বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল নতুন সার্চ অ্যালগরিদম চালু করবে গুগল। অবশেষে আজ থেকেই চালু হচ্ছে এই অ্যালগরিদম। নতুন এই সার্চ পলিসি অনুসারে মোবাইল ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট থাকবে গুগল সার্চ রেজাল্টের শীর্ষে।
এক্ষেত্রে বড় টেক্সট, সহজেই ক্লিকযোগ্য লিংক এবং সর্বোপরি রেসপন্সিভ ডিজাইন রয়েছে এমন ওয়েবসাইট প্রাধান্য পাবে। আর যেসকল ওয়েবসাইট এই নিয়ম মেনে ডিজাইন করা হবে না, সেগুলো সার্চ রেজাল্টের নিচের দিকে চলে যাবে।
গুগলের এই সিদ্ধান্তের বড় কারণ হল বর্তমানে ৬০ শতাংশ ট্র্যাফিক আসে মোবাইল থেকে। আর তাই গুগল চাইছে যেন মোবাইল ফোন থেকেই একটি ওয়েবসাইট স্বাচ্ছন্দ্যে ব্রাউজ করা যায়।
গুগল এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে ওয়েবসাইট মোবাইল ফ্রেন্ডলি করে তৈরি করতে ওয়েবসাইটের মালিকদের দুই মাস সময় দিয়েছিল। একইসাথে কী ধরণের পরিবর্তন আনতে হবে, সে সম্পর্কেও অনেক তথ্য দিয়েছিল। তবে তারপরও গুগল তেমন একটা সাড়া পায়নি। ফলে নতুন সিস্টেমে সার্চ র্যাংকিংয়ে বড় ধরণের পরিবর্তনের আভাস পাওয়া গেছে।
গুগলের নতুন এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ফার্ম ডিউডা'র সিইও ইটাই স্যাডান জানান, "আমি মনে করি যারা গুগলের নতুন এই সিদ্ধান্তের বলি হবে, তাদের অধিকাংশই বিষয়টি এখনও জানেই না।" তিনি মনে করেন, এক্ষেত্রে ক্ষতির শিকার হওয়া বেশিরভাগ ওয়েবসাইটই ছোট এবং মাঝারি প্রতিষ্ঠানের। "২১ তারিখ থেকে অনেক ছোটখাট প্রতিষ্ঠানই দেখবে যে তাদের ওয়েবসাইটের ভিজিটর উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। ওয়েবে ছড়িয়ে থাকা লাখ লাখ ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে এমনটি ঘটবে।"
গুগল সার্চ রেজাল্টের ক্ষেত্রেই সবসময় গুরুত্ব দিয়েছে কীওয়ার্ড সম্পর্কিত ওয়েবসাইট এবং সেই ওয়েবসাইটের কন্টেন্টকে। তবে এবার এই নীতি থেকে সরছে গুগল। গুগলের মতে, কন্টেন্ট অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে একটি ওয়েবসাইট একজন ব্যবহারকারী ঠিকভাবে ব্রাউজ করতে পারছে কিনা, সেটিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। একটি ওয়েবসাইটে কেবল ভাