মহাস্থানগর
- মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি।
-পূর্বে এর নাম ছিল পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর।
-এক সময় মহাস্থানগড় বাংলার রাজধানী ছিল। এখানে মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন সাম্রাজ্যের প্রচুর নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে।
-এর অবস্থান বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায়। বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১০ কি.মি উত্তরে মহাস্থান গড় অবস্থিত।
কী দেখবেন
-বগুড়া গিয়ে প্রথমেই যেতে পারেন সাতমাথায়। সাতটি রাস্তা এসে মিলেছে এখানে। এরকম জায়গা সম্ভবত এই একটি আছে।
-মহাস্থানগড়ে প্রথমে কালিদহ সাগরে যেতে পারেন।
-সেখান থেকে বেহুলার বাসর। মহাস্থানগড় বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রায় ২কি.মি দক্ষিণ পশ্চিমে একটি বৌদ্ধ স্তম্ভ রয়েছে যা সম্রাট অশোক নির্মাণ করেছিলেন বলে মনে করা হয়। স্তম্ভের উচ্চতা প্রায় ৪৫ ফুট। স্তম্ভের পূর্বার্ধে রয়েছে ২৪ কোন বিশিষ্ট চৌবাচ্চা সদৃশ একটি বাথরুম । এটি বেহুলার বাসর ঘর নামেই বেশি পরিচিত।
-তারপর যেতে পারেন মহাস্থান বাস স্ট্যান্ড থেকে কিছু পশ্চিমে হজরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী মাহিসাওয়ার (রা.)-এর মাজার শরিফে। কথিত আছে, একবার এক ব্যক্তিকে রাজা পরশুরাম মৃত্যুদণ্ড দিলে তাকে বাঁচানোর জন্য মাছের পিঠে চড়ে আসেন হজরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী (রা.)। সে জন্যই তাঁকে বলা হয় মাহি সাওয়ার।
-মাজার শরিফ থেকে বের হয়ে দেখতে পারেন শীলাদেবীর ঘাট। গড়ের পূর্বপাশে রয়েছে করতোয়া নদী এর তীরে ‘শীলাদেবীর ঘাট’। শীলাদেবী ছিলেন পরশুরামের বোন। এখানে প্রতি বছর হিন্দুদের স্নান হয় এবং একদিনের একটি মেলা বসে। এরপর মহাস্থানগড়।
-এরপর গোবিন্দ ভিটা, সেখান থেকে মহাস্থানগড় জাদুঘরে। মহাস্থানগড় খনন করে গুপ্ত, মৌর্য, সেন ও পাল বংশীয় যুগের যেসব প্রস্তর খণ্ড ও দেবদেবীর মূর্তি পাওয়া গেছে তার সবই এই জাদুঘরে রক্ষিত রয়েছে।
-জাদুঘর ঘুরে দেখে নিতে পারেন জিয়ৎকুণ্ড। এই ঘাটের পশ্চিমে জিউৎকুন্ড নামে একটি বড় কুপ আছে। কথিত আছে এই কুপের পানি পান করে পরশুরামের আহত সৈন্যরা সুস্থ হয়ে যেত।
-সেখান থেকে পরশুরামের ভিটায় যেতে পারেন। নামমাত্র ভিটা, কিছু উঁচু টিলা প্রমাণস্বরূপ দাঁড়িয়ে।
কীভাবে যাবেন
ঢাকার কল্যাণপুর থেকে যেকোনো বাসে চড়ে বসুন। পাঁচ ঘণ্টায় চলে যাবেন বগুড়া। কোথায় থাকবেন আশে পাশে রাত্রিযাপনের জন্যে অনেক হোটেল রয়েছে। পর্যটন হোটেলেও থাকতে পারেন। এছাড়াও কিছু মোটেলও রয়েছে। আগে থেকে বুকিং দিয়ে যাবেন।
- মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি।
-পূর্বে এর নাম ছিল পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর।
-এক সময় মহাস্থানগড় বাংলার রাজধানী ছিল। এখানে মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন সাম্রাজ্যের প্রচুর নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে।
-এর অবস্থান বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায়। বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১০ কি.মি উত্তরে মহাস্থান গড় অবস্থিত।
কী দেখবেন
-বগুড়া গিয়ে প্রথমেই যেতে পারেন সাতমাথায়। সাতটি রাস্তা এসে মিলেছে এখানে। এরকম জায়গা সম্ভবত এই একটি আছে।
-মহাস্থানগড়ে প্রথমে কালিদহ সাগরে যেতে পারেন।
-সেখান থেকে বেহুলার বাসর। মহাস্থানগড় বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রায় ২কি.মি দক্ষিণ পশ্চিমে একটি বৌদ্ধ স্তম্ভ রয়েছে যা সম্রাট অশোক নির্মাণ করেছিলেন বলে মনে করা হয়। স্তম্ভের উচ্চতা প্রায় ৪৫ ফুট। স্তম্ভের পূর্বার্ধে রয়েছে ২৪ কোন বিশিষ্ট চৌবাচ্চা সদৃশ একটি বাথরুম । এটি বেহুলার বাসর ঘর নামেই বেশি পরিচিত।
-তারপর যেতে পারেন মহাস্থান বাস স্ট্যান্ড থেকে কিছু পশ্চিমে হজরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী মাহিসাওয়ার (রা.)-এর মাজার শরিফে। কথিত আছে, একবার এক ব্যক্তিকে রাজা পরশুরাম মৃত্যুদণ্ড দিলে তাকে বাঁচানোর জন্য মাছের পিঠে চড়ে আসেন হজরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী (রা.)। সে জন্যই তাঁকে বলা হয় মাহি সাওয়ার।
-মাজার শরিফ থেকে বের হয়ে দেখতে পারেন শীলাদেবীর ঘাট। গড়ের পূর্বপাশে রয়েছে করতোয়া নদী এর তীরে ‘শীলাদেবীর ঘাট’। শীলাদেবী ছিলেন পরশুরামের বোন। এখানে প্রতি বছর হিন্দুদের স্নান হয় এবং একদিনের একটি মেলা বসে। এরপর মহাস্থানগড়।
-এরপর গোবিন্দ ভিটা, সেখান থেকে মহাস্থানগড় জাদুঘরে। মহাস্থানগড় খনন করে গুপ্ত, মৌর্য, সেন ও পাল বংশীয় যুগের যেসব প্রস্তর খণ্ড ও দেবদেবীর মূর্তি পাওয়া গেছে তার সবই এই জাদুঘরে রক্ষিত রয়েছে।
-জাদুঘর ঘুরে দেখে নিতে পারেন জিয়ৎকুণ্ড। এই ঘাটের পশ্চিমে জিউৎকুন্ড নামে একটি বড় কুপ আছে। কথিত আছে এই কুপের পানি পান করে পরশুরামের আহত সৈন্যরা সুস্থ হয়ে যেত।
-সেখান থেকে পরশুরামের ভিটায় যেতে পারেন। নামমাত্র ভিটা, কিছু উঁচু টিলা প্রমাণস্বরূপ দাঁড়িয়ে।
কীভাবে যাবেন
ঢাকার কল্যাণপুর থেকে যেকোনো বাসে চড়ে বসুন। পাঁচ ঘণ্টায় চলে যাবেন বগুড়া। কোথায় থাকবেন আশে পাশে রাত্রিযাপনের জন্যে অনেক হোটেল রয়েছে। পর্যটন হোটেলেও থাকতে পারেন। এছাড়াও কিছু মোটেলও রয়েছে। আগে থেকে বুকিং দিয়ে যাবেন।