Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

সাইফুল বিন হানিফ

৭ বছর আগে লিখেছেন

জনসংখ্যা হোক জনশক্তি -সাইফুল বিন হানিফ

আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধিই অন্যতম প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসলে যেকোন বিষয়েরই সুষ্ঠু প্রয়োগ না হলে উপকারের পরিবর্তে তা সমস্যা বদ্ধি করে। আমাদের দেশের জনসংখ্যা আমাদের জন্য জনশক্তি না হয়ে হয়েছে সমস্যা। স্বাভাবিকভাবে হিসেব করে বলা হচ্ছে যত জনসংখ্যা ততো জমি নেই। খাদ্য নেই, নেই বাসস্থান কিংবা চাকরি। অতএব জনসংখ্যা কমিয়ে আনলে দেশ সুখ সমৃদ্ধির পথে দ্রুত এগিয়ে যেতে পারবে। প্রচার করা হচ্ছে, ছেলে হোক মেয়ে হোক দুটি সন্তানই যথেষ্ট, একটি হলে আরো ভালো। আশংকা হয় যে এই জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে জনশক্তিতে পরিণত করতে না পারার ব্যর্থতায় আমরা আবার এমন শ্লোগান শুনব কি না, যে দেশে সন্তান অনেক হয়ে গেছে এবার আর না হলেই ভাল। এটা ঠিক যে আমাদের দেশ দরিদ্র, অধিকাংশ জনগোষ্ঠী বড় কষ্টে জীবনযাপন করে। মৌলিক চাহিদা (খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা) থেকে তারা বঞ্চিত। কিন্তু সত্যিকারভাবে তার চেয়েও যেন বেশি দরিদ্র সততায়, স্বচ্ছ মনের। যা অর্থ সম্পদ আছে তা সুষ্ঠুভাবে বণ্টন হলে, বিভিন্ন কার্যক্রমগুলো নিষ্ঠার সাথে পালন হলে জনসংখ্যা কি অন্যতম প্রধান সমস্যা হত? সম্পদের বেশিরভাগ অল্পকিছু লোক ভোগ করে আর বেশিরভাগ মানুষ ভোগ করে অল্প কিছু সম্পদ। গোটা সমাজের দিকে তাকালে দেখা যাবে জনসংখ্যার বেশিরভাগই অযোগ্য। এই অযোগ্যতা কেবল অর্থনৈতিক বা শিক্ষাগত ক্ষেত্রের কথা বোঝাচ্ছি না। বরং প্রতিটি সুনাগরিকই দেশের জন্য উপকারী। কিন্তু এইসব সুনাগরিক (সৎ, বিবেকবান, পরিশ্রমী, দায়িত্বসচেতন) তৈরি হবে কোথায়? একটি শিশুর জন্য তার পরিবারই তার পিতামাতাই, বিশেষ করে তার মা-ই (যেহেতু আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশে এখনো যথেষ্ট পরিমাণ মায়েরা গৃহিণী, উন্নত বিশ্বে অবশ্য মা-বাবা দু'জনই ব্যস্ত) তার প্রথম ভিত্তি রচনা করে দিবে। কাজেই স্বাভাবিকভাবে শিক্ষিত, সুস্থ, স্বচ্ছল (স্বচ্ছল কিন্তু বিলাসিতায় ভরপুর নয় এমন ফ্যামিলি) পরিবারের সন্তানেরাই সু-নাগরিক হবার সুযোগ পায়। ব্যতিক্রমের কথা আলাদা। বই পড়েই কেউ হয় ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু ডাক্তারের ভূমিকায় সে যেন সৎ থাকে কিংবা কোন ইঞ্জিনিয়ার ঘুষ থেকে দূরে থাকবে এই শিক্ষা ঐ প্রাচ্য বইয়ে লেখা থাকে না। পারিবারিক মূল্যবোধ একটি সন্তানকে সুনাগরিক হয়ে উঠতে খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে।

পরিবেশ ও প্রকৃতি বিপর্যয়ের ফলে দ্রুতমাত্রায় পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে তৃতীয়বিশ্বের দেশসমূহ আক্রান্ত হচ্ছে বেশী। আমাদের দেশে এর অন্যতম কারণ অধিক জনসংখ্যা। বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারী বেসরকারী উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে অধিক সন্তান জন্মদানে অধিক লাভ আবার কেউ কেউ মুখ দিয়াছেন যিনি আহার দিবেন তিনি। এই নীতিতে উতসাহী হয়ে অধিকহারে জন্ম দিয়ে চলছেন। বাংলাদেশের প্রকৃত জনসংখ্যা সর্ম্পকে সরকারী পরিসংখ্যান থাকলেও প্রকৃতপক্ষে জনসংখ্যা আরো বেশী হতে পারে বলে অনেকের ধারণা। তিন দশক পূর্বে ‘দুটি সন্তানেই যথেষ্ট’নীতির অনেক অগ্রগতি হলেও পরবর্তীতে ‘সন্তান একটি হলে ভালো হয়’, এ আন্দোলন তেমন জনপ্রিয় বা কার্যকর হয়নি। বাংলাদেশের সার্বিক সমস্যার মূলবিন্দু হচ্ছে অধিক জনসংখ্যা। স্খান, জল, খাদ্য, শিক্ষা, চিকিতসা, প্রকৃতি, পরিবেশ যাই বলুননা কেন, সব সম্যার একটাই কারণ.. অধিক জনসংখ্যা। আজকাল রাস্তাঘাটে বেরুলে মানুষ দেখে গিনিপিগের মত মনে হয় । কোথায় ছিলো এত মানুষ?

জনসংখ্যা সমস্যা প্রধান ও একমাত্র সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে অবিলম্বে নতুন আইন ও নীতি চালু করা হোক। দুটি সন্তানের বেশী সন্তান আছে এমন কারো সন্তান সরকারী স্কুল কলেজে লেখাপড়া করতে পারবে না এবং চিকিতসা সহ অনেক সরকারী সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে। সরকারী চাকুরী নীতিমালায় একটি সন্তান রয়েছে এমন প্রার্থিদের অগ্রাধিকার এবং ভবিষ্যতে আর সন্তান নেবে না এমন দম্পতিদের চাকুরী দেয়া বাধ্যতামূলক করা হোক। সরকারী চাকুরীজীবিরা নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পর দুটি সন্তানের অধিক সন্তান নেবেন না আর নিলে চাকুরী থেকে অব্যহতি । এরকম নতুন আইন ও নীতিমালা খুবই প্রয়োজন।

 

Likes Comments
০ Share

Comments (0)

  • - শাহআজিজ

    আমিও পারলে সব ফুল কিনে নেই । কম করে হলেও ওর দুবেলার খাবারতো জুটবে ।

    • - আমির ইশতিয়াক

      আপনার মতো যদি সবাই এমন করতো তাহলে ওদের জীবনটা আরো সুন্দর হতো। ধন্যবাদ প্রিয়