টাঙ্গুয়ার হাওর হতে পারে আপনার ভ্রমণের স্থান
বাংলাদেশের জন্য গুগল
বাংলাদেশের জন্য নতুন তিনটি সেবা চালু করতে যাচ্ছে গুগল। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ‘২১ শে ফেব্রুয়ারি’তে শুধু গুগল ডুডলের মাধ্যমে নয়, ‘গুগল ট্রান্সলেটর’র মাধ্যমে দিবসটিকে তুলে ধরা হবে।
এছাড়াও ‘বাংলা হ্যান্ডরাইটিং রিকগনিশন’ সেবাও চালু করবে গুগল। এটি অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিকগনিশন (ওসিআর) এর মতো কাজ করবে। এটিতে টাচস্ক্রিন জাতীয় ডিভাইসে বাংলা লেখা হলে গুগল সেটি সংরক্ষণ করবে।
অন্যদিকে গুগল শিগগিরই বাংলাদেশে ‘গুগল অনুবাদ’ সেবা চালু করবে। ফলে ইংরেজি থেকে বাংলা এবং বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ সহজ হবে। যদিও এ সেবা এখনো স্বল্প পরিসরে চালু আছে। পূর্ণাঙ্গ এই সেবা চালু করতে ২ লাখ বাংলা শব্দ গুগলে যুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শব্দ যোগ হলে কারিগরি উন্নয়ন ঘটিয়ে ‘গুগল অনুবাদ’ চালু করবে গুগল।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলমান ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে’ গুগলের কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানান। বিভিন্ন সেমিনারে তারা তাদের বিভিন্ন আয়োজন নিয়ে কথা বলেন। গুগলের জ্যেষ্ঠ কর্মসূচি ব্যবস্থাপক লিন হা, গুগলের ট্রান্সলেট সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অ্যানি মেসার ও গুগল বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্ট খান মোহাম্মাদ আনোয়ারুস সালাম সেমিরারগুলোতে বক্তব্য রাখেন।
প্রযুক্তিতে নতুন দিগন্ত \"এক্স-রে\"
চিকিৎসা, জ্যোতির্বিদ্যা, স্ফটিক ও আণুবীক্ষণিক বিশ্লেষণ, বিমানবন্দর ও সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষা প্রভৃতি কাজে এক্স-রে ব্যবহৃত হচ্ছে অনেক আগে থেকেই। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের পালো আলটো শহরের একদল গবেষক এবার বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এক্স-রে প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন।
জীবন্ত কোনো সত্তার মধ্যে পরমাণু ও অণুগুলো কীভাবে বিচরণ করছে, তা দেখার জন্য লিন্যাক কোহেরেন্ট লাইট সোর্স (এলসিএলএস) ব্যবহার করা হচ্ছে। যন্ত্রটি আগের প্রজন্মের লেজার রশ্মির চেয়ে শতকোটি গুণ বেশি শক্তিশালী।
পালো আলটোর ওই প্রকল্পের নেতৃত্বে রয়েছেন অধ্যাপক মাইক ডান। তিনি বলেন, এলসিএলএস অত্যন্ত দ্রুতগতির এক্স-রে প্রবাহ চালু করেছে। মনে করুন, একজন মানুষ ১০০ মিটার দৌড়ে অংশ নিচ্ছেন। তাঁর প্রথম ও দ্বিতীয় পদক্ষেপ বা স্থানের ব্যবধান এক সেকেন্ডের ১০০ ভাগের ১ ভাগ সময়। এই সূক্ষ্ম সময়কে ১০ লাখবার ভাগ করে প্রতিটি ভাগকে আবার ১০ লাখবার ভাগ করুন। এভাবেই দ্রুততম এক্স-রে প্রবাহের গতিকে বর্ণনা করা যেতে পারে।
লেজারটি এসএলএসি ন্যাশনাল একসেলারেটর ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সূক্ষ্ম কণার পারস্পরিক সংঘর্ষ ঘটানোর যন্ত্রের (কলাইডার) কার্যপদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। তবে পরমাণু ভেঙে ফেলার পরিবর্তে এটি জীবন্ত সত্তার অভ্যন্তরীণ রাসায়নিক বিক্রিয়া ও বিভিন্ন তৎপরতা দেখতে গবেষকদের সুযোগ করে দেয়। অধ্যাপক ডান বলেন, ‘ব্যাপারটা আসলেই বৈপ্লবিক। আমরা এখন স্থান ও কালের মাত্রায় পরমাণুর ভেতরের অবস্থা প্রথমবারের মতো দেখতে পারছি। রসায়ন ও জীববিদ্যার ক্ষেত্রে এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
