Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Travel Image

চা এর রাজ্যে শ্রীমঙ্গলে অল্প সময়ে ভ্রমণ

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন ভ্রমণ পিয়াসু। ভ্রমণের নাম শুনলেই উড়ে চলে। কিন্তু পড়াশুনার চাপ বা চাকরীর কারণে প্লান করাটা একটু কঠিন হয়ে যায়। কম বাজেটে একদিনর ভিতর ঘুরে আসতে পারেন সিলেটের শ্রীমঙ্গল। সেখানে দেখতে পাবেন পৃথিবীর আরেক অপার লিলা ভূমি চা বাগান । মনে হবে সবুজের ভিতর হারিয়ে গেছেন কিছূ সময়ের জন্য। চোখ যতদুর যায় ততদুর সবুজ ছাড়া আর কিছু দেকেতে পাবেন না। মনে হবে সবকিছুু নিটল ও সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে আপনার জন্য। শ্রীমঙ্গলকে সিলেটের সৌন্দর্য্যরে মা বলা হয়।


আগেই বলে রাখি সিলেটে দেখার মতো জায়গার অভাব নেই। সমস্যা হল স্পট গুলোর দুরুত্ব দুরে দুরে। তাই প্লান করে বের হওয়াটাই উত্তম।

ট্যুর প্লান ( যেসব জায়গা গুলিতে আপনি একদিনে ঘুরে দেখতে পারবেন)

১. লাউয়াছড়া উদ্যান
২. মাধবপুর লেক
৩, চা বাগান
৪. আনারস বাগান
৫. খাসিয়া পল্লী
৬. বধ্যভুমি
৭. বি টি আর আই
৮. নীল কন্ঠ টি কেবিন
৯. বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের সমাধী

শুরুতেই বলে রাখি উপরোক্ত জায়গা ঘুরে দেখতে হলে আপনাকে চান্দের গাড়ি রিজার্ভ করতে হবে ফুল ডে এর জন্য। সিএনজি নিয়েও ঘুরা যায় তবে অনেক দুর্গম রোড আছে যেখানে সিএনজি যেতে পারে না।

