১৫ কোটির পিসি
বিজয় বায়ান্ন কী-বোর্ডের সাহায্যে ইন্টারনেটে বাংলা লিখন পদ্ধতি

আমাদের অনেকেরই ইন্টারনেটে বাংলা লিখতে সমস্যা হয়।ইন্টারনেটে বাংলা লেখার জন্য কিছু সফটওয়্যার রয়েছে। যেমন: অভ্র, বিজয় ইত্যাদি।এগুলার অনেক সমস্যা রয়েছে।এই টেকটিউনসেই অনেক টিউনারের যেরকম বানান ভুল সেটা চোখে পড়ার মতই(দয়া করে আমার কথায় কোনো টিউনার ভাই রাগ করবেননা)। অভ্রতে আপনি সব বানান লিখতে পারবেন না,English ও বাংলা একসাথে লিখতে গেলে সমস্যা হয়,যুক্তাক্ষর লিখতে সমস্যা হয়,মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে লিখে এনে পেষ্ট করে দেখলেন যে হাবিজাবি কি সব হয়ে গিয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি।আবার নিকষ কনভার্টার ব্যবহার করে ওয়ার্ড এর ফাইল কে ইউনিকোডে রুপান্তর করে নেয়া যায় তবে এত বেশ কিছু কিছু বানান ভুল রুপান্তর হয় এবং ইংলিশ ও বাংলা একসাথে সমস্যা করে। অনেকে বাংলা লিখতে অভ্র ব্যবহার করেন।অভ্রের লে-আউট আর বিজয়ের লে-আউট সম্পূর্ন আলাদা।বিজয় বহু বহু বছর ধরে দেশের প্রিন্টিং মিডিয়াতে নিয়মিত ব্যবহার হয়ে আসছে এবং সবার কম্পিউটারে বাংলা টাইপের হাতেখড়ি এই বিজয় দিয়েই।যারা নিয়মিত কম্পোজের কাজ করেন দিনে কয়েক’শ থেকে কয়েক হাজার পৃষ্ঠা টাইপ করেন তারা বিজয় ছাড়া আর কিছু ভাবতেই পারেন না।যারা মোটামুটি বাংলা টাইপ করতে জানেন,যাদের টাইপিং এ স্পিড আছে তাদের জন্যই এই টিউন।আর যারা অভ্র ব্যবহার করে ভার্চূয়াল কী-বোর্ডে মাউস দিয়ে ক্লিক করে করে বাংলা বানানের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে সন্তুষ্ট তারা এখনই বেরিয়ে যান।আপনার কাছে বিজয় ব্যবহার করে ঝামেলা ছাড়া নির্ভুল বাংলা লেখার চেয়ে ওই অভ্রতে শম্বুকগতিতে লিখে বাংলা ভাষার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করাটাই ভালো মনে হবে। আজ আমরা শিখবো কিভাবে proper configure এর মাধ্যমে নির্ভূলভাবে ইন্টারনেটে বাংলা লিখা যায়। প্রথমে কম্পিউটারে বিজয় বায়ান্ন ইন্সটল করে নিন।উইন্ডোজ সেভেনে বাংলা লিখতে হলে বিজয় বায়ান্ন লাগবে।বিজয় বায়ান্নর বৈধ কপি সম্ভবত 120 টাকা।ইন্সটল করার পর key দিয়ে রেজিষ্টার করে নিন। এরপর উইন্ডোজের control panel...