পার্কিনসনস রোগে আক্রান্ত মানুষের মস্তিষ্কে পাওয়া যায়—এমন একটি উপাদান গবেষণাগারে তৈরি করেছেন বিজ্ঞানী মেং লিয়াং। তিনি মনে করেন, নতুন লেজারটি তাঁর গবেষণা ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। উজ্জ্বলতা ও দ্রুতগতির শর্ত পূরণ করে প্রকৃত সময়ে এসব সূক্ষ্ম উপাদানের ছবি তোলার ক্ষেত্রে এলসিএলএস যে সামর্থ্য দেখিয়েছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন এসব উপাদানের অস্তিত্বের প্রমাণ না খুঁজে এগুলো...
প্রযুক্তিতে দেখব দেশ
বইমেলায় নজরুল মঞ্চে মোড়ক উন্মোচিত হলো দেশের প্রথম ব্রেইল তথ্য-প্রযুক্তি প্রকাশনা ”প্রযুক্তিতে দেখব দেশ” । দেশের দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের প্রযুক্তিতে আগ্রহী এবং নিজেদের প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে এটি দেশের তথ্য-প্রযুক্তি ম্যাগাজিন মাসিক টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের বিশেষ স্মারক প্রকাশনা।
মোড়ক উন্মোচন করেন দেশের প্রথিতযশা তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জাব্বার, এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. সৈয়দ আকতার হোসেন। বাংলাদেশ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সোসাইটি(বিভিআইপিএস)-এর সভাপতি জনাব মোশারফ মজুমদার এবং মাসিক টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের প্রকাশক ও সম্পাদক নাজনীন নাহার।
জনাব মোস্তফা জাব্বার বলেন – এটি দেশে প্রথমবারের মতো ব্রেইল পদ্ধতিতে প্রকাশিত তথ্যপ্রযুক্তি প্রকাশনা এবং এমন একটি আয়োজনে অংশ নিতে পেরে আমি আনন্দিত। এটি নিঃসন্দেহে একটি মহতী উদ্যোগ। আমি চাইবে প্রকাশকের এই প্রকাশনা অব্যাহত থাকুক। আমার বিশ্বাস এটি তথ্যপ্রযুক্তিখাতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের অংশগ্রহন বাড়াতে এবং তাদেরকে প্রযুক্তিতে আগ্রহী করবার ক্ষেত্রে একাট মাইল ফলক হিসাবে কাজ করবে।
মোশারফ বলেন – আমি আনন্দিত এই ভেবে যে আমাদের জন্য এমন একটি প্রকাশনার কথা কেউ ভেবেছে। নিশ্চই চাইব এটি অব্যাহত থাকুক। এতে করে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা তথ্য যোগাযোগে সম্পৃক্ত হতে পারবে এবং তাদের অংশগ্রহন নিশ্চয়ই জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
জনাব সৈয়দ আকতার হোসেন বলেন – তথ্য প্রযুক্তিতে ব্রেইল-এ প্রকাশিত এই স্মারক প্রকাশনার জন্য আমি ভীষন ভাবে আনন্দিত। প্রযুক্তির সফল ব্যবহারে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরাও অংশগ্রহন করতে পারে জাতীয় উন্নয়নে- এই প্রকাশনাটি সে ক্ষেত্রে তথ্য সরবরাহে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
প্রকাশক এবং সম্পাদক নাজনীন নাহার বলেন প্রযুক্তি সবার, সকলেই এর দ্বারা উপকৃত হবে এটাই স্বাভাবিক। এই কথাগুলো আমরা টেকওয়ার্ল্ডের সূচনা লগ্ন হতেই বিশ্বাস করি। ২০১১ সাল হতে আমরা চেষ্টা করছি সর্বক্ষেত্রে প্রযুক্তিকে পৌঁছে দিতে আমাদের প্রকাশনার মাধ্যমে। দেশের প্রথম শিশুকিশোর তথ্যপ্রযুক্তি ম্যাগাজিন...
