প্যাড থাই
অ্যাপল স্টোরের তাক লাগানো ১০টি তথ্য

টেক জায়ান্ট অ্যাপলের খুচরো ব্যবসা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বিশ্বব্যাপী অ্যাপলের ৪০০ দোকান রয়েছে। আর এই দোকানের অভিভুত হওয়ার মতো তথ্যগুলো দেখা যাক।
অ্যাপল সস্তা ভাড়ায় তাদের দোকান বন্দোবস্ত করতে সক্ষম। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল অনুযায়ী শপিং মলে তাদের বিক্রয় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এসব স্টোরে বিশ্বব্যাপী অ্যাপলের ৫০০০০ কর্মী রয়েছে। আপনি যদি এদের সবাইকে এক জায়গায় একত্রিত করেন তাহলে তারা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য আকারের কোন শহরের জনসংখ্যার সমান হবে।
প্রতিদিন বিশ্বব্যাপী ১ মিলিয়নেরও বেশী দর্শনার্থী অ্যাপল স্টোরে আসে যা বছরে প্রায় ৩৬৫ মিলিয়ন।
অ্যাপলের সবচেয়ে ব্যস্ততম স্টোর সাংহাইয়ের ন্যানজিং ইস্ট স্টোর। যেখানে প্রতিদিন ২৫০০০ দর্শনার্থী আসে। এত লোক ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে এক হওয়া সম্ভব নয়।
জিনিয়াস বার ৯৫০০০ গ্রাহককে বিশ্বব্যাপী সেবা দিয়ে থাকে।
অ্যাপল তাদের রিটেল অপারেশনের জন্য ৪.৯ লক্ষ বর্গ ফুট জায়গা ইজারা নিয়েছে যা ৮৫টি ফুটবল মাঠের সমান।
২০১৪ সালের শেষের দিকে ৪৩৭টি অ্যাপল স্টোর ছিল। এর মধ্যে ২৫৯টি যুক্তরাষ্ট্রে আর বাকিগুলো আন্তর্জাতিক।
২০১৪ সালে অবস্থান প্রতি অ্যাপল স্টোরে গড় আয় ৫০.৬ মিলিয়ন ডলার।
২০১৫ সালে ২৫টি নতুন অ্যাপল স্টোর খোলার পরিকল্পনা রয়েছে যার অধিকাংশই হবে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিরে।
২০১৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আইফোন সিক্স উন্মুক্তের দিন নিউ ইয়র্কের অ্যাপলের ৫ অ্যাভিনিউ স্টোরের সামনে ১২ ব্লক পর্যন্ত মানুষের লম্বা লাইন ছিল এবং আগে রাতে বাক্সে ঘুমিয়ে ছিল কিছু লোক।
ইবে’র নামকরনের ইতিহাস

জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট ইবে’র নামকরন নিয়ে অনেকের মনেই আছে প্রশ্ন। ‘ইবে’ বলতে আসলে কি বোঝায়? অনেকেই মনে করেন ইবে মানে ‘ইলেক্ট্রনিক বে’। কিন্তু সত্যিই কি তাই?
খ্যাতনামা নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিনে ইবে প্রতিষ্ঠাতা পিয়েরে অমিড্যারকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন রয়েছে যেখানে এই বিষয়ে আছে বিস্তারিত তথ্য।
তিনি ebay.com ডোমেইনটি যখন কেনেন, তখন ওয়েবসাইটটি পরিপূর্ণ ছিল ইবোলা সম্পর্কিত নানা তথ্য দিয়েই। আর সেসময় ইবোলার মতো বড় কোন বিপর্যয় কিভাবে কাটিয়ে উঠতে হবে, এই বিষয়ে তিনি মোটামুটি অন্ধকারে ছিলেন।
আর তাই ‘ইবোলা’ শব্দের জন্যই ‘ebay’ নামটির প্রথমে ‘e’ ব্যবহার করেছিলেন তিনি। সাথে উপকূলীয় অঞ্চল বোঝাতে ‘bay’।
নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিনের প্রতিবেদক অ্যান্ড্রু রাইস তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, “১৯৯৫ সালে তার প্রথম প্রতিষ্ঠান জেনারেল ম্যাজিক যখন আর্থিক দুরবস্থায় নিমজ্জিত হয়, তখন তিনি একটি সাধারণ নিলাম সেবা চালু করেন এবং এর লিংক যুক্ত করেন তার ebay.com ওয়েবসাইটে। পরবর্তীতে তিনি একজন কোম্পানি প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করেন যার প্রথম সিদ্ধান্তই ছিল ebay.com থেকে ইবোলা সম্পর্কিত কনটেন্ট অপসারণ করা। তবে অনেক ভিজিটর থাকায় এ নিয়ে কিছুটা আপত্তি তুলেছিলেন অমিড্যার।
চালকবিহীন গাড়ি

