Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

মুখোশের ফেরীওয়ালা

৯ বছর আগে লিখেছেন

প্রহর শেষের রাঙা আলোয়

টি এস সির সোপার্জিত স্বাধীনতার সামনে বসে আছে প্রহর। শরীরে অস্থিরতার চিহ্ন স্পষ্ট। কিছুক্ষন পর পর মোবাইলটা কানে চেপে ধরছে। কিন্তু ওপাশ থেকে কেউ না ধরায় বিরক্ত হয়ে মোবাইলটা কেটে দেয় দিয়ে একটা সিগারেট ধরায়। আরো কিছুক্ষন ব্যাস্ত চোখে এদিক ওদিক তাকিয়ে ঊঠে রুবেলের চায়ের দোকানের দিকে হাটা দেয়। রুবেলকে আরেক কাপ চা দিতে বলে, টি এস সির সামনের দেয়ালে পা ঝুলে বসে সিগারেট টানতে থাকে। আবার মোবাইল বের করে ফোন দেয়, কিন্তু এবারো ধরে না। ও কিছুই বুঝতে পারে না। আজ ওর জন্য একটা বিশেষ দিন। প্রায় দুই বছর ভালবেসে আজ ওর ভালবাসা পাবার দিন। মায়া, ওর ভালবাসার নাম। পরস্পরের সহপাঠী ওরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বছর থেকেই প্রেমে পড়ে গিয়েছিল প্রহর। কিন্তু স্বভাবে লাজুক হবার কারনে বলা হয়ে ওঠেনি। তবে কথা হত কিন্তু সেটা সহপাঠী সুলভ বন্ধুত্বেই সীমাবদ্ধ ছিল। মাঝে মাঝে একসাথে বাসে বাড়ী ফেরা ছাড়া আর কখনোই প্রহর ওকে একা পায়নি। অবশেষে বন্ধুদেরকে আর না বলে থাকতে পারেনি। প্রথমে বন্ধুরা অনেক অবাক হলেও পরবর্তীতে ব্যাপক খাটাখাটনি করে রাজী করায় মায়াকে। তারপর মুঠোফোনের সুবাদে পরিচয়টা আরো ঘনিষ্ট হয়। আজ মায়া নিজেই বলেছিল আসবার কথা। সেটা ভেবেই ও ওর ভালবাসার কথা লিখে এনেছিল ছোট্টো একটা চিঠিতে। চিঠিটা পকেটে নিয়ে প্রহর সেই সকাল থেকে অপেক্ষায় আছে, কিন্তু মায়ার দেখা নেই। ফোনও ধরছে না। মায়ার কিছু হলো কিনা সেটা ভেবে আরেকবার ফোন দিতেই, ওপাশ সংযোগ দেওয়া সম্ভব নয় শুনতেই রাগে মুখটা লাল হয়ে ওঠে ওর। কেটে দিয়ে আদিবকে ফোন দেয়, আদিব মায়ার সবথেকে কাছের বন্ধু। একটু হাবাগোবা, পড়া ছাড়া কিছুই বোঝে না। আদিব ওকে জানায়, মায়া আজ শুধু সকালের ক্লাস করেই বাড়ি ফিরে গেছে। কি নাকি কাজ আছে। শুনে প্রহর আরো অবাক হয়। তাহলে ওর ফোন কেন ধরছে না। পকেট থেকে চিঠিটা চোখের সামনে মেলে ধরে ও। পড়তে পড়তেই রেগে কাগজটাকে বল বানিয়ে পেছন দিকে ছুড়ে ফেলে উঠে দাঁড়ায়। রুবেলকে চায়ের দাম দিয়ে হাটা দেয় শাহবাগের দিকে। ও খেয়াল করে না, ওর পিছন দিকে দাঁড়ানো একজন ফরাসী তরুনী অবাক হয়ে ওর ছোড়া কাগজের বল খুলতে শুরু করেছে। খুলতে খুলতেই রুবেলের দোকানের দিকে তাকায় মেয়েটা। কাগজাটা খোলা হয়ে গেলেই দেখে বাংলায় কিছু একটা লেখা আছে। সে বাংলা পড়তে না পারায় ওর সাথে থাকা বন্ধুদের দেখায়। বন্ধুরা চিঠিটা দেখেই হাসাহাসি শুরু করে। ও কোথায় পেল জিজ্ঞেস করতেই ঘটনাটা বলে। ও জিজ্ঞেস করে কি ওটা, বন্ধুরা হেসে বলে একটা প্রেমপত্র। কি লেখা আছে সেটা জিজ্ঞেস না করে ফেরত চেয়ে রুবেলে দোকানের দিকে হাটতে থাকে। বন্ধুরা ওর যাওয়া দেখে হাসতে থাকে। মেয়েটা রুবেলকে ইংরেজীতে কিছু জিজ্ঞেস করলে রুবলে ওকে ইংরেজিতেই জানায় ও ভালো ইংরেজী বলতে পারে না। মেয়েটা ওর বন্ধুকে ডেকে বলে, রুবেলকে জিজ্ঞেস করতে ওর দোকানে একটু আগে যে ছেলেটা বসে ছিল, ওর নাম কি? বন্ধুটি অবাক হলেও রুবেলকে জিজ্ঞেস করে। রুবেল জানায় ছেলেটির নাম প্রহর। ঢাকা ইউনিভার্সিটিতেই পড়ে। বন্ধুটি মেয়েটিকে জানায়। মেয়েটি কোন ডিপার্টমেন্ট জিজ্ঞেস করতে বলে। কিন্তু রুবেল জানায় সে জানে না। তবে ওর কাছে প্রহরের নাম্বার আছে। মেয়েটিকে জানালে, ও দিতে বলে। কিন্তু বন্ধুটি ওকে বাধা দিয়ে বলে, এটা কিন্তু বাড়াবাড়ী হয়ে যাচ্ছে। একটা ফালতু চিঠির জন্য নাম্বার না নিয়ে ভুলে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। কিন্তু মেয়েটি নাছোরবান্দা। অগত্যা বন্ধুটি রুবেলের কাছ থেকে নাম্বারটা নিয়ে মেয়েটিকে দিলে সে সুন্দর একটা হাসি দিয়ে ধন্যবাদ জানায়।