স্যামসাংয়ের নতুন স্মার্টফোন জেড ওয়ান টাইজেন

দিন বদলের সাথে সাতে নতুন নতুন স্মার্টফোন আসছে বাজারে নামাদামি কোম্পানীগুলো সময়ের তালে তালে তাদের কোম্পানীর রুপ বদল করে বাজারে নিয়ে আসছেন নতুন নতুন স্মার্টফোন। তেমন প্রযুক্তির যুগে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছে স্যামসাং। এবার স্যামসাংয়ের বহুল আলোচিত স্মার্টফোন জেড ওয়ান টাইজেন আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে বাজারে পাওয়া যাবে। টাইজেন অপারেটিং সিস্টেম চালিত এই ফোন আপাতত ভারতের বাজারে ছাড়া হচ্ছে।
জেড ওয়ানে রয়েছে ৪৮০×৮০০ পিক্সেল রেজ্যুলেশনের ৪ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ৩.২ মেগাপিক্সেলের প্রধান ক্যামেরা ও ভিজিএ ফ্রন্ট ক্যামেরা। দুটো সিম ব্যবহার উপযোগী এই ডিভাইসে আছে ১.২ জিএইচ স্প্রেডট্রাম প্রসেসর, ৫১২ এমবি র্যাম এবং থ্রিজি ও ওয়াইফাই কানেক্টিভিটি সুবিধা।
দ্য কোরিয়া ইকোনমিক ডেইলের এক খবরে জানায়, এসএম-জেড ১৩০ এইচ মডেলের এই ডিভাইসটি ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি দিল্লিতে উন্মুক্ত করা হবে। ভারতীয় বাজারে স্মার্টফোনটির দাম মুদ্রায় ৫ হাজার ৭০০ রুপি।
নোকিয়ার প্রথম ট্যাব এনওয়ান

বাজারে আসছে নোকিয়ার প্রথম ট্যাব এনওয়ান। নতুন বছরের শুরুতেই তা বাজারে পাওয়া যাবে বলে নোকিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তবে শুরুতে এটা চীনের বাজারে আত্মপ্রকাশ করবে। বাংলাদেশে কবে আসবে তা এখনও জানা যায়নি। বাংলাদেশে এর দাম পড়তে পারে ২০ হাজার টাকার মতো।
ট্যাবলেটটির অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড ৫.০ ললিপপ ভার্সানের। এ ছাড়া থাকছে ২.৩ ইনটেল প্রসেসর ও ২ জিবি র্যামম। আছে ৮ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা ও ৫ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। ৭.৯ ইঞ্চির এইচডি ডিসপ্লের নয়া ট্যাবলেটটিতে থাকবে ৩২ জিবি ইন্টারনাল মেমোরি।
মাইক্রোসফটের নোকিয়া অধিগ্রহণের ফলে মোবাইলের দুনিয়া থেকে অনেক দিন হল নোকিয়া নামটি মুছে গেছে। তবে এ ট্যাবের মাধ্যমে নোকিয়া ফের প্রযুক্তিপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নিতে পারবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে।
তথ্য প্রযুক্তির অজানা কিছু তথ্য

মজার মজার তথ্য জানতে আমাদের সবারই অনেক ভালো লাগে। সব বিষয়েই নানান মজার তথ্য আছে। প্রযুক্তি নিয়েও আছে অনেক মজার তথ্য। আমাদের চারদিক এখন প্রযুক্তিতে ঘেরা। এত এত প্রযুক্তি যে আমরা এখন সহজে বুঝতেও পারিনা প্রযুক্তি দিয়ে আমরা কতটুকু আচ্ছন্ন। আমাদের গায়ের জামা, জুতো থেকে শুরু করে সবই প্রযুক্তি। আসুন আমরা তথ্য প্রযুক্তির কিছু তথ্য জানি।
১. দিয়াশলাই এবং লাইটার আমরা সবাই চিনি। সবাই দেখেছি ব্যাবহার করেছি। দিয়াশলাই দেখতে অতি সাধারণ, লাইটার এর তুলনায় অনেক আধুনিক মনে হয়। কি তাইনা? কিন্তু জানেন কি লাইটার দিয়াশলাইয়ের আগে আবিষ্কৃত হয়। আগে লাইটার আসছে এরপর দিয়াশলাই।
