বাংলাদেশে ভ্রমণ শিল্পের দ্রুত বিকাশ লাভ করেছে। বিশ্বে এই শিল্প এখন গুরুত্বপূর্ণ বাজার দখল করেছে।বাংলাদেশও এ নিয়ে পিছিয়ে নেই। কারণ বাংলাদেশে এখন ট্রাভেল এজেন্সি আছে প্রায় ২২০০টি । এগুলোর আকার ও কাজের পরিধি এক নয়। এর উপর ভিত্তি করেই বিভিন্ন মানুষ এই কোম্পানীগুলোতে কাজ করছে। ছোট বা মাঝারি আকারের কোম্পানীগুলোতে ১৫ থেকে ২০ জন এবং বড়গুলোতে ৫০ থেকে ৮০ জন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত আছেন।
এসব কোম্পানীগুলোতে যেধরনের পদ রয়েছে তা নিম্নরূপঃ
রিজার্ভেশন অফিসার
ভ্রমণকারীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের টিকিট রিজার্ভেশন, কনফার্মেশন অথবা বাতিল করেন। এই কাজগুলো দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করে ট্রাভেল এজেন্সিসমূহ। এই কাজের জন্যে যারা নিয়োজিত থাকেন তারাই হচ্ছেন রিজার্ভেশন অফিসার। এই পদটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি দায়িত্বও অনেক।
ট্যুর ম্যানেজার
বিভিন্ন জায়গায় ট্যুর প্লানিং করার সময় বিভিন্ন বিষয় যাচাই করে দেখতে হয়। যেমন,
১। সম্ভাব্যতা যাচাই
২। খরচ
৩। লিঁয়াজো মেইন্টেইন
এসব নিয়েই কাজ করেন ট্যুর ম্যানেজার। ট্যুর ম্যানেজার ট্যুরে অংশ নেন না। কিন্তু ট্যুরের সমস্ত লাভ-লোকসানের দায়িত্ব তাকে বহন করতে হয়।
ট্যুর অপারেটর
ট্যুর অপারেটরের দায়িত্ব হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের ঘোষিত প্যাকেজ ট্যুরের সাথে সম্পৃক্ত থাকা। একজন ট্যুর অপারেটরের ট্যুর সংক্রান্ত যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে চলার ক্ষমতা থাকতে হয়। ট্যুর অপারেশন পরিচালনাকারী হিসেবে তার উপর সমস্ত দায়িত্ব অর্পিত হয়।
ট্যুর গাইড
পদের নামের সাথেই এই পেশার কাজের পরিধি চিহ্নিত করা যায়। মূলত ট্যুর পরিচালনার সময় ট্যুর গাইডকে ট্যুরিস্টদের বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থানে নিয়ে যেতে হয় এবং সে স্থানের ইতিহাস এবং বৈশিষ্ট্য বিশদভাবে জানাতে হয়। এই পেশায় ভৌগলিক জ্ঞানে জানাটা খুবই জরুরী।
সেলস এক্সিকিউটিভ
বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সিতে ব্যবসা সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে ও প্রতিযোগিতার বাজারে নিজেদের অবস্থান উন্নত করতে সেলস এক্সিকিউটিভ নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের কাজ হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কোম্পানির প্রয়োজনে কাস্টমারদের সাথে সমন্বয় সাধন করা। এই পেশাতে আসতে হলে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে সক্ষম হতে হবে।