মেয়েটির নাম, écarlate emeline. কিন্তু কেউ ওর নাম ঠিকমত উচ্চারন করতে না পারায় বন্ধুরা ওকে স্কারলেট(Scarlet) বলে ডাকে। মেয়েটি ফরাসী নাগরিক। বাংলাদেশে এসেছে উচ্চশিক্ষা নিতে। সেই সুবাদেই টিএসসিতে আড্ডা দেওয়া হয়। সেদিনের সেই ঘটনার পরে মেয়েটি একধরনের অস্থিরতায় ভুগতে থাকে। মাঝে মাঝে চিঠিটা নিয়ে বসে শুধু তাকিয়ে থাকে। বন্ধুদের পরামর্শে নিলক্ষেত থেকে অনেক খুজে একটা ফরাসী থেকে বাংলা অভিধান কিনে এনে অনুবাদ করে। অনুবাদ পড়েও অর্থ ঠিকমত বুঝতে না পেরে আরো অস্থির হয়ে যায়। বন্ধুরা ওর এই ধরনের আচরনের পরিচিত না হওয়ায় ওরা চিন্তিত হয়ে পড়ে। দূর দেশ থেকে এসে এখানে যদি কোন বিপদে পড়ে সেই আশংকায় ওরা ওকে বোঝায়। কিন্তু স্কারলেট কিছুই বোঝে না। ও বলে ও শুধু বুঝতে চায় কি লেখা আছে চিটিতে। কেন ছুড়ে ফেলেছিল। ওর বন্ধুরা শেষ চেষ্টা হিসেবে বলে সেটা বুঝতে হলে, তোকে বাংলা শিখতে হবে। পুরো বাংলা ভাষা শিখতে হবে। বাংলা কবিতা পড়তে হবে। কিন্তু সেটা ওর জন্য অনেক কষ্টের। এটা ভেবেই বন্ধুরা ভাবে এইবার মনে হয় ক্ষান্ত দেবে। স্কারলেটকে কিছু না বলে চুপচাপ বসে থাকতে দেখে বন্ধুরা ধরে নেয় ও মেনে নিয়েছে। কিন্তু ও মনে চিন্তা করছে শেখার কথা, সেটা বন্ধুদের বুঝতে দেয় না। সেদিনের মত আড্ডা শেষে হলে ফিরে স্কারলেট ওর রুমমেটকে জিজ্ঞেস করে কোথায় বাংলা শেখা যায়। ওর রুমমেট খুব অবাক হলে ও ঘটনাটা খুলে বলে। ওর রুমমেট ওকে ভাষা ইন্সটিটিউটে খোজ নিতে বলে। সেই শুরু, তারপর অনেক কষ্টে ও শুরু করে বাংলা শেখা। ব্যাপারটা সহজ নয় ওর জন্য। কিন্তু ওর জেদ, ও শিখবেই। শিখে কি করবে সেটাও ওর কাছে পরিষ্কার না। কিন্তু যার জন্য এতকিছু, তার শুধু নাম্বার ছাড়া আর কিছুই নেই। ও এরই মাঝে খোজ নেওয়া শুরু করে। খোজ নেবার পাশাপাশি ও শিখতে থাকে বাংলা ভাষা। বিভিন্ন যায়াগায় দৌড়াদৌড়ী করে ও জানতে পারে, প্রহরের পুরো নাম আরন্যক হাসান প্রহর। এপলাইড কেমিস্ট্রিতে মাস্টার্স করছে। থাকে একুশে হলের ২১২ নাম্বার রুমে। তারপর টানা ৮ মাস ও প্রচন্ড খাটাখাটনি করে বাংলা ভাষা শিখে একদিন বন্ধুদেরকে পুরোপুরী চমকে দেয়। সেদিন রাতেই ব্যাগের বইয়ের ভাজ থেকে সেদিনের কাগজটা বের করে প্রহরের নাম্বার ডায়াল করে। ওপাশে রিং হতেই ও ফোনটা কেটে দিয়ে টেবিলের উপরে রাখে দেয়। ওর রুমমেট ওর আচরনে অবাক হয়। এধরনের অস্থিরতা সে জানে। কিন্তু এটা তো বাঙ্গালী মেয়েদের ক্ষেত্রেই দেখা যায়। স্কারলেট তো কয়েকদিন হল বাংলাদেশে এসেছে। এর মাঝেই ও প্রেমে পড়ে গিয়েছে এবং বঙ্গ ললনাদের মত করে অস্থির হয়ে আছে কিন্তু বলতে পারছে না। স্কারলেটকে ফোনটা আবার কানে চেপে ধরতে ও একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে পড়ায় মন দেয়। স্কারলেট ফোনটা কানে চেপে ধরে রিং শুনতে থাকে। হটাত ওপাশ থেকে ভরাট গলায় হ্যালো শুনেই