২. Windmills বা বায়ুকল আপনারা কে কে দেখেছেন?
না দেখলেও নাম অবশ্যই শুনেছেন। আমাদের দেশের ফেনী জেলার সোনাগাজী তে আছে বায়ুকল। বায়ুকলে এর পাখাগুলো এন্টিক্লকে ঘুরে। অর্থাৎ ঘড়ির কাটার উল্টো দিকে ঘুরে। কিন্তু একমাত্র আয়ারল্যান্ডে এগুলো ঘড়ির কাটার দিকে ঘুরে। এখন কেন ঘুরে তা খুঁজে বের করার দায়িত্ব আপনাদের।
৩. পৃখিবীতে প্রথম যে এলার্মক্লকটি তৈরী করা হয় তা শুধুমাত্র সকাল ৪টায় এলার্ম দিতো। কি কেউ চান এই ঘড়িটি? ঘুম শেষ।
৪. BMW গাড়ির কথা সবাই শুনেছি। যতটুকু জানি অনেক দামী গাড়ি। বিশ্বের সবচেয়ে দামী গাড়ি তৈরী করে এই কোম্পানী। কিন্তু জানেন কি এই কোম্পানিটি ছিল বিমানের ইঞ্জিন তৈরী করার জন্য। পরে এটি গাড়ি তৈরী করা শুরু করে এবং সাফল্যতো চোখের সামনেই।
৫. জানেন কি একটি সাধারণ কার(car) তৈরী করতে নাকি প্রায় ৩৯০৯০ গ্যালন পানি লাগে। আমার নিজেরই বিশ্বাস হয়না এই কথা। কিন্তু নেটে এটার অনেক রেফারেন্স। একটি টায়ার তৈরী করতেই নাকি ৫১৮ গ্যালনের মত পানি লাগে। আপনাদের কি বিশ্বাস হয়? আমার হয় না।
কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক ভালো রাখার কয়েকটি টিপস

অনেক সময় আমাদের ব্যাবহারের উপরে ভিক্তি করে আমাদের কম্পিউটার এর হার্ড ডিস্ক নষ্ট হয়ে যায় অথবা মাঝে মাঝে আমাদের হার্ড ডিস্ক ক্রেশ করে থাকে। যার ফলে আমাদের প্রয়োজনীয় ফাইল আমরা হারাতে পারি। তাই আপনার হার্ড ডিস্ক এর প্রতি যত্ন নিতে জেনে নিন কিছু দারুন টিপস।
১. প্রতি পার্টিশনে অন্তত ২০% ফাকা জায়গা রাখুন।
২. নিয়মিত ডিফ্র্যাগ করুন।
৩. সপ্তাহে একবার বুট টাইম ডিফ্র্যাগ করুন। অর্থাৎ পেজফাইল, হিবারফিল ইত্যাদি সহ সিস্টেম ফাইল ডিফ্র্যাগ করুন।
৪. হার্ডডিস্ক এর তাপমাত্রা মনিটর করুন। দরকার হলে ক্রিটিকাল তাপমাত্রা সেট করে দিন যেন বেশি গরম হয়ে গেলে আপনি নোটিফিকেশান পান।
৫. হার্ডডিস্ককে ধুলাবালি থেকে দূরে রাখুন। মনে রাখবেন ছোট্ট একটা কণা যা আপনার মাথার চুলের দশভাগের একভাগ সেটা আপনার ডিস্ক হেডকে নষ্ট করে দিতে পারে।
৬. ইউপিএস ব্যবহার করুন।
৭. ব্যাকআপের জন্য রেইড বানিয়ে ফেলুন।
৮. ছয়মাস বা একবছর পর পর সুযোগ পেলে হার্ডডিস্ক এর সকল ডাটা ব্যাকআপ নিয়ে ডিস্ক লো লেভেল ফরম্যাট করে নিন। এতে ব্যাড সেক্টর সহ কোন সমস্যা থাকলে তা দূর হয়ে যাবে।
৯. উইন্ডোজ এর ইনডেক্সিং বন্ধ করে দিন। ইনডেক্সিং এর মাধ্যমে উইন্ডোজ হার্ডডিস্ক এর সকল ফাইল এর লিস্ট তৈরি করে এবং সার্চ করলে দ্রুত ফলাফল দেখায়। কিন্তু ইনডেক্স এর কারণে অযথাই ডিস্ক ঘুরতে থাকে এবং শক্তি বা ব্যাটারি ক্ষয় হয়।
১০. হার্ডডিস্ক এর এটিএ কেবল ও পাওয়ার কেবল মজবুতভাবে যুক্ত আছে কিনা দেখে নিন। এটা ঢিলা হয়ে গেলে হার্ডডিস্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
আপনি এই নিয়ম গুলো মেনে চললে আশা করি আপনার হার্ডডিস্ক এর অনেক সমস্যা থেকে আপনি মুক্ত হবেন।
ছবি গোপন বা গোপন ছবি সুরক্ষা রাখার ১০টি কৌশল