যেভাবেই হোক ভোর ৬ টায় ভ্রমন শুরু করতে হবে আর হ্যা চান্দের গাড়ি আগের দিন রিজার্ভ করে নেবেন তা না হলে সকালে সময় নষ্ট হতে পারে অনেক গাড়ি ঠিক করতে। ৬ টার দিকে গাড়ি নিয়ে চলে যাবেন পাচ ভাই/ পানসী হোটেলে নাস্তার জন্য। নাস্তা শেষে লাউয়াছড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন। সময় নষ্ট না করে সোজা ভিতরে চলে যাবেন ১ ঘন্টা ঘুরলেই বনের অনেকাংশ ঘুরে দেখতে পারবেন। তারপর যতদ্রুত সম্ভব মাধপুর লেকের উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন। লেকের পাশে উচু উচু টিলা দেখতে পাবেন। চাইলে টিলার উপর বসে উপভোগ করতে পারবেন আমায়িক এক দৃশ্যের স্বাদ। সাতার না জানলে লেকে না নামাটাই শ্রেয়। দেখা শেষ হলে বেরিয়ে পরবেন বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের সমাধি দেখতে । সমাধিটি বর্ডারের কাছে হওয়ায় বিজিবি ক্যাম্প ও চোখে পড়বে আর যাওয়ার সময় দেখতে পাবেন চা বাগানের দৃশ্য। গাড়ি থেকে নেমে উপভোগ করতে পারেন চা বাগানের সৌন্দর্য্য। দেখতে পাবেন খাসিয়া মেয়েরা চা পাতা তুলছে মনের আনন্দে। কাচা চা পাতার গন্ধটাও খারাপ লাগবে আশা করি। ফেরার সময় আনারস বাগান হয়ে ফিরবেন আনারস চাষ করা হয় হয়ে টিলার ধারে তাই বাগানে হাটার সময় একটু সাবধানে হাটবেন আনারস পাতার ধারে হাত-পা কাটতে পারে। চাইলে নিচ থেকে দেখেও চলে আসতে পারেন । কিন্তু আসল সৌন্দর্য্য দেখতে হলে উপরে উঠতে হবে। চা বাগান দেখে চলে যাবেন খাসিয়া পল্লীতে । সেখানে দেখতে পাবেন টিলার উপর তাদের নিপুন হাতে তৈরী করা ঘর। মনে হবে কেউ এসে বসিয়ে রেখেছে ঘরগুলো। এই স্থান গুলো দেখতে দেখতে থতক্ষনে দুপুর হয়ে যাবে। খাসিয়া পল্লী থেকে একটু দুরে পাবেন পানসী হোটেল আর সেইখানে গিয়ে উপভোগ করতে পারবেন জম্পেশ একটা খাবার। খাওয়া দাওয়া শেষ করে চলে যাবেন বধ্যভুমি তে । সেইখানে দেখার মতো তেমন কিছু নেই । তাই অল্প সময় ঘুরে চলে যাবেন বিটিআরই তে ( বাংলাদেশ চা গবেষনা ইন্সাটাটউট) ভেতরে ডুকতে দারোয়ানদের কিছু টাকা বককিশ দিতে হয় আর কি। ভিতরে ঢুকেই দেখতে পাবেন ঘাসের কার্পেট । কার্পেটে না বসলে এখানে আসাটাই বৃথা। বিটিআরই এর পেছনের দিকে চা বাগান বাগান ঘুরে দেখতে পারবেন সন্ধ্যা পর্যন্ত। সেইখান থেকে বের হয়ে সোজা চলে যাবে নীল কন্ঠ কেবিনে। শ্রীমঙ্গলের আসল ৭ লেয়ারের চা পাওয়া এখানেরই। কেতে বিস্বাদ হলেও সবাই চায় এ ঘটনাকে স্মৃতির খাতায় লিখে রাখতে। সারাদিন ঘুরতে ঘুরতে যখন সন্ধ্যা নেমে আসে তখন চলে আসে ক্লান্তি তাই একটু রেস্ট আর রাতের খাবার কাওয়ার জন্য আবারও ডু মারতে পারেন পানসী হোটেলে। খাবার দাবার শেষ হলে রেস্ট নিয়ে বসলে তকনই টনক নড়বে ফিরার সময় যে হয়ে গেছে। রাতের ট্রেন বা বাসে আবার ফিরে আসতে হবে এই কম্যব্যস্ত নগরীতে। একদিনের ট্যুরে এত কিছু দেখাটা তখনই স¤ভব হবে যখন টাইম সিডিউল অনুযায়ি স্পটে থাকবেন এবং সঠিক সময়ে গাড়িতে চড়বেন।

খরচের হিসাব:

*যাওয়া আসার ব্যাপার পারসোনাল ট্রেনে ২০০ থেকে ৮০০ আর বাসে ২৫০ থেকে ১২০০ টাকার টিকিট আছে।
* খাওয়াটাও নিজের ব্যাপার তবে পাচ ভাই হোটেলের ভর্তাটা কেউ মিস করবেন না। সাধ্যের ভিতরে অসাধারণ খাবার ক্ষেতে পারবেন আপনি।
* লাউয়াছড়ার প্রবেশ মুল্য ৫০ টাকা স্টুডেন্টদের ক্ষেত্রে হাফ। গাড়ি পাকিং এর জন্য ৫০ টাকা দিতে হয়।
* মাধবপুর লেক এ প্রবেশ ফ্রি তবে গাড়ি পাকিং বাবদ ৫০ টাকা গুনতে হবে।
* বিটিআরআই তে প্রবশ মূল্য ৫০ করে চাইবে তবে ম্যানেজ করে কম টাকা দিয়েও যাওয় যায়।
* নীল কন্ঠ টি কেবিনে যাবেন চা খেতে এখানে ১৫ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা কাপ চা পাওয়া যায়।
* বড় খরচ টা হলো গাড়ি ভাড়া আনুমানিক ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা নিবে । ১০-১২ জন অনায়াসে চড়তে পারবেন। ভোর ৬.০০ থেকে সন্ধ্যা ৭.০০ পর্যন্ত ফুলডে রিজার্ভ।

আশা করি জনপ্রতি ১৫০০- ১৮০০ টাকা খরচ করে একদিনে ঘুরে আসতে পারেন নয়নাভিরাম সিলেটের চা এর রাজ্য শ্রীমঙ্গল থেকে।