গুগলের চালকবিহীন গাড়ি রাস্তায় নামতে আর খুব একটা দেরি নেই। ভ্যানকুবারে অনুষ্ঠিত টেড কনফারেন্সে গুগলের সেলফ ড্রাইভিং কার বিভাগের প্রধান ক্রিস আর্মসন জানান, ২০২০ সালের মধ্যেই বানিজ্যিকভাবে চালকবিহীন গাড়ি বাজারে আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে গুগল। তিনি আরও জানান, তার ১১ বছর বয়সী ছেলে আগামী সাড়ে ৪ বছরের মধ্যেই একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যেতে পারে। তবে তিনি মনে করেন, তার আর দরকার হবে না হয়তো। কারণ এই সময়ের মধ্যেই চলে আসবে চালকবিহীন গাড়ি।
আর্মসন বিশ্বাস করেন, কেবল চালকবিহীন গাড়িই সড়ক দুর্ঘটনার পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারে। বর্তমানে গাড়িতে থাকা বিভিন্ন প্রযুক্তি হয়তোবা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে চালককে নিরাপদ রাখতে পারে, কিন্তু চালকবিহীন স্ব-চালিত গাড়ি যেটা করতে পারবে, সেই কাজটি সাধারণ গাড়ির পক্ষে সম্ভব না।
গুগলের চালকবিহীন গাড়ি সম্পূর্ণ নিজে থেকে চালিত। এতে নেই কোন স্টিয়ারিং হুইল। পরীক্ষামূলকভাবে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের কয়েকটি শহরে বর্তমানে এই গাড়ি চলছে। গাড়িটির বানিজ্যিক উৎপাদনের জন্য জিএম, ফোর্ড, ভক্সওয়াগন এবং ডেইমলারের সাথে কাজ করছে গুগল।
হাতের মুঠোয় ভবিষ্যতের পানির বোতল

গরমে গলা শুকিয়ে গেলে ভবিষ্যতেও কি মানুষ বোতল থেকে পানি পান করবে, নাকি বেছে নেবে অন্য কোনো উপায়? এই গোলাকার স্বচ্ছ গোলকটিই হতে পারে ভবিষ্যতে পানি ধারণের মাধ্যম।
লন্ডনের স্কিপিং রকস ল্যাবের উদ্ভাবন হলো এই পানির গোলক। অ্যালজি থেকে তৈরি জেল দিয়ে তৈরি করা হয় একে। এই পানি “পান করা” বা খাওয়ার জন্য এতে কামড় দিয়ে পানিটা শুষে নিতে হয় অথবা পুরো গোলকটিকে একেবারে গিলে ফেলতে হয়।
এসব গোলকের নাম দেওয়া হয়েছে Ooho! কারণ অনেক সময়ে এসব গোলক ফেটে যায় এবং কাপড় ভিজে যায়। অনেকেই ভাবতে পারেন এমন গোলক তৈরির ঝামেলায় যাওয়ার দরকার কি? এর কারণ হলো, প্লাস্টিক। সারা বিশ্বে প্লাস্টিকের বোতলে করে পানি পান করা হয়। এতে যেমন প্রচুর পরিমানে “প্লাস্টিক পলিউশন” হচ্ছে তেমনি তা আমাদের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করছে। ২০১৫ সালের "Design to Improve Life" প্রতিযোগিতায় তাই নির্বাচন করা হয় এই Ooho! গোলক।
আমরা বোতলের পানি পান করে প্লাস্টিকের বোতলটি ফেলে দেই। ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই প্লাস্টিক আর রিসাইকেল করা হয় না ফলে বাড়তে থাকে বর্জ্য। এ সমস্যা থেকে বাঁচতে “স্ফেরিফিকেশন” পদ্ধতি ব্যবহার করে পানিকে একটি ডাবল জেলাটিনাস মেমব্রেনের মাঝে আটকে ফেলা হয়। এতে ব্যবহার করা হয় বাদামি শ্যাওলা থেকে তৈরি সোডিয়াম অ্যালজিনেট (E-401) এবং ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড (E-509) যাতে বাইরের দিকে একটি জেলি জাতীয় পর্দা তৈরি হয়। যে কেউ সঠিক রেসিপি অনুসরণ করে তাদের রান্নাঘরেই এই Ooho! তৈরি করতে পারবেন এমনকি ইচ্ছে করলে নিজের ইচ্ছেমত পরিবর্তন করেও নিতে পারবেন। এর ফলে প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহারের কুফল এড়ানো সম্ভব।
গুগলক্রোম ব্রাউজারের ৮টি অসাধারণ ফিচার

