অনেক ব্যস্ততার মাঝে একটু অবকাশ পেলেই ঘুরে আসতে পারেন এই টাঙ্গুয়ার হাওরে। কাটিয়ে দিতে পারেন একটি চাঁদনী রাত। জ্যোৎস্নার আলোয় নৌকা থেকে এ হাওর দেখার অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই আপনার জীবনে একটি স্মরণীয় রাত হয়ে থাকবে। আসুন জেনে নেই টাঙ্গুয়ার হাওর কিছু তথ্যঃ
-টাঙ্গুয়ার হাওর সিলেটের সুনামগঞ্জে অবস্থিত। এই জেলার ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলার মেঘালয় পাহাড়ের ঠিক নিচে অবস্থিত এই হাওর।
-এটি বাংলাদেশর ২য় বৃহত্তম মিঠা পানির জলাভূমি। আয়তনে প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার ।
-মেঘালয় পাহাড় থেকে ৩০টি ঝরনা এসে মিশেছে এই হাওরে। এ যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক ওপার লীলাভূমি। স্বচ্ছ টলমলে জলের নিচে দেখা যায় ঘাস।
-টাঙ্গুয়ার হাওরের অন্যতম আকর্ষণ হলো বিভিন্ন জাতের পাখি। এই হাওরে বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৫১ প্রজাতির পাখি পাওয়া যায়। এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে বিরল প্রজাতির প্যালাসেস ঈগলও। এছাড়াও শকুন, পানকৌড়ি, বেগুনি কালেম, ডাহুক, বালিহাঁস, গাঙচিল, বক, সারস ইত্যাদি পাখির নিয়মিত দেখা মিলে এই হাওরে।
-এই হাওরে প্রায় ২০০ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। যার মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত মহাশোল মাছও।
-এছাড়াও টাঙ্গুয়ার হাওরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের জলজ উদ্ভিদ। যেমন হিজল, করচ, বরুণ, পানিফল, হেলেঞ্চা, বনতুলশী, নলখাগড়া, বল্লুয়া, চাল্লিয়া ইত্যাদি।
যেভাবে যাবেনঃ
-ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ শ্যামলী, ইউনিক ও এনা পরিবহণ যাত্রী সেবা দিয়ে থাকে।
-সুনামগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে সাহেববাজার ঘাট পর্যন্ত রিকশায় যাবেন।
-সাহেববাজার ঘাট থেকে টাঙ্গুয়া হাওরের উদ্দেশ্যে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়ার ব্যবস্থা আছে। এছাড়াও স্পীডবোট এ আপনি সাহেববাজার থেকে টাঙ্গুয়া যেতে পারেন।
থাকার ব্যবস্থা
বেসরকারি ভাবে টাঙ্গুয়ার হাওরে রাতে থাকার মতো কোনও হোটেল নেই। তবে সরকারী ব্যবস্থাপনায় ৩ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্পের রেস্ট হাউজে থাকা যায়। হাওর ঘুরে রাতে তাহিরপুর থানার ডাকবাংলোতে থাকতে পারেন।