Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Travel Image

শীতে ভ্রমণে সতর্কতা

শীত চলে এসেছে। যারা ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন তারা নিশ্চয় মুখিয়ে ছিলেন এই সময়টির জন্যে। নিশ্চয় নানা চিন্তার ভাবনার মধ্যে পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছেন, এই শীতে কোথায় ঘুরতে যাবেন? এটি ঠিক করতে নিশ্চয় আপনি খুব ব্যস্ত। কিন্তু কোথায় ভ্রমণ করবেন তার চেয়েও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার নিয়ে ভাবতে হবে। নিজের জায়গা থেকে অনেক দূরে ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকলে ভ্রমণকালীন সময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সম্পর্কিত বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর ভ্রমণে বের হন। ভ্রমণকালীন সময়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা মেনে চলুন।

১। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন:
হাত ধুয়ে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, কোনো খাদ্যদ্রব্য পরিবেশনের আগে, পরিবেশনের সময় এবং হাত দিয়ে খাবার খাওয়ার সময় দু'হাত ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

২। কাঁচা ও প্রস্তুতকৃত খাবার খান:
বিভিন্ন শহরের রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে সাধারণত খোলাভাবে খাবার পরিবেশন করা হয় ভ্রমণ পিপাসুদের আকৃষ্ট করার জন্য। মনে রাখতে হবে, হোটেল-রেস্টুরেন্টে যাতে কাঁচা খাবারের সংস্পর্শে প্রস্তুতকৃত খাবার না থাকে। কারণ কাঁচা খাবারে অনেক প্রাণঘাতী রোগজীবাণু থাকে যা প্রস্তুতকৃত খাবারকে দূষিত করতে পারে।

৩। নিরাপদ পানি ও খাদ্য গ্রহণ করুন:
পানি ও বরফসহ কাঁচা খাদ্য উপকরণ মারাত্মক জীবাণু ও রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা দূষিত হতে পারে। বাসি ও ছাতা পড়া খাদ্যে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ সৃষ্টি হতে পারে। কাঁচা খাদ্য ভালোভাবে ধুয়ে ও খোসা ছাড়িয়ে নিলে খাদ্য বাহিত রোগের ঝুঁকি কমে যায়।

যা হতে পারেঃ

১। ভ্রমণে সাধারণত পানি বা খাদ্যবাহিত জীবাণুর কারণে ডায়রিয়া হয়ে থাকে। ভ্রমণে ডায়রিয়া হঠাৎ করে বমি, জ্বর এবং তীব্র পেট ব্যথার মাধ্যমে শুরু হয়। ভ্রমণে যদি প্রচণ্ড গরম অনুভব হয় তবে প্রচুর পরিমাণ পরিষ্কার বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।

২। ভ্রমণে বাচ্চাদের বিশেষ করে পরিষ্কার পানি খাওয়ানোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। কারণ যেহেতু বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাই বাচ্চাদের খুব সহজে পানিবাহিত ও খাদ্যবাহিত অসুস্থতা যেমন ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয়, টাইফয়েড ইত্যাদি দেখা যেতে পারে। যদি কোনো কারণে বাচ্চাদের ডায়রিয়া, কলেরা বা আমাশয় দেখা দেয় তবে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রচুর পরিমাণ ওর স্যালাইন খাওয়াতে হতে। মনে রাখতে হবে, কোনোভাবেই যেন বাচ্চার পানিশূন্যতা তৈরি না হয়। বাচ্চার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন না হলে বাচ্চাকে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।

টিপসঃ

ভ্রমণকে দুশ্চিন্তামুক্ত, আনন্দময় করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ সঙ্গে নিতে ভুলবেন না। বিশেষ করে ওরস্যালাইন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন ট্যাবলেট, প্যারাসিটামল ট্যাবলেট, এন্টিসেপটিক ক্রিম, কিছু ব্যান্ডেজ, গজ ইত্যাদি। এই শীতে আপনার ভ্রমণ আনন্দদায়ক হোক।