ওয়েবডেভেলপার হবেন কিভাবে
প্রতি মাসে প্রায় ১মিলিয়ন ওয়েবসাইট অনলাইনে যুক্ত হচ্ছে। কথার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস ইল্যান্সের নিচের দেওয়া লিংকে প্রবেশ করি। https://www.elance.com/trends/skills_central । এ লিংকে পাওয়া যাবে, বর্তমানে ইল্যান্সে কোন কাজ কি পরিমানে আছে। সেখানে প্রথমেই দেখা যাচ্ছে ওয়েবপ্রোগ্রামিং সম্পর্কিত কাজ।
সেখানে কাজের চাহিদা অনুযায়ি রিপোর্ট করা ১ম ৫টি কাজের লিস্ট দিচ্ছি।
1) web programming 2) article writing 3) php 4) html 5) graphics design
উপরের লিংকে প্রবেশ করলেই কথার সত্যতা পাবেন। এক্ষেত্রে মজার বিষয় হচ্ছে কাজ সবচাইতে বেশি ওয়েব প্রোগ্রামিং সম্পর্কিত হলেও সারাবিশ্বে ওয়েব প্রোগ্রামিং জানা লোক গ্রাফিক ডিজাইনার কিংবা এসইও জানাদের তুলনায় অনেক কম। আর এ বিশাল গ্যাপটির সত্যতা চোখে পড়ে যখন ওডেস্ক কিংবা ইল্যান্স এ সম্পর্কিত জব অফারগুলো দেখি। একটা এসইও সম্পর্কিত জব কিংবা গ্রাফিকস সম্পর্কিত কাজের জন্য যত আবেদন জমা পড়ে ওয়েবপ্রোগ্রামিং সম্পর্কিত কাজের জন্য তার তুলনায় অনেকগুন কম কাজ পড়ে।
যেখানে কাজ সবচাইতে বেশি কিন্তু কাজ করার জন্য আবেদন পড়ে অনেক কম, সেখানে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনাটা অনেক সহজ হবে, এটা খুব সহজেই বুঝতে পারি।
ওয়েবডিজাইনার হতে হলে কি কম্পিউটার সায়েন্স থেকে পাশ হতে হবে?
আমাদের সমাজের মধ্যে অনেকগুলো ভুল ধারনার মধ্যে এটিও একটি ভুল ধারণা। প্রকৃতপক্ষে বাহ্যিকভাবে দেখলে কম্পিউটার সায়েন্স থেকে পাশ করা স্টুডেন্টদেরই বেশি সফল হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। বেশিরভাগ ওয়েবডেভেলপমেন্ট সম্পর্কিত অফিসগুলোতে গেলেই যে তথ্য পাওয়া যায়, সেখানে দেখা যায় ৯০% ওয়েবডেভেলপারের এডুকেশন ব্যাকগ্রাউন্ড ভিন্ন। কিছুদিন আগে ক্রিয়েটিভ আইটি হতে একটা অফিসে এখান হতে কোর্স সম্পন্ন করা ৮ জনকে চাকুরী প্রদান করি। সেই ৮জনের মধ্যে মাত্র ১জন ছিল কম্পিউটার সায়েন্সের স্টুডেন্ট। বাকিদের মধ্যে ১জন ছিল ইসলামিক স্টাডিসের, বাকিদের মধ্যে একজন তিতুমীর কলেজের অন্যজন...
