প্রযুক্তি এগিয়ে গেলেও কেন যেন আমরা আমাদের নিরাপত্তার খাতিরে ব্যবহার করা পাসওয়ার্ড গুলো নিয়ে এখনো তেমন একটা মাথা ঘামাই না। আমরা দিনের পর দিন একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করি! যাই হোক, গুগল তাদের নতুন লক প্যাটার্ন প্রযুক্তি বিশ্বের সামনে নিয়ে এসেছিলো ২০০৮ সালের দিকে। প্রথম দিকে অনেকেই এটি স্মার্টার লক প্রযুক্তি হিসেবে ব্যবহার করলেও কালের বিবর্তনে এখন দ্রুত আনলক করার জন্যেই বেশিরভাগ ব্যবহারকারী এটি ব্যবহার করে থাকনে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে বেশিরভাগ ব্যবহারকারীই একই ধরণের লক প্যাটার্ন ব্যবহার করে আসছেন যা কিছুটা আন্দাজ এবং অন্ধকারে ঢিল ছুড়েও সহজে বের করে নেয়া সম্ভব।
নরওয়েগান ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইন্সটিটিউটের এই গবেষণায় মার্টে লগে (Marte Løge) প্রায় ৪০০০ লক প্যাটার্ন বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন এবং এর মধ্যে থেকেই তিনি অদ্ভুত একটি ফলাফল দাঁড় করাতে সক্ষম হন। তিনি গবেষণায় দেখেন যে সেই লক প্যাটার্নগুলোই বেশি বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে যে প্যাটার্নগুলো সহজেই দেয়া যায় এবং সময়ও কম খরচ হয়। গবেষণাটি শেষে মার্টে লগে তার মত ব্যক্ত করেছিলেন এভাবে,
“Humans are predictable. We’re seeing the same aspects used when
creating a pattern lock [as are used in] pin codes and alphanumeric
passwords.” -Marte Løge
সবচাইতে ব্যবহারিত কিছু কমন প্যাটার্ন লক
গবেষণা থেকে যা জানা যায় তার সার সংক্ষেপ হচ্ছে,
প্রায় ৪৪ শতাংশ ব্যবহারকারী উপরের বাম দিকের ডটটি থেকে প্যাটার্ন শুরু করে থাকেন।
প্রায় ৭৭ শতাংশ ব্যবহারকারী যে কোন একটি কর্নার থেকে প্যাটার্ন শুরু করতে পছন্দ করেন।
বেশিরভাগ ব্যবহারকারীই ৫টি নোট ব্যবহার করে থাকেন তবে তার চাইতেও বেশি ব্যবহার হয়েছে ৪টি নোড।
১০ শতাংশের বেশি লক প্যাটার্ন মিলে যায় ইংরেজি অ্যালফাবেটের সাথে।
যেভাবে শক্তিশালী লক প্যাটার্ন তৈরি করবেন
হাতে থাকা এই ছোট্ট ডিভাইসগুলোতেই কিন্তু এখন আমাদের অনেক গুরুত্বপুর্ন ডাটা থাকে যা হয়তো অন্য মানুষের হাতে গেলে আমাদের বিভিন্ন রকমের বিপদ হতে পারে। তাই আমাদের উচিৎ আরও বেশি সতর্ক হওয়া। চলুন, ভালো প্যাটার্ন লক কীভাবে দিতে হয় সে সম্পর্কে জেনে নেই।
আপনার নামের অদক্ষর প্যাটার্ন হিসেবে ব্যবহার করবেন না।
প্রতিটি নড ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। ক্রসওভারের পরিমাণ যত বাড়বে ততই আপনার লক প্যাটার্নটি অনুমান করা কষ্টকর হয়ে যাবে।
প্যাটার্ন কিছুটা অন্যরকম এবং বড় আকারের করতে চেষ্টা করুন।
কমন প্যাটার্নগুলো এড়িয়ে চলুন, এমন কিছু দিন যাতে করে আপনার প্যাটার্নটি আপনার নাম, জন্ম তারিখ, প্রিয় মানুষ এমন কারও নামের সাথেই না মিলে যায়।
প্যাটার্ন লক ইনভিস্যিবল করে রাখুন।
আশা করি আপনার এই বিষয়টি সম্পর্কে হেলাফেলা করবেন না মোটেও। পরে পস্তানোর চাইতে কি আগে সতর্ক হয়ে ভালো ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ নয়?