তর:  জাকিয়া জেসমিন যূথীর একটা প্রশ্নের উত্তরে আপনার এই প্রশ্নের উত্তর পাবেন।

২) আপনি লন্ডনে থাকেন ভাল কথা কি কাম করেন এটাও বিশদভাবে বর্ণনা করুন ।
উত্তর: আশা করছি এটার উত্তরও ইতিমধ্যেই ওপরে পেয়ে গেছেন।

৩) দেশের আদমশুমারিতে আপনার অবদান কতটুকু?
উত্তর:  বাংলাদেশে সর্বশেষ আদমশুমারি হয় ২০১১ তে। ওই সময় আমি দেশে ছিলাম না। তাই আমার অবদান শূন্য।

৪) আপনি এত সুন্দর করে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে কে বাধ্য করে কারণ বর্ণনা করুন ।
উত্তর: আমি সুন্দর মন্তব্য করি কিনা জানি না। তবে যেটুকু করি সেটা পোষ্ট-দাতা নিজেই আমকে বাধ্য করে তার পোস্টের বক্তব্য দিয়ে।


বৈশাখী ঝড়
প্রশ্ন: একজন ব্লগারের কি কি গুণ থাকা উচিৎ বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর:  সমস্ত ব্লগারের সাথে পারস্পরিক সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা, ভিন্ন মতালম্বিদের সাথে সহাবস্থান করা, পোষ্ট না পড়ে মন্তব্য না করা, মন্তব্য এবং প্রতিমন্তব্যের ব্যাপারে আন্তরিক হওয়া, তর্কের খাতিরে তর্ক না করে যুক্তি দিয়ে তর্ক করা, ঝগড়া বিবাদ এড়িয়ে চলা

প্রশ্ন: আপনার  বিদ্যুৎ-স্পর্শী মন্তব্যের টনিক সম্পর্কে জানতে চাই?
উত্তর: লেখকের লেখার বক্তব্যই আমাকে মন্তব্য করতে উৎসাহ যোগায়। সেটা বিদ্যুৎ-স্পর্শী কিনা জানি না।


সুখেন্দু বিশ্বাস
নক্ষত্র সহ বিভিন্ন ব্লগের সহ-ব্লগারগণ বিভিন্ন সমসাময়িক সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সহ নানা বিষয়ে তাদের মতামত, দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি তুলে ধরেন। আপনার কি ধারনা যে, এই লেখাগুলো যাদের উদ্দেশ্য করে বা দৃষ্টি আকর্ষণ করে লেখা হয়, তারা এইগুলো পড়েন? আর পড়ে সে সব বিষয়ের প্রতি তৎপর হন? নাকি ব্লগারদের এই অবিরাম উদ্যোগ বিফলেই পর্যবসিত হয়?
উত্তর: এই বিষয়ে বলতে গেলে অনেক কিছু বলতে হবে। তাই অল্পতেই কিছু বলার চেষ্টা করছি। আশা করছি আমার সীমাবদ্ধতা ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। অনেক ব্লগেই অনেক সময় সমসাময়িক সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সহ নানা বিষয়ে বিভিন্ন জন তাদের মতামত বা দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। এই লেখাগুলো যাদের উদ্দেশ্যে করে তুলে ধরা বা দৃষ্টি আকর্ষণ করা তারা কতটা তৎপর হন, এটা বুঝা মুশকিল। অনেক সময় দেখা যায় তারা নিজেরাই নিজেদের ভুলটা বুঝতে পেরে শুধরে নেয়ার চেষ্টা করছে আবার কোন সময় গণ মাধ্যম বা প্রিন্ট মিডিয়ার কারণে তারা আকর্ষিত হচ্ছে আবার কোন সময় দেখা যায় তারা এই ব্যাপারে কোন দৃষ্টিপাতই করছে না। তবে যারা লেখালেখি করেন তাদের উদ্দেশ্য শুধু দৃষ্টি আকর্ষণই না। তাদের লেখালেখিতে অন্য আরও অনেকেরই হয়তো চোখ কান খুলে দেয়। যা থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেকেই সময় মতো সাবধানতা অবলম্বন করতে পারবে। হয়তোবা একটা গণসচেতনতাও সৃষ্টি হতে পারে। তাই এই ধরণের লেখা অব্যাহত রাখাই উচিৎ। যদি আমরা কলম বন্ধ করি দেই, তখন এই ধরণের কাজ আরও বেশী হবে।