প্রযুক্তি যেমন উপকারে আসে তেমনি বা তার চেয়ে বেশি অপকারও বয়ে নিয়ে আসে। প্রযুক্তির আসলে ব্যক্তিগত দোষ নেই, প্রযুক্তি যারা ব্যবহার করেন তারাই নিজ স্বার্থে বা হেয়ালিপনায় অনেক সময় অনেকের জীবন ধবংস করে দেয়। অনলাইনে তারকা ও নায়িকা দের ব্যক্তিগত গোপন ছবি ফাঁসের ঘটনা নিশ্চয়ই শুনেছেন। প্রযুক্তি নিরাপত্তা বিশ্লেষকেদের ধারণা, অ্যাপলের ক্লাউড সার্ভিসে রাখা তারকাদের গোপন ছবি ফাঁস করতে অ্যাপলের নিরাপত্তা দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়েছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। তাঁদের ধারণা, অ্যাপলের ‘ফাইন্ড মাই ফোন’ ফিচারটির ত্রুটিকে কাজে লাগিয়েই তারকা (নায়িকাদের গোপন ছবি) আইক্লাউড অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা। অবশ্য, অ্যাপল এক বিবৃতিতে সিস্টেম হ্যাকের বিষয়টি অস্বীকার করে করেছে। অ্যাপলের দাবি, তারকাদের ফিশিং মেইল পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে। ঘটনা যাই হোক না কেনো কয়েকটি কৌশল মেনে চললে তারকা সহজেই গোপন ছবি অ্যাকাউন্ট হ্যাকের বিষয়টি এড়াতে পারতেন। অনলাইনে তথ্য চুরির ঘটনা ঠেকাতে ৯ কৌশল মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা।
প্রথম কৌশল:
নায়িকাদের মত গোপন ছবি না তোলা প্রথম কৌশলটি খুব সাধারণ। স্মার্টফোনের মতো ইন্টারনেট সুবিধার যন্ত্র দিয়ে গোপন ছবি না তোলা। যদি গোপন ছবি তোলার প্রয়োজন পড়ে এবং তা সংরক্ষণ করতে হয়, সেক্ষেত্রে ডিজিটাল বা পোলারয়েড ক্যামেরায় তুলে যথেষ্ট সাবধানে ইন্টারনেট সংযোগবিহীন কোনো ডিভাইসে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
দ্বিতীয় কৌশল:
দ্রুত ডিলিট বাটন চাপুন যদি ফোন ব্যবহার করে গোপন ছবি তুলতেই হয় তবে কাজ শেষ হলে দ্রুত তা মুছে ফেলুন। যত বেশি সময় এ ধরনের ছবি ফোনে রাখবেন তত বেশি তা ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি থাকবে। অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ক মার্কিন বিশেষজ্ঞ স্টু সোয়ারম্যানের ভাষ্য, ‘দ্রুত ডিলিট বাটন চেপে দিন এবং দুশ্চিন্তামুক্ত হন। এটা খুব কঠিন কিছু নয়। ফোনের মধ্যে যদি স্পর্শকাতর...
তেল বা গ্যাসের পরিবর্তে জ্বালানি হিসেবে গাড়িতে বিদ্যুতের ব্যবহার

প্রযুক্তি কখনো মানবে অবাক করে আবার কখনো হতবাক করে। প্রযুক্তি নির্ভর আজ গোটা পৃথিবী। বিদ্যুৎ ছাড়া রাস্তার বাতি জ্বালে না। আর সেই বাতির বিদ্যুৎ দিয়েই যদি বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ দেয়া যায় তাহলে তো পোয়া বারো।কোন রিচার্জ স্টেশনের প্রয়োজন হলো না। চার্জ শেষ হলেই যে কোন স্ট্রিট ল্যাম্প থেকে গাড়ি রিচার্জ করে নেয়া গেলো।
আর এমন একটি ধারণা থেকেই বিশ্ববিখ্যাত মোটর কোম্পানি বিএমডব্লিউ নিয়ে আসছে নতুন এক ধরণের স্ট্রিট লাইট যা কিনা যেকোনো ইলেক্ট্রনিক গাড়িকেই চার্জ করতে সক্ষম।লাইট অ্যান্ড চার্জ নামক এই এলইডি (LED) লাইট থেকে সহজেই নেয়া যাবে চার্জ, প্রয়োজন হবে না কোন পাওয়ার আউটলেট বা চার্জিং স্টেশন। ভবিষ্যতে তেল বা গ্যাসের পরিবর্তে জ্বালানি হিসেবে গাড়িতে বিদ্যুতের ব্যবহার বহুগুন বেড়ে যাবে, এমন ধারণা থেকেই এ ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। শহরাঞ্চলে এই ব্যবস্থা আরও সুবিধাজনক এবং সাশ্রয়ী হবে।