ভয়ে কেটে দেয় ফোন। ফোনটা রেখে দেয় টেবিলের উপরে। হটাত রিং বেজে উঠতেই তাড়াতাড়ি ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে প্রহর ব্যাক করেছে। ওপাশ থেকে বিরক্তি নিয়ে কে জিজ্ঞেস করতেই স্কারলেট উত্তর দেয়। প্রহর একটা মেয়ের কন্ঠ শুনে অবাক হয়ে আবার জিজ্ঞেস করে কে এবং কি চায়। স্কারলেট কি বলবে ভেবে পায় না, তবে পরিচয় দিয়ে বলে ও ওর বন্ধু হতে চায়। প্রহর অবাক হলেও পাত্তা না দেবার মত করে বলে এখন ব্যাস্ত আছে, পরে কথা হবে। বলেই ফোনটা কেটে দেয়। কিছুক্ষন গুম হয়ে থেকে ঘটনাটা বোঝবার চেষ্টা করে ও। কিন্তু একটা সিগারেট ধরি ভাবতে থাকে, মেয়েটি বাংলা বলতে পারলেও বিদেশি একটা টান আছে। ঢাবিতে অনেক বিদেশী মেয়ে পড়লেও ওর পরিচিত কেউ আছে কিনা ভাবার চেষ্টা করে। না পেয়ে একটা সিগারেট ধরায় ও। এরই মাঝে মোবাইলে একটা এসএমএস এলে মোবাইলটা হাতে নেয়। দেখে মেয়টাই পাঠিয়েছে। যতটা না অবাক হয় এসএমএসটা পড়ে আরো বেশি অবাক হয়। যখন জানতে পারে ওর সাথে বন্ধুত্ব করবে বলেই মেয়েটা পরিশ্রম করে বাংলা শিখেছে। ও শুধু ওর বন্ধু হতে চাইছে। ও কোন উত্তর দেয় না। মোবাইলটা রেখে রাতের খাবার খেতে যায় ও। খেয়ে এসে কিছুক্ষন বই নিয়েবসলেও পড়া হয় না। সারাক্ষন ওর মাথায় ঘুরতে থাকে মেয়েটার কথা। মনে পড়ে যায় মায়ার কথা। মনে পড়ে যায় গত৭-৮ মাস ধরে অগোছালো জীবন যাপনের কথা। স্বাভাবিক জীবন থেকে অনেকটাই দূরে সরে গেছে মায়ার কাছ থেকে কষ্ট পেয়ে। ভালই তো ছিল, হঠাত স্কারলেটের ফোন আবার সবকিছু ওলট পালট করে দিল। দেবে না দেবে না করেও গভীর রাতে শুভরাত্রি জানিয়ে একটা এসএমএস পাঠায় স্কারলেটের নাম্বারে। কোন উত্তর না ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু স্কারলেট প্রহরের উত্তরের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে গুমিয়ে পড়ায় ও উত্তর দিতে পারে না। সকাল ঘুম ভেঙ্গেই প্রহরের এসএমএস দেখে খুশিতে চিতকার করে ওঠে। রুমে ও একা থাকায় কোন সমস্যা হয় না। তখনই ফোন দেয় প্রহরকে। প্রহর তখন ডিপার্টমেন্টে ছিল। ফোন ধরতেই স্কারলেট দুঃক্ষপ্রকাশ করে জানায় রাতের ঘটনা। প্রহরের একটা ক্লাস থাকায় ও ব্যাপার না বলে ক্লাসের কথা জানিয়ে ফোনটা কেটে দেয়। স্কারলেট উড়তে উড়তে তৈরী হয়ে বের হয়। বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে বেরায়। বন্ধুরা এত খুশীর কারন জানতে চাইলে বলে সারপ্রাইজ আছে। এভাবেই শুরু হয় ওদের কথা বলা। রাত নেই দিন নেই, ওদের আলাপ চলতে থাকে। কখনও ফোনে, কখনও এসএমএসে। ধীরে ধীরে কমতে থাকে ওদের দুরত্ব। দেখাও হয় অল্পস্বল্প। পরস্পরের বন্ধুদের সাথেও পরিচিত দেয়। একদিন প্রহর হঠাত ওর নাম্বার কিভাবে পেল জানতে চাইলে স্কারলেট হেসে বলে সামনে পহেলা বৈশাখ। ওইদিন বলব। বৈশাখের বেশি দেরী নেই দেখে প্রহর আর কিছু বলে না।