এই মেঘ এই রোদ্দুর
১। দুইন্যাইতে এত গন্ধযুক্ত গন্ধহীন সুন্দর সুন্দর ফুল থাকতে ঘাস ফুল হইলেন কেন মিয়া?
উত্তর: আশা করছি উত্তরটা ওপরে পেয়ে গেছেন।

২। প্রিয় শিল্পী, লেখক, প্রিয় উক্তি, প্রিয় ব্যক্তিত্ব, প্রিয় রাজনীতিবিদ, প্রিয় জায়গা, প্রিয় মানুষ, প্রিয় মুখ কে কে কে কে কইয়া হালান দেহি?
উত্তর:  প্রিয় শিল্পী অনেকেই। একজনের নাম বলি এন্ড্রু কিশোর, প্রিয় লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রিয় উক্তি- মানুষের বিচার্য হোক মনুষ্যত্ব, কোন ধর্ম গোষ্ঠী বা বর্ণ নয়, প্রিয় ব্যক্তিত্ব – ন্যালসন ম্যান্ডেলা, প্রিয় রাজনীতিবিদ – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রিয় জায়গায় আমার গ্রাম- খলাপাড়া, প্রিয় মানুষ আমার মা, বউ এবং সন্তান, প্রিয় মুখ এরাই

৩। বর্তমানে কোথায় আছেন ? সেখানে কেমন লাগে থাকতে আর আপনার সাথে কে কে থাকেন?
উত্তর: লন্ডনে আছি। খুব ঠাণ্ডা লাগে। সাথে আমার বউ এবং আমার একমাত্র ছেলে আছে।

৪। ব্লগিং শুরু কবে থেকে? এত সুন্দর লিখেন কিভাবে? সময় কখন পান এত? রাতে লেখেন না দিনে?
উত্তর: ব্লগিং শুরু করি এক বছর আগে থেকে। এদিক সেদিক কাটছাঁট কইরা ম্যানেজ কইরা লই।

৫। ছোট বেলার প্রেম কন? মানে কোন ক্লাসে প্রেমে পড়েন । আর প্রেমটা কি সিজনাল নাকি? যখন যারে দেখেন ভালা লাইগ্যা যায় আবার চউক্ষের সামনে থাইক্যা গেলেগা ভুইল্যা যান?
উত্তর: ছোট বেলায় একটা কুত্তার প্রেমে পরি। নাম ছিল তার টমি। সে মারা যাওয়ার পর খুব কান্নাকাটি করি। দারুণ প্রভুভক্ত ছিল সে। তখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি। প্রেমটা সিজনাল না। প্রেম হচ্ছে ন্যাচারাল। সবাই সুন্দরের পূজারি। তাই সুন্দরী কাউকে দেখলে ভালোতো লাগারই কথা। তবে সেটা কিন্তু প্রেম ভালোবাসার ভালো লাগা নয়, তাই চইক্ষের সামনে থেকে গেলেগা ভুইল্লা যাই।

 (পোষ্টের বাকী অংশ মন্তব্যের ঘরে)

১ Likes ১৩৯ Comments ০ Share ২৪০৭ Views

Comments (139)

  • - নীল সাধু

    বাহ!!
    দুর্দান্ত লিখেছো ইশতিয়াক
    লাভড ইট 

    - আহমেদ ইশতিয়াক

    অনেক ধন্যবাদ নীলদা...

    - আলভিনা চৌধুরী

    এক্সপার্ট রাইটার ! 

    ভাল্লাগসে। শান্ত নদীর ওপর উড়ে বেড়ানো তোমার আমার স্মৃতি নামের একটা একলা ফড়িং।  

    • - আহমেদ ইশতিয়াক

      ধন্যবাদ মিস আলভিনা...

    • Load more relies...
    Load more comments...