যে কোনো ইলেকট্রিক গাড়িই এই বাতি দিয়ে চার্জ দেয়া যাবে। কোম্পানি বা মডেলের ভিন্নতার কারণে এতে কোন সমস্যা হবে না। ইতোমধ্যেই বিএমডব্লিউ তাদের হেডকোয়ার্টারের সামনে এরকম দুই লাইট স্থাপন করেছে। একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সহজেই ড্রাইভাররা তাদের গাড়ি চার্জ করতে পারবেন।
বিএমডব্লিউ বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক মডেলের ইলেকট্রিক গাড়ি ইতোমধ্যেই তৈরি করেছে যেগুলোর মধ্যে আই-৩ সিটি ভেহিকল এবং আই-৮ হাইব্রিড উল্লেখযোগ্য। কিন্তু পর্যাপ্ত চার্জিং স্টেশন না থাকার কারণে এবং চার্জ হতে প্রচুর সময় নেয়ার কারণে বাজারে ক্রেতাসমাদর পাচ্ছিল না এই গাড়িগুলো।এ জন্যই বিএমডব্লিউ এবং অন্যান্য গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরণের প্রযুক্তির সম্প্রসারণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
২০১৪ সালে বিলুপ্ত হওয়া ১০ প্রযুক্তিপণ্য

প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিবছরই প্রযুক্তিপণ্যে নিয়ে আসছে নিত্যনতুন ফিচার ও ডিজাইন। তবে নতুন পণ্যগুলো আর সেবাগুলোকে জায়গা করে দিতে অনেকটা চুপিসারেই বিদায় নিচ্ছে পুরানো অনেক কিছু। ২০১৪ সালে বিলুপ্ত হওয়া এমন ১০ প্রযুক্তিপণ্য আর সেবার তালিকা করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ম্যাশএবল ডটকম।
আইপড ক্লাসিক:
অ্যাপল ওয়াচ আর নতুন দুই আইফোনের অভিষেকের সঙ্গে সঙ্গেই অনেকটা চুপিসারেই ‘অবসরে’ যেতে হয়েছে আইপড ক্লাসিককে। আইপড টাচ কেই এখন বলা চলে অ্যাপলের ‘ফ্ল্যাগশিপ মিউজিক প্লেয়ার’।আইপড ক্লাসিকের বিদায়ের সময়টাও যথার্থ ছিল বলে মন্তব্য করেছে ম্যাশএবল। ‘অ্যাপল ওয়াচ’ দিয়ে প্রতিষ্ঠান হিসেবে অ্যাপলের ইতিহাসে শুরু হয়েছে নতুন অধ্যায়। অন্যদিকে স্মার্টফোন প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে প্রাসঙ্গিকতাও হারিয়েছে মিউজিক প্লেয়ার ডিভাইসগুলো। সব মিলিয়ে একসময়ের জনপ্রিয় আইপড ক্লাসিককে অবসরে পাঠানোর জন্য এটাই উপযুক্ত সময় ছিল বলে মন্তব্য করেছে ম্যাশএবল।
ফেইসবুক পোক অ্যাপ:
“ফেইসবুক কোন প্রতিষ্ঠানকে কিনতে না পারলে সেই প্রতিষ্ঠানকে অনুকরণ করে”—প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতাদের মহলে এমটা প্রায়ই শোনা যায় ফেইসবুক সম্পর্কে। এই উদাহরণ খাটে ফেইসবুকের পোক অ্যাপের ক্ষেত্রে। অনেকের মতেই স্ন্যাপচ্যাট কিনতে না পেরেই স্ন্যাপচ্যাটের অনুকরণে পোক ফিচার চালু করেছিল ফেইসবুক।আর এই ফিচার যে ব্যবহারকারীদের কাজে লাগার পরিবর্তে বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। অবশেষে ২০১৪ সালে এসেই পোক অ্যাপটি বন্ধ করে দিয়েছে ফেইসবুক।
এমএসএন মেসেঞ্জার:
২০১১ সালেস্কাইপ কিনে নেওয়ার পর সবচেয়ে বড় প্রভাবটি হয়তো পড়েছিল মাইক্রোসফটের নিজস্ব সেবার উপরই। স্কাইপের কাছে হার মেনে বিদায় নিয়েছে এমএসএন মেসেঞ্জার নামেই বহুল পরিচিত উইন্ডোজ লাইভ সেঞ্জার।২০১২ সালেই এমএসএন মেসেঞ্জার বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল মাইক্রোসফট। তবে ২০১৪ সাল পর্যন্ত চীনের বাজারে সক্রিয় ছিল উইন্ডোজ লাইভ মেসেঞ্জার।
অরকাট:
টেক জায়ান্ট গুগলের প্রথম সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট অরকাট যুক্তরাষ্ট্রে সফল হতে না পারলেও সাড়া পেয়েছিল ব্রাজিলে। ২০১০ সালে...
