মনকে সঙ্গী করে হংস বলাকায় চড়ে উড়ে যেতে পথে নেমে পড়েন আজই। ব্যস্ত এই জীবনের ক’দিন ছুটি নিয়ে বেড়িয়ে আসুন পাক্শী রিসোর্ট থেকে। পাবনা জেলার পদ্মা নদীর পাশে পাক্শী রিসোটের অবস্থান। ঢাকা থেকে কয়েক ঘন্টার পথ। যমুনা সেতু থেকে ১ ঘন্টার রাস্তা। রিসোর্টে যাওয়ার পথে চোখ জুড়িয়ে দেবে দু’পাশের ধান ক্ষেত আর চিরচেনা সবুজের সমারোহ। পাক্শী রিসোর্ট গড়ে উঠেছে ৩৬ একর জমির ওপর। মূল ভবনরে নাম খান মঞ্জিল। খান পরিবারের অন্যতম সদস্য সঞ্জু খান একজন শৈল্পিক মানুষ পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য তার বসতবাড়িটি ছেড়ে দিয়েছেন, গড়ে তুলছেন পাক্শী রিসোর্ট হিসাবে।
কীভাবে যাবেন: ঢাকার মহাখালী বা কল্যানপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে যেতে হবে পাবনার ঈশ্বরদীর পাক্শীতে। পাবনা, কুষ্টিয়া বা নাটোর শহর থেকে পাক্শী রিসোর্ট মাত্র ২০ থেকে ২৫ মিনিটের পথ। ছায়াঘেরা গ্রাম। প্রাচীন ঐতিহ্যের রেলওয়ে শহর। ট্রেনেও যেতে পারেন আপনি। ঢাকা থেকে ট্রেনেও যাওয়া যায়। কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিনবঙ্গের যে কোনো ট্রেনে ঈশ্বরদী বাইপাস বা জংশনে নেমে পাক্শী যেতে পারেন। রিকশা বা গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন, মাত্র ১০ মিনিটের পথ।
কোথায় থাকবেন: এ রিসোর্টে : এ রিসোর্ট পর্যটকদের জন্য রয়েছে দোতালা দুটি ভবন। বিদেশি স্থাপত্য কাঠামোয় গড়ে ওঠা এ রিসোর্টে রয়েছে সব রকমের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। প্রতিটি কক্ষই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। রয়েছে বিশাল ডাইনিং হল। বসার জায়গা, বুফে এবং বারবিকিউয়ের ব্যবস্থা। পাক্শী রিসোর্টে থাকার জন্য তিন ধরনের এসি রুম সহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা । দক্ষিনা হাওয়া ও শিশিরভেজা রিসোর্টেও লন আর নিরিবিলি মনোরম পরিবেশ আপনাকে সতেজ করবে খুব অল্পসময়ে। পাক্শী রিসোর্টে আছে ষড়ঋতু বা ঝরী ঝবংধড়হং নামের একটি আধুনিক রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টে পরিবেশন করা হয় নদীর টাটকা মাছ। রিসোর্টের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশী, ইন্ডিয়ান, চায়নিজ, থাই কিংবা অন্যান্য বিদেশি খাবারের সুব্যবস্থাও রয়েছে। আছে লন টেনিস, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, বিলিয়ার্ড, কেরাম ও দাবাসহ আরও নানা ধরনের ইনডোর ও আউটডোর গেমস।
কী দেখবেন: পাক্শী পড়েছে ঈশ্বরদী উপজেলায়। পাক্শীই ছিল সাড়াঘাট থেকে নদীপথে কলকাতা যাওয়ার একমাত্র পথ। সেই সুবাদে এখানে গড়ে উঠেছে রেলওয়ে বিভাগীয় শহর। ঈশ্বরদী ব্যবসা-বানিজ্যেও স্থান। এখানে রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ রেলওয়ে জংশন। এককালীন এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ হার্ডিঞ্জ ব্রিজ। দেখার মতো ঐতিহাসিক স্থান এটি। ব্রিজের কোলঘেষে লালন সেতু। আছে দেশের প্রথম পরমানু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্ধারিত স্থান, ঈশ্বরদী ইপিজেড, নর্থ বেঙ্গল পেপার মিল এবং ডাল ও আখ গবেষনা কেন্দ্র। আছে ফুরফুরা দরবার শরীফ। পাশেই পাবনা শহর, মাত্র ১৫ মিনিটের পথ। সেখানে দেখতে পাবেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি নায়িকা সুচিত্রা সেনের বাড়ি, কোট বিল্ডিং, অনুকুল ঠাকুরের আশ্রম জোড়বাংলা, বিখ্যাত মানসিক হাসপাতাল, রায় বাহাদুরের গেট, পাবনা আ্যাডওয়ার্ড কলেজসহ অনেক পুরনো র্কীতি। পাক্শী রিসোর্ট থেকে লালন শাহের মাজারেও যাওয়া যায় ২০ থেকে ২৫ মিনিটে। ইচ্ছা করলে এখান থেকে শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথের কুঠি বাড়িতে সড়কপথ বা নদীপথেও যেতে পারেন। ঘুরে আসতে পারেন সাহিত্যিক মীর মশাররফ হেসেনের বসতভিটা, রাজধানী মুজিবনগরেও যেতে পারেন। যেতে পারেন বনলতা সেন খ্যাত নাটোরের রাজবাড়িসহ পুঠিয়া রাজবাড়িতে। এসব দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয় এ রিসোর্ট থেকেই। অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়দের জন্য রয়েছে ক্যাম্প ফায়ার ও তাবুতে থাকার সুবিধা।
ভ্রমন পিপাসুদের সুবিদার জন্য এখানে আছে বিভিন্ন গ্রুপ প্যাকেজ সুবিধা।এসব প্যাকেজের আওতায় রয়েছে, থাকা সহ তিন বেলা খাওয়া ও দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন। আজই যোগাযোগ করুন।
ঢাকা অফিস: বাড়ি-৯৯/এ, রাস্তা-০৬, পুরাতন ডিওএইচএস, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: ৮৭৫২০৭৫, ০১৭৩০৭০৬২৫১-৫২।
পাক্শী রিসোর্ট অফিস: পাকশী রিসোর্ট, ঈশ্বরদী, পাবনা।
ফোন: ০১৭১১৯০৫৪৮৯ ০১৭৩০৭০৬২৫৭-৮