পহেলা বৈশাখ সকাল বেলায় স্কারলেটের ফোনে ঘুম ভাঙ্গে প্রহরের। ওকে তাড়াতাড়ী উঠে তৈরী হয়ে বেরোতে বলে। প্রহর সম্মতি জানিয়ে ঊঠে পড়ে। কয়েকদিনের না কামানো দাড়ি সেভ করে গোসল করে বের হয়। গায়ে স্কারলেটের দেওয়া গাড় কমলা রঙের পাঞ্জাবী। স্কারলেট ওকে বলে সোহরাওয়ার্দীর অভিজিৎ চত্বরে অপেক্ষা করতে বলে। প্রহর পৌছে দেখে স্কারলেট আসেনি। ও স্কারলেটকে ফোন দেয়, কিন্তু ধরে না। ও পুরোনো আশঙ্কায় ডুবে যায়। স্কারলেট জানে মায়ার কথা। ও সব বলেছে, তারপরও কি স্কারলেট ওর সাথে এমন করবে। ভাবতে ভাবতে একটা সিগারেট ধরায়। হটাত একটা ফুল বিক্রি করা পিচ্চি এসে ওর হাতে একটা গোলাপ আর একটা কাগজ ধরিয়ে দিয়েই চলে যায়। ও অবাক হয়ে ডাকলেও পিচ্চিটা পালিয়ে যায়। ও কাগজটা খুলে দেখে ভেতরে একটা কবিতা লেখা।

