জাতিসংঘের করা এক জরীপে দেখা গেছে, গত বছর বিশ্বব্যাপী ৪০ মিলিয়ন টনের বেশি ই-বর্জ্য তৈরি হয়েছে। যার মাত্র ৭ শতাংশ ফোন, কম্পিউটার ও প্রিন্টারের কারণে।
জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যের করতে বিশ্বব্যাপী মানুষজন এখন বহু ইলেকট্রনিক সামগ্রী ব্যবহার করে। কিন্তু দাম দিয়ে কেনা টেলিভিশন, মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপের মতো বিলাসী সামগ্রীর আর সব বর্জ্যের মতোই চলে যায় ভাগাড়ে। এসব বর্জ্যের সবচেয়ে বড় অংশ ওল্ড মাইক্রোওয়েব, ওয়াশিং মেশিন, ডিশওয়াশার এবং অন্যান্য গৃহস্থালী জিনিসের তৈরি। ৪০ মিলিয়ন টন ই-বর্জ্যের ৬০ শতাংশই এগুলো। আর তার মধ্যে শুধুমাত্র ১৫ শতাংশ রি-সাইকেল করা হয়েছে।
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ডেভিড ম্যালোন বলেছেন, এসব বর্জ্য থেকে পাওয়া যেতে পারে লোহা, কপার এমনকি সোনার মতো দামি ধাতব পদার্থ। কিন্তু এগুলো সংগ্রহ করতে হলে বিপজ্জনক টক্সিক কেমিকেলের সংস্পর্শেও আসতে হবে।
ই-বর্জ্য তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রথম এবং চীন ও জাপান দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থানে। আগামী তিন বছরে বিশ্বব্যাপী ই-বর্জ্যের পরিমাণ ২০ শতাংশ বাড়বে বলে ধারনা করা হচ্ছে।