বৃহস্পতি উপগ্রহতে প্রাণ
বছরের পর বছর ধরে মহাকাশে বিভিন্ন গ্রহ নিয়ে অক্লান্ত গবেষণা আর একের পর এক অভিযান পরিচালনা করে আসছেন বিজ্ঞানীরা। উদ্দেশ্য একটাই, প্রাণের সন্ধান করা।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপা-তে প্রাণের উপস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেই সম্ভাবনা আদৌ সত্যি কিনা, তা যাচাই করতে এবার নাসার অভিযানের গন্তব্য হচ্ছে ইউরোপা।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীদের দাবী, ইউরোপা-র দক্ষিণ মেরুতে মাঝে মাঝেই পানির বিস্ফোরণ লক্ষ্য করা গেছে। ২০১২ সালে নাসার স্পেস টেলিস্কোপের কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে, ইউরোপা-য় তরল পানি থাকার সম্ভাবনা প্রবল। আর পানি থাকলে প্রাণীও থাকবে।
নাসা ইউরোপা মিশন হাতে নিয়েছে পুরো বিষয়টি খোলাসা করতে । মিশনটির নাম দেয়া হয়েছে ‘ইউরোপা ক্লিপার’।ক্লিপার নামে একটি স্যাটেলাইট ইউরোপা-কে প্রদক্ষিণ করে ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠাবে এই মিশনের আওতায়।
ইঁদুরের মধ্যে মানুষের ডিএনএ
ইঁদুরের ভ্রূণের মধ্যে মানুষের ডিএনএ সিকোয়েন্স ঢুকিয়ে তা নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই পরীক্ষার ফলে ইঁদুরের মস্তিষ্কের আকার আরও বড় হয়েছে বলে দাবি করেছেন গবেষকেরা। আলঝেইমারের মতো রোগের চিকিৎসায় এই গবেষণা কাজে লাগবে বলে তাঁরা উল্লেখ করেছেন। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানিয়েছেন, মানুষের জেনেটিক কোডের সঙ্গে মানুষের প্রজাতির সঙ্গে মিল রয়েছে এমন প্রাণীর অনেক মিল রয়েছে। এ রকম একটি প্রাণী হচ্ছে শিম্পাঞ্জি। শিম্পাঞ্জির সঙ্গে মানুষের ৯৫ শতাংশ মিল রয়েছে। শিম্পাঞ্জির সঙ্গে যে পার্থক্য রয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে মস্তিষ্কের আকার। মানুষের মস্তিষ্কের আকার শিম্পাঞ্জির চেয়ে বড়। শিম্পাঞ্জির মস্তিষ্কের ওজন ৩৮৪ গ্রাম আর মানুষের প্রায় এক কেজি ৩৫২ গ্রাম।
শুধু মস্তিষ্কের ওজন নয় বুদ্ধিমত্তার দিক থেকেও শিম্পাঞ্জির চেয়ে মানুষ এগিয়ে। গবেষকেরা দাবি করেছেন, শিম্পাঞ্জির মতো প্রাণীর সঙ্গে মানুষের বিবর্তনগত পার্থক্যের জন্য যে ডিএনএ সিকোয়েন্স ভূমিকা রাখে সেটা তারা বের করতে পেরেছেন।কিন্তু কীভাবে তাঁরা এটা করেছেন? গবেষকেরা বলছেন, ইঁদুরের ভ্রূণ নিয়ে গবেষণা করে এই পার্থক্য ধরতে পেরেছেন তাঁরা। এই ডিএনএ সিকোয়েন্সকে বলা হয় হেয়ার ৫ (এইচএআরই৫)। এই জিন সিকোয়েন্স যখন ইঁদুরের ভ্রূণে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয়, তখন ইঁদুরের মস্তিষ্কের আকার বড় হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ পর্যন্ত মস্তিষ্কের বৃদ্ধির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে।
কারেন্ট বায়োলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণা-সংক্রান্ত নিবন্ধ।ডিউক ইউনিভার্সিটির মেডিকেল স্কুলের মলিকুলার জেনেটিকস অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডেবরা সিলভার এ বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি বলেন, ‘হেয়ার ৫ ছাড়াও আমাদের খোঁজ পাওয়া আরও কয়েকটি সিয়োকেন্স মানুষের মস্তিষ্কের অনন্যতার বিষয়টি ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করতে পারে। হেয়ার ৫ মূলত ‘এনহ্যান্সার’ নামে পরিচিত, যা ‘হিউম্যান-অ্যাকসেলেরেটেড রেগুলেটরি এনহ্যান্সারস’ গ্রুপের মধ্যে পড়ে। এর মধ্যে হেয়ার...
