Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Travel Image

শত বছরের ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ



ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া জেলার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত হাজার বছরের পুরার্কীতি ঝাউদিয়া শাহী মসজিদ। মসজিদটি ঘিরে রয়েছে নানা রহস্য। তবে এটি কবে, কে নির্মাণ করেছেন তার সঠিক ইতিহাস কেউ জানে না। এমনকি মসজিদটি নিয়ে কোন ইতিহাস বা পুস্তকও নেই বলে জানা যায়। তবে স্থানীয় অনেকের মতে, বহু বছর আগে অলৌকিকভাবে মসজিদটি মাটি থেকে ফুঁড়ে ওঠে। সেই থেকে মুসলমান মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণ ও ইবাদত-বন্দেগি করে আসছে। ওই সময় থেকে মসজিদ তৈরির কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এটি দেখতে আসেন অনেকে। অনেকে দাবি করেন, প্রায় ১১শ’ বছর আগে ইরাক থেকে শাহ সুফি আদারি মিয়া ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও বাগেরহাট এলাকায় ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে এসেছিলেন। এর মধ্যে তিনি ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়ার মধ্যবর্তী ঝাউদিয়া গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। কথিত আছে, তিনিই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন এবং গোটা অঞ্চলে ধর্ম প্রচার করে আদারি মিয়ার মৃত্যুর পর মসজিদসংলগ্ন এলাকায় তাকে কবর দেয়া হয়। তবে ওই স্থানে তার কোন বংশধর নেই বলে স্থানীয়রা জানান। তার কবর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় একটি মাজার কমিটি।

এছাড়াও মসজিদ তৈরি নিয়ে রয়েছে আরও মতভেদ। মসজিদের প্রবেশদ্বারে লেখা আছে ‘এটির বড় পরিচয় মানুষের তৈরি এবং এটা প্রতিষ্ঠিত হয় মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলে’।

কিন্তু ওই সময় কে নির্মাণ করেছে তার কোন উল্লেখ নেই। স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরাও এর উৎপত্তি সম্পর্কে কিছু বলতে পারেননি। মসজিদটি ইট, পাথর, বালি ও চীনামাটির গাঁথুনি দিয়ে তৈরি। এর উপরিভাগে সুদৃশ্য ৫টি গম্বুজ ও ভেতরে প্রবেশ দরজায় দুটি মিনার রয়েছে। এটি অপূর্ব শৈল্পিক কারুকার্যসংবলিত। সহজেই মুগ্ধ করার মতো।

বর্তমানে এটির পরিচর্যা করছে সরকারের জাদুঘর ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর।