১। সঠিক ব্যাগটি নির্বাচন করুনঃ
এটা নির্ভর করছে আপনি কি কি ব্যাগে নিবেন তার উপর। কিন্তু নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।
আকারঃ
যদি অনেক দূরে বেড়াতে যান তবে ছোট সাইজের ব্যাগ নেওয়ায় ভাল। আবার যদি প্লেনে ভ্রমণ করেন তাহলে সেখানের আইন অনুসারে ব্যাগের আকার ঠিক করতে হবে। আর যদি কিছু অতিরিক্ত জিনিস নিতে চান যেমন শীতের পোশাক, গিফট, ল্যাপটপ, ক্যামেরা ইত্যাদি তাহলে একটু বড় ব্যাগ প্রয়োজন হবে।
ওজনঃ
যারা প্লেনে ভ্রমণ করে তাদের জন্যে এই ব্যাপারটি খুবই প্রয়োজনীয়।নিয়ম নীতির দিকে খেয়াল রাখুন। ভারী ও বড় হ্যান্ডেলের ব্যাগগুলো পরিহার করা ভালো এবং একটি আরামদায়ক ব্যাগ নির্বাচন করাই শ্রেয়।
স্টোরেজঃ
ব্যাগের কয়েকটি চেইন বা পকেট আছে দেখে নিন। কেননা অনেকগুলো চেইন থাকলে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আরো ভালোভাবে সাজিয়ে রাখা যায়।
২। খুঁজে বের করুন কোন জিনিসপত্র আসলেই দরকারঃ
বিভিন্ন সময়ের ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতা থেকে খুঁজে বের করুন যা ছাড়া আপনার ভ্রমণ অসম্পূর্ণ হবে। কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসের নমুনা দেওয়া হলঃ
ক) রাতে ঘুমানোর পোশাক
খ) টুথব্রাশ, সাবান, শ্যাম্পু
গ) ওষুধ পত্র
ঘ) জুতো
ঙ) পানির বোতল ইত্যাদি।
৩। প্যাক করার সময় কৌশলী হোনঃ
দুই উপায়ে এই কাজটি করতে পারেন। এক বান্ডিল পদ্ধতি এবং দুই রোলিং পদ্ধতি।
বান্ডিল পদ্ধতিতে টুথব্রাশ, সাবান, শ্যাম্পু ইত্যাদি ছোট ছোট জিনিস ভেতরে রেখে কাপড় গুলো বান্ডিল আকারে রাখতে পারেন। আর রোলিং পদ্ধতিতে কাপড়গুলো সিলিন্ডারের মত গুছিয়ে রাখতে পারেন।
৪। প্রসাধনীসমূহঃ
প্রসাধনীসমূহ অবশ্যই ছোট আকারের কিনুন। এমনকি মিনিপ্যাক গুলো এক্ষেত্রে বেশ উপকারের। বড় ধরনের প্রসাধনী হলে ফেটে গিয়ে অনেক সময় কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। প্লেনে ভ্রমণ করার সময় সেখানকার নিয়ম কানুনগুলোও মেনে চলা দরকার।
৫। ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতিঃ
এ ধরনের যন্ত্রপাতি বাসায় রেখে যাওয়ায় ভাল। যেগুলো না নিলেই নয় শুধু সেগুলোই ভ্রমণের সময় সঙ্গে রাখুন।