জ্যাক মা আলিবাবা
চীনের ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা'র প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা আলিবাবা প্রতিষ্ঠার আগে চাকরির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছিলেন। কিন্তু কেএফসিসহ ৩০টি প্রতিষ্ঠানে চেষ্টা করেও কোন চাকরি জোগাড় করতে পারেননি তিনি। সম্প্রতি মার্কিন সাংবাদিক চার্লি রোজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের এমনই কিছু কঠিন বাস্তবতার কথা তুলে ধরেন তিনি।
কলেজের এনট্রান্স পরীক্ষায় তিনবার অকৃতকার্য হয়েছিলেন তিনি। একবার অকৃতকার্য হওয়ার পর তিনি ভিন্ন ভিন্ন ৩০টি প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু সবগুলো প্রতিষ্ঠানই তাকে হতাশ করে।
"আমি পুলিশে চাকরির জন্যও চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আমাকে সেখানেও অনুপযুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আমাদের এখানে যখন কেএফসি চালু হয়, তখন আমি সেখানেও চাকরি নেওয়ার চেষ্টা করি। আমরা একসাথে ২৪ জন চাকরির জন্য আবেদন করেছিলাম। আমি ছাড়া বাকি ২৩ জনেরই সেখানে চাকরি হয়েছিল। আমিই একমাত্র ব্যক্তি যার..."
পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে আলিবাবা প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। কিন্তু সে সময় তাকে নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পর তিন বছর কোন লাভের মুখ দেখতে ব্যর্থ হয় তার প্রতিষ্ঠান। সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল লেনদেন করা নিয়ে।
লেনদেনের সমস্যা দূর করতে তিনি আলিপে চালুর সিদ্ধান্ত নেন। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য লেনদেন আরও সহজ করতে চেয়েছিলেন তিনি। তখন অনেকেই জ্যাক মা'র আলিপে চালুর সিদ্ধান্তকে ভুল বলে মনে করেছিলেন।
তবে খুব দ্রুতই অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে থাকে। বর্তমানে প্রতিদিন আলিবাবা ব্যবহার করেন ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী। আর আলিপের বর্তমান গ্রাহক ৮০০ মিলিয়নেরও বেশি। আর সব মিলিয়ে জ্যাক মা'র সম্পদের পরিমাণ ২০৪০ কোটি ডলারেরও বেশি।
সবচেয়ে বড় কৃষ্ণগহ্বর
সূর্যের চেয়ে ১ হাজার ২০০ গুণ বড় কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পেয়েছেন বলে একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন। তাঁরা বলছেন, এটি আকারে এত বেশি বড় যে কৃষ্ণগহ্বরের প্রচলিত সৃষ্টিতত্ত্বের সঙ্গে তা মিলছে না। এতে কৃষ্ণগহ্বরের সম্প্রসারণ তত্ত্ব বা অনুকল্প প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