“প্রহর শেষের রাঙা আলোয় সেদিন চৈত্রমাস

তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।।

এ সংসারের নিত্য খেলায়, প্রতিদিনের প্রানের মেলায়

বাটে ঘাটে হাজার লোকের হাস্য পরিহাস-

মাঝখানে তার তোমার চোখে আমার সর্বনাশ।।

আমের বনে দোলা লাগে, মুকুল পড়ে ঝড়ে-

চিরকালের চেনা গন্ধ হাওয়ায় ভরে ওঠে

মজুরিত শাখায় শাখায়, মৌমাছিদের পাখায় পাখায়

ক্ষনে ক্ষনে বসন্ত দিন ফেলছে নিশ্বাস-

মাঝখানে তার তোমার চোখে আমার সর্বনাশ” 

ও অবাক হয়ে যায়, কারন এই কবিতাটাই সেদিন মায়ার জন্য লিখে এনেছিল। যদিও মাত্র প্রথম দু-লাইন ছিল কবিতাটার। ও কাগজটা নিয়ে এদিক ওদিক তাকাতে থাকে পাগলের মত। হটাৎ পেছনে তাকিয়ে দেখ, লাল পেড়ে সাদা শাড়ি পরে দাঁড়িয়ে আছে স্কারলেট। ছেড়ে দেওয়া চুল, কানের কাছে গোজা ফুলে অপুর্ব লাগচ্ছে ওকে। প্রহর এগিয়ে যায় ওর দিকে। হাতটা বাড়িয়ে দেয়, স্কারলেট হেসে ওর হাতটা ধরে। অভিজিৎ চত্বরে প্রহরের হাতটা কনুইয়ের কাছে ধরে ওর কাধে মাথা রেখে স্কারলেট বসে বলতে থাকে সব ঘটনা। প্রহর আরেক হাতে ধরে দেখতে থাকে চিঠিটা।

Likes Comments
০ Share

Comments (5)

  • - এই মেঘ এই রোদ্দুর

    সুন্দর

    • - সোহেল আহমেদ পরান

      ধন্যবাদ আপা।

      ভালো থাকুন... শুভেচ্ছা 

    - টোকাই

    দারুণ । ভালো লাগলো ।

    সোহেল ভাই , হয়তো আমার স্মৃতি ভ্রষ্ট হতে পারে । কিন্তু কেমন যেন মনে হচ্ছে এরকম কবিতা আগেও পড়েছি । যাইহোক , তারিখ দেখে জোর দিয়ে সে কথা বলতে পারছি না ।

    তবে কবিতাটি বেশ !!

    • - সোহেল আহমেদ পরান

      আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম (প্রথম লাইনে)। ধন্যবাদ।

      মাঝের অংশ নিয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না। লুমিনারিয়া নিয়ে ঠিক এক মাস আগে দুলাইনের একটা স্ট্যটাস দিয়ে ছিলাম ফেসবুকে। লুমিনারিয়ার ছবিসহ। গত এক মাসের প্ল্যানিং এ দেশের সার্বিক অবস্থা নিয়ে কষ্ট ও বেদনাবোধ থেকে এ লাইনগুলো লেখা দুদিন আগে। 

      আমার অবশ্য জানা নেই, লুমিনারিয়া নিয়ে অন্য কেউ লিখেছেন কিনা। লিখে থাকতেও পারেন। গুগুল করলে পাওয়া যেতে পারে। 

    • Load more relies...
    - মামুন

    মুগ্ধ হলাম কবি!

     

    ভালো লাগা রেখে সাথেই রইলাম।

    • - সোহেল আহমেদ পরান

      আপনার মুগ্ধতায় আমি যারপরনাই অনুপ্রাণিত হলাম প্রিয় মামুন ভাই। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

      ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা অবিরাম। emoticons

    Load more comments...