গুগল ক্রোম ব্রাউজারের সবচেয়ে অসাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হচ্ছে যার দরুন আপনারও মনে হবে গুগল ক্রোমই আপনার ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে শ্রেষ্ঠ।
একই সময়ে একাধিক গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার
গুগল ক্রোমের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচারের মধ্যে একটি হল এটি একই সাথে আপনাকে একাধিক গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার সুবিধা দেয়।
ট্যাব পিন করার ক্ষমতা
আপনার ওপেন করা ওয়েবসাইট পিন করতে পারবেন। এগুলো শুধু ব্রাউজারের বাম কোণে থাকবে ফলে খুব সহজে ট্যাব বন্ধ থাকা সত্ত্বেও এগুলো অ্যাক্সেস করতে পারবেন।
পেজ থেকে সরাসরি অনুসন্ধান
আপনি যদি কোন পেজের একটি আর্টিকেল পড়ার সময় একটি নির্দিষ্ট শব্দ বা বাক্য অনুসন্ধান করতে চান তবে শুধু ঐ শব্দ বা বাক্য হাইলাইট করে মাউসে রাইট ক্লিক করলেই একটি গুগল সার্চ অপশন খুঁজে পাবেন। যখনই এতে ক্লিক করবেন তখন অনুসন্ধান ফলাফল পরবর্তী ট্যাবের মধ্যে উপলব্ধ হবে।
অ্যাপ্লিকেশন শর্টকাট
একটি ওয়েব পেজ পিন করার মতই আপনি ক্রোম ব্যবহার করে যেকোনো ওয়েব পেজের একটি শর্টকাট তৈরি করতে পারবেন। টাস্কবারে আপনার প্রিয় ওয়েবসাইটের শর্টকাট তৈরি আপনার সময় বাঁচাবে কেননা এটি কয়েকটা ক্লিক হ্রাস করে সরাসরি ওয়েবসাইট চালু করে।
টাস্ক ম্যানেজার থেকে ননরেস্পন্সিভ ট্যাব দূর করা
গুগল ক্রোমের টাস্ক ম্যানেজার বিভিন্ন ট্যাব দ্বারা ব্যবহৃত মেমরি দেখায়। এছাড়া এটি অত্যধিক মেমোরি গ্রহণ করে এবং ননরেস্পন্সিভ ট্যাব যা আপনার পিসিকে মন্দীভূত করে তা মুছে ফেলে।
যেখান থেকে শেষ করেছেন সেখান থেকে চালিয়ে যাওয়া
এই বৈশিষ্ট্যটি জীবনকে অনেক সহজ করে তুলবে এবং আপনার কম্পিউটার আর স্ট্যান্ডবাই মোডে রাখার প্রয়োজন হয়না। এই ফিচার সক্রিয় করে শুধু আপনি ব্রাউজার বন্ধ করুন এবং ঘুমিয়ে পড়ুন। পরের দিন সকালে দেখবেন আপনার সকল ট্যাব ম্যাজিকের মত...
স্মার্ট বাইকের স্মার্ট ফিচার