মহাবিস্ফোরণের (বিগ ব্যাং) প্রায় ৯০ কোটি বছর পরে গঠিত হয়েছিল ওই কৃষ্ণগহ্বর। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এএনইউ) জ্যোতির্বিদ্যা গবেষণা অনুষদের বিজ্ঞানী ফুয়ান বায়ান বলেন, আগের গবেষণার ভিত্তিতে বলা যেতে পারে এটিই সবচেয়ে বড় কৃষ্ণগহ্বর। একটি কৃষ্ণগহ্বর কতটা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে, তা নিয়ে প্রচলিত তত্ত্বে কিছু সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে। কিন্তু সেই তত্ত্বের তুলনায় এই কৃষ্ণগহ্বর অনেক বেশি বড়।
মহাশূন্যের কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোল হচ্ছে গাণিতিকভাবে সংজ্ঞায়িত কোনো অঞ্চল, যার মহাকর্ষীয় শক্তি অত্যন্ত বেশি। এটি সব কিছুকে নিজের দিকে টেনে নিয়ে যায় এবং সেই অঞ্চল থেকে কিছুই বেরিয়ে আসতে পারে না, এমনকি আলো বা তড়িৎ চুম্বক তরঙ্গ পর্যন্ত নয়। সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্ব অনুযায়ী, অত্যন্ত ঘন সন্নিবিষ্ট বস্তুসমূহের ভর একত্র হয়েই একটি কৃষ্ণগহ্বর গঠিত হয়।
অত্যন্ত বেশি ভরের এসব কৃষ্ণগহ্বরের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কৌতূহল ও গবেষণা বেশ পুরোনো। তাঁদের অনেকে দীর্ঘদিন ধরে মনে করতেন, কৃষ্ণগহ্বরের সম্প্রসারণ সীমিত পর্যায়ে সম্পন্ন হয়।
তত্ত্ব অনুযায়ী, ভর থাকার কারণেই কৃষ্ণগহ্বরগুলো বড় হয়। এরা বাইরে থেকে ভর টেনে নেয়। তাই একসময় তেজস্ক্রিয় চাপ তৈরি করার মাধ্যমে উত্তপ্ত হবে। আর সেই চাপের ফলে কৃষ্ণগহ্বর থেকে ভর ছিটকে যাবে।
বায়ান বলেন, দুটি বল রয়েছে যেগুলো একসঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণভাবে কৃষ্ণগহ্বরের বৃদ্ধির সীমা নিয়ন্ত্রণ করে। তবে নতুন সন্ধান পাওয়া কৃষ্ণগহ্বরটির ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ওই সীমা অনেক কম।
চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শু-বিং উর নেতৃত্বে বিভিন্ন দেশের একদল বিজ্ঞানী সোলান ডিজিটাল স্কাই...
প্রযুক্তিগত আবিষ্কার বদলে দিয়েছে পৃথিবী
সমগ্র পৃথিবী জুড়ে হাজারো বিজ্ঞানীদের নিরলস পরিশ্রমে প্রতিদিনই কিছু না কিছু আবিস্কৃত হচ্ছে। আর এই আবিষ্কারগুলোর মাধ্যমে আমরা উপকৃত হচ্ছি। মানব জীবন হয়ে উঠছে সহজ থেকে সহজতর।
এই ধারা অব্যাহত থাকবে এবং সভ্যতা অবশ্যই এমন একদিকে চলে যাবে যা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। এর মাঝে অনেক আবিস্কারই আছে যেগুলো আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
যে সমস্ত আবিস্কারগুলো রাতারাতি পাল্টে দিয়েছিল পৃথিবীর চেহারা।
নিচে উল্লেখযোগ্য ২০টি প্রযুক্তিগত আবিষ্কারের ছবি দেওয়া হলঃ
১) গ্রামোফোন
২) পাঞ্চ কার্ড
৩) মুদ্রণযন্ত্র
৪) ফটোগ্রাফি
৫) টেলিফোন
৬) ব্যাটারি
৭) টেলিস্কোপ
৮) টেলিভিশন
৯) মোবাইল ফোন
১০) সুপার কম্পিউটার
১১)ট্রানজিস্টার রেডিও
১২)ইন্টারনেট
১৩) ইলেকট্রিক জেনারেটর
f
১৪) কৃত্তিম উপগ্রহ
১৫) ফিল্ম প্রজেক্টর
১৬) জিপিএস ডিভাইস
১৭) বৈদ্যুতিক মোটর
১৮) এলসিডি টেলিভিশন
১৯) ক্লোনিং
২০) থ্রিডি প্রিন্টার