প্রযুক্তিবিদ বিল গেটসের বাড়ির তাক লাগানো কিছু তথ্য

মাইক্রোসফট-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এই মুহূর্তে আমেরিকার সবচেয়ে বিত্তবান ব্যক্তি। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমান মোট ৮১৫০ কোটি ডলার। শুধু সম্পদই নয়, তার বিলাসবহুল প্রাসাদটিতেও রয়েছে প্রযুক্তি ও ঐশ্বর্যের তাক লাগানো ঝলকানি। ১৯৮৮ সালে ২০ লাখ ডলারের বিনিময়ে ওয়াশিংটন এস্টেট কেনেন গেটস। এছাড়াও আশেপাশের এলাকা কিনে নিতে গেটস কে আরো ১৪ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হয়েছে। যার বর্তমান মূল্য ১৪৮ মিলিয়ন ডলার বা ১২,৩৫৪ কোটি টাকা। এই বাড়িটির জন্য আমেরিকান সরকারকে বছরে মোট ১ মিলিয়ন ডলার কর দেন বিল গেটস।
এরপর দীর্ঘ সাত বছর ধরে একটু একটু করে গড়ে ওঠে তার স্বপ্নের বাসভবন। বাড়িটি নির্মাণে খরচ হয় ৬.৩ কোটি ডলার। ‘সিটিজেন কেন’ ছবির নায়ক চার্লস ফস্টার কেনের বাড়ির আদলে গেটস তার আস্তানার নাম রেখেছেন ‘জানাডু ২.০’। শুধুমাত্র বিত্তের আস্ফালন নয়। বিল গেটসের বাড়ির আপাদমস্তক ছেয়ে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির চমক।বাড়িটির নিজের বিশালত্ব এবং এর সুযোগ সুবিধার জন্যও বিখ্যাত। ওয়াশিংটনের ম্যাডিনা তে অবস্থিত ৬৬,০০০ বর্গফুটেরও বেশী আয়তনের বিশাল এই বাড়িটি লেক ওয়াশিংটনের পাড়ে অবস্থিত। এর প্রায় ৫০০ ফিট পানির সাথে উন্মুক্ত সীমানা রয়েছে। বাইরে থেকে দেখতে ছোট মনে হলেও এর বেশীরভাগ অংশটাই আছে মাটির নিচে। তাই ছবিতে বাড়িটি দেখতে ছোট মনে হয়। গেটসের ‘দ্যা গেটস হোম’ জানাডু-২.০ সিরিজের বাড়ি। এই সিরিজের বাড়িগুলোর নির্মান শৈলি সম্পূর্ন আলাদা।
সাদামাটা বাড়িগুলো থেকে এর প্রধান আলাদা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ‘ইন্টেরিয়রের সাথে আল্ট্রা ইলেকট্রনিক্স এবং কম্প্টিউটার সিস্টেম’ ব্যবহার। এখন পর্যন্ত ২.০ সিরিজের এই একটি বাড়িই নির্মান করা হয়েছে। এই বাড়িটির বর্তমান বাজারদর ১৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়াও আশেপাশের এলাকা কিনে নিতে গেটস কে আরো ১৪ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হয়েছে। পুরো বাড়িটি প্যাসিফিক লজ স্টাইলে নির্মান করা হয়েছে। এখানে...