বাইক চুরি হওয়া প্রতিরোধ কিংবা বাইক আরোহীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, এমন একটি স্মার্ট বাইক তৈরি করেছে কানাডার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ভ্যানহক্স। Valour নামক এই বাইক তৈরি করা হয়েছে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির সমন্বয়ে।
প্রতি বছর কানাডায় হাজার হাজার বাইক চুরির ঘটনা ঘটে। আর এর মধ্যে মাত্র পাঁচ শতাংশ বাইক উদ্ধার করা সম্ভব হয়। আর তাই এই সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ শুরু করে ভ্যানহক্স।
বাইকটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে খুবই হালকা কার্বন ফাইবার। এতে আছে জিপিএস ডিভাইস। বাইকের অবস্থান সম্পর্কে এটি প্রয়োজন অনুযায়ী এর মালিকের ফোনে সংকেত পাঠিয়ে থাকে। এর পাশাপাশি বাইকে থাকা অন্যান্য প্রযুক্তি আরোহীর সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
ভ্যানহক্সের বিক্রয় ব্যবস্থাপক অ্যালেক্সান্ডার ছই জানান, একজন বাইক আরোহীর মূল চিন্তার বিষয় যেগুলো, সেগুলোতেই ফোকাস করা হয়েছে এই বাইকে। "এই শহরে সাইকেল চালানো খুবই বিপদজনক ব্যাপার, কারণ এখানে রাস্তায় অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়, রাস্তায় প্রচুর গাড়ি চলাচল করে। আর তাই আমরা এই বাধাসমূহ দূর করতে চেয়েছিলাম", জানান তিনি।
একজন বাইক আরোহী তার নতুন এই বাইকটি নিয়ে যখন নতুন কোন রুটে রওনা দিবেন, তখন তিনি আগে থেকেই বাইকের অ্যাপ ব্যবহার করে তার গতিপথ ঠিক করে নিতে পারবেন। পরবর্তীতে সেই রুটে চলার সময় তার হ্যান্ডেলবার তাকে নিশ্চিত করবে তিনি ঠিক পথে চলছেন কিনা।
এছাড়া এখানে আছে ‘স্মার্ট রুট’ নামের অপর একটি অপশন যেখানে আরোহীকে বাধাবিপত্তি নেই, এমন রুটের কথা জানানো হবে। আর রাস্তার উপর থাকা যেকোনো বিপত্তিকর বস্তু সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে আরোহীকে সতর্ক করে দিবে বাইকটি।
বাইকটির ওজন মাত্র ৭.৩ থেকে ১০ কেজির মধ্যে যা নির্ভর করবে ফ্রেম সাইজ এবং আনুষঙ্গিক কিছু বিষয়ের উপর। এর মূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার ডলার।
গত বছরের মে মাসে কিকস্টার্টার...
গুগলের নতুন সিএফও

রুথ পোর্যানট কে ওয়াল স্ট্রিটের সবচেয়ে শক্তিশালী নারী বলা হয়। তিনি মরগ্যান স্ট্যানলি'র প্রাক্তন সিএফও ছিলেন। বর্তমানে গুগলের চীফ ফাইন্যান্স অফিসার হিসাবে নিয়োগ পান তিনি।
প্যাট্রিক পিচেট গুগল থেকে অবসর নেয়ার পর রুথ পোর্যাুট কে গুগলে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি ১৯৮৭ সালে মরগ্যান স্ট্যানলিতে যোগদান করেন এবং ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে সিএফও হওয়ার আগে অনেক গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করেন। ২০০৮ সালে আর্থিক সঙ্কটের সময় ফ্যানি মে এবং ফ্রেডি ম্যাক এর রেসকিউর উপর মার্কিন সরকারকে পরামর্শ দেন। এছাড়া অ্যামাজন, ইবে সহ বেশ কিছু টেক আইপিও ফার্মকে আর্থিক সংকটের সময় তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন।
পোর্যালট স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে তার স্নাতক এবং পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হোয়ারটন স্কুল ও লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেছেন।
গুগলের ব্লগ পোস্টে বলা হয়, আমরা এমন সৃজনশীল, অভিজ্ঞ এবং শক্তিশালী নির্বাহী পেয়ে নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করছি। আর রুথ বলেন, টেক প্রতিষ্ঠানগুলো দৈনন্দিন জীবনে মানুষকে কিভাবে সাহায্য করে তা বোঝার অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ এটা।
ইন্টারনেট নৈতিক অবক্ষয় ঘটায়

বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বর্তমানে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে ইন্টারনেট। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কিংবা সরকারি সংস্থা এই খাতে বিশেষ নজর দিচ্ছে। বিভিন্ন দেশের মানুষও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছে।
তবে উন্নয়নশীল দেশসমূহের মানুষের মধ্যে একটি বড় অংশ মনে করে, ইন্টারনেট নৈতিক অবক্ষয়ের জন্য দায়ী। সম্প্রতি গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টার ৩২টি উন্নয়নশীল দেশের মানুষের মাঝে একটি জরিপ পরিচালনা করে। ফলাফল থেকে দেখা গেছে, এসকল দেশের মানুষের মধ্যে সিংহভাগই মনে করে অর্থনীতির জন্য ইন্টারনেট খুবই ইতিবাচক একটি বিষয়। তার থেকেও বড় অংশ বিশ্বাস করে, শিক্ষা এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কেও ইন্টারনেটের ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে।
তবে ইন্টারনেটের খারাপ দিক সম্পর্কেও অবগত আছেন তারা। ৩২টি দেশের মধ্যে কেবল নিকারাগুয়া ছাড়া অন্যান্য সকল দেশের মানুষের মতে, রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে ইন্টারনেট। মানুষের নৈতিকতায় এর থেকেও খারাপ প্রভাব রয়েছে ইন্টারনেটের, মনে করেন ২৯ শতাংশ মানুষ।
তবে এই ৩২ শতাংশ মানুষ কেন এমন ধারণা পোষণ করেন, সে ব্যাপারে জরিপের ফলাফলে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
নাজিমগড় রিসোর্ট

সিলেটের কথা উঠলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সবুজ চা বাগানের কার্পেট, মাধবকুণ্ডের জলপ্রপাত, জাফলংয়ে ভারত থেকে পাথর নিয়ে নেমে আসা নদী। দিনের বেলা এসব জায়গা ঘুরে এসে রাতটা যদি শহরের হইচইয়ের মধ্যে কোনো হোটেলে কাটাতে হয় তাহলে বেড়ানোর আমেজটাই নষ্ট হয়ে যায়। রাতটা হয়ে যায় আনন্দহীন শহুরে সময়।
তবে হইচইয়ের মধ্যেও সিলেট শহর থেকে সামান্য দূরে খাদিমনগরে এক নির্জন দ্বীপ গড়ে তুলেছে নাজিমগড় রিসোর্ট। তাদেরই ব্যবস্থাপনায় মেঘালয় সীমান্তে লালাখালে তৈরি হয়েছে পিকনিক স্পট। দিনের বেলা লালাখালে নৌকায় বেড়ানো কিংবা পাশের খাসিয়া পল্লী ঘুরে দেখা, হয়তোবা চা বাগানের সরু পথে হাঁটাহাঁটি করে বিকেল-সন্ধ্যায় নিরিবিলি সময় কাটানো। এক আদর্শ অবসর যাপন কেন্দ্র এ নাজিমগড় রিসোর্ট।
নাজিমগড় রিসোর্টে থাকার জন্য আছে তিন ধরনের ব্যবস্থা। আছে বিশাল টেরেস, ছোট ছোট বাংলো ও বড় ভিলা। একেকটির ভাড়া একেক রকম, তবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় পাঁচতারা হোটেলের সমান। আছে স্পা ও পুল, যেখানে দূর করতে পারেন শরীরের অবসাদ।
সবচেয়ে বড় কথা প্রতিটি স্থাপনাই গাছপালা-জঙ্গলে ছাওয়া টিলার ধারে। ভিলা, টেরেস বা বাংলোর বারান্দায় বসে হাত বাড়ালেই যেন পাওয়া যায় গাছগাছালির ছোঁয়া।
সাধারণ হোটেল-কটেজের চেয়ে নাজিমগড়ে থাকার খরচটা একটু বেশিই মনে হবে। এক রাতের জন্য সবচেয়ে কমদামি ‘প্রিমিয়ার’ কক্ষের ভাড়া পড়বে প্রায় ৭ হাজার টাকা, আর প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইটের ভাড়া প্রায় ১৫ হাজার। এক কক্ষে থাকতে পারবেন সর্বোচ্চ ৩ জন, তবে ৮ বছরের নিচের শিশুর জন্য ভাড়া লাগবে না। এ ভাড়ার মধ্যে পাবেন দুজনের সকালের নাশতা।
এ সিজনে নাজিমগড় রিসোর্ট দিচ্ছে ‘স্পেশাল অফার’। যুগলের জন্য মাথাপিছু ১৪ হাজার ৫০০ টাকায় ২ রাত ৩ দিন কাটিয়ে আসতে পারেন রিসোর্টে। এ খরচেই থাকবে প্রতিদিন তিন বেলার খাবার, লালাখালে নৌকা ভ্রমণসহ আশপাশের দর্শনীয় স্থানে বেড়ানো এবং...