ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে তাঁতশিল্পে সমৃদ্ধ নরসিংদী সদর উপজেলার চৈতাব নামক স্থানে গড়ে উঠেছে বিনোদনের এক স্বর্গরাজ্য। এখানে জলকামান, ওয়াটার আম্ব্রেলা, রাজহংস, রেইনবো ওয়াটার, ঐতিহাসিক টাইটানিকসদৃশ জাহাজ, যা অর্ধডুবন্ত অবস্থায় রয়েছে। যার মধ্যে আছে প্রতি ৫ মিনিট পরপর পানির ফোয়ারায় গা ভাসিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা। আরও রয়েছে ড্রাইভিং টিউব, যাতে আপনি অনায়াসে পানির তোড়ে ভেসে যাবেন। এর সঙ্গে রয়েছে পানির ছন্দে বাজানো মিউজিক, আপনাকে মুহূর্তের মধ্যে করবে রোমাঞ্চিত ও শিহরিত। পার্কে ঘুরে বেড়ানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে মনোমুগ্ধকর পরিবেশ, আছে নয়নাভিরাম ক্যানেল। যেখানে ফাইটার ৮ বোট চালিয়ে আপনি অনায়াসে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। আরও রয়েছে সাউন্ড সিস্টেম ও সার্বক্ষণিক সুরের মূর্ছনা, রকিং হর্স অর্থাৎ ঘোড়ায় চড়ে শিশুরা চলে যাবে স্বপ্নপুরীর দেশে। আরও রয়েছে নাগেক ক্যাসেল। যেখানে শিশুরা সারাক্ষণ লম্ফঝম্প করে আনন্দ উপভোগ করতে পারবে। এয়ার বাইসাইকেল, যা বাংলাদেশের পার্কের জন্য এক নতুন সংযোজন। এতে বসে দু’জন মানুষ অনায়াসে নিজ ইচ্ছায় প্যাডেল চালিয়ে পার্কের ওপর দিয়ে বেড়াতে পারবে। অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ইমু পাখি এ পার্কের অন্যতম আকর্ষণ। মায়াবী স্পটে কৃত্রিম জলজ প্রাণীর পিঠে চড়ে পৌঁছে যাবেন রূপকথার মৎস্যকন্যা মায়াবী দানবের দেশে। কিন্তু এখানে পৌঁছতে আপনাকে সাহসী হতে হবে। কৃত্রিম অভয়ারণ্য অর্থাৎ হরিণ, কুমির, অজগরসহ বিভিন্ন প্রাণীর সমাহার থাকছে এখানে। এছাড়া ক্যানেলের চতুর্দিকে ঘুরে বেড়াতে সুপ্রশন্ত ফুটপাত এবং কুঁড়েঘরে বসে বিশ্রাম নেয়ার সুব্যবস্থা, রাতযাপনের জন্য রয়েছে ডুপ্লেক্স বাংলো প্যাটার্নের কটেজ। যার মধ্যে রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ সপরিবারে থাকার সুব্যবস্থা। সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার লাইভ ফিশ ক্রয় করে নিজে তৈরি করে বার-বি-কিউ খাবার সুবিধা। পার্কটিতে সার্বক্ষণিক ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা ও সরকার প্রদত্ত পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কর্মীর তত্ত্বাবধানে সুশৃংখল নিরাপত্তা ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিংয়ের বিশাল জায়গা, মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে নিজস্ব কটেজে থাকার ব্যবস্থা ও সুবিশাল বাংলো। যেখানে সিঙ্গেল ও ডবলসহ সপরিবারে পূর্ণ বাংলো ভাড়ার ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসম্মত ঘরোয়া পরিবেশে খাবারের ব্যবস্থা, যা অত্যাধুনিক ফুডকোর্টে বসেই খাওয়া যাবে। রয়েছে কফি হাউস। পার্কে শিশু-কিশোরদের জন্য বেশ কয়েকটি রাইড রয়েছে ফ্রি। আছে সুবিশাল লেক। যেখানে অনায়াসে হংসরাজ প্যাডেল বোটে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এছাড়া এখানে রয়েছে সুবিশাল দুটি পিকনিক স্পট। এক থেকে দেড় হাজার লোক সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাসহ সারাদিন পিকনিকের সুযোগ পাবে। পার্কটির ভেতরে আপন মহিমায় শোভাবর্ধন করে দাঁড়িয়ে স্থান করে নিয়েছে দেশী-বিদেশী নানা প্রজাতির সব প্রাকৃতিক পাছপালা।
রঙে-রঙে হোলি উৎসব