লাল নীল দীপাবলি বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী বাংলাদেশের অন্যতম প্রথাবিরোধী লেখক হুমায়ুন আজাদ রচিত একটি কিশোরসাহিত্য-গ্রন্থ। ১৯৭৬ সালে প্রথম বাংলা একাডেমী ঢাকা থেকে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে আগামী প্রকাশনী, ঢাকা থেকে এটি পুনরায় গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
আজাদ এই গ্রন্থটি উৎসর্গ করেছেন নাজমা বেগম, সাজ্জাদ কবির এবং মঞ্জুর কবিরকে।
এই গ্রন্থে মোট ছাব্বিশটি প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে:
বাঙলা সাহিত্যের তিন যুগ প্রাচীন (৯৫০-১২০০), মধ্য (১৩৫০-১৮০০), আধুনিক (১৮০০-বর্তমান)প্রথম প্রদীপ: চর্যাপদ
চর্যাপদ লিখিত হয় প্রাচীন যুগে। ১৯০৭ সালে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবার থেকে আবিষ্কার করেন। ২৪ জন বৌদ্ধ বাউল কবি মোট ৪৬টি পূর্ণ কবিতা লিখেছিলেন। এর মধ্যে কাহ্নপাদ বারোটি, ভুসুক পাদ ছটি, সরহপাদ চারটি, কুক্কুরী পাদ তিনটি, লুইপাদ, শান্তপাদ, শবরপাদ দুটি এবং বাকিরা একটি করে কবিতা লিখেছেন।
অন্ধকারে দেড়শ বছর
১২০০ থেকে ১৩৫০ অব্দের কোন বাংলা রচনা পাওয়া যায় না।
উজ্জ্বলতম আলো: বৈষ্ণব পদাবলি
দীনেশচন্দ্র সেন ১৬৫ জন বৈষ্ণব কবির নাম জানিয়েছেন। বৈষ্ণব কবিতার চার মহাকবি হলেন বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, জ্ঞানদাস এবং গোবিন্দদাস। এছাড়া আছেন অনন্তদাস, উদ্ধবদাস, নরোত্তম দাস, নাসির মামুদ, বলরাম দাস, বৈষ্ণব দাস, লোচন দাস, শ্যামদাস, সেখ জালাল, শেখর রায়, তুলসী দাস। বৈষ্ণব কবিতার মূল বিষয় রাধা-কৃষ্ণের প্রেম। রাধা ও কৃষ্ণ একে অপরকে চায় কিন্তু মাঝখানে প্রবল বাঁধা, তেমনি সৃষ্টি এবং স্রষ্টা একে অপরকে চায় কিন্তু মাঝখানে দুর্লঙ্ঘ বাঁধা- এ দুয়ের তুলনা করেছেন বৈষ্ণব কবিরা। বৈষ্ণবদের মতে রস ৫ প্রকার- শান্ত, দাস্য, বাৎসল্য, সখ্য, মধুর। বাবা আউল মনোহর দাস ষোড়শ শতকের শেষপ্রান্তে প্রথমবারের মত বৈষ্ণব পদাবলী সংগ্রহ করেন, প্রকাশ করেন পদসমুদ্র নামক এক বিশাল গ্রন্থ। এরপরের সংকলনের মধ্যে আছে রাধামোহন ঠাকুরের পদামৃতসমুদ্র, বৈষ্ণব দাসের পদকল্পতরু, গৌরীমোহন দাসের পদকল্পলতিকা, হরিবল্লভ দাসের গীতিচিন্তামণি, প্রসাদ দাসের পদচিন্তামণিমালা।
Comments (2)
যে স্বপ্ন বাঁচার স্বপ্ন বুনে,
আলো আঁধারে বিরহ বিলাপ; কত ক্ষুধার শরীর বিবর্ণ আঁচে
অজাচার দুঃখ বোধে মৃত্যু সমীপে; এবার উঠ! উঠ দর্পভরে সন্তাপ ভুলে
খুঁজে ফিরি সিঁথানে সব যন্ত্রণা বিনাসী চেরাগ।
//খুঁজে ফিরি সিঁথানে সব যন্ত্রণা বিনাসী চেরাগ//
প্রিয় কবিকে অনেক শুভেচ্ছা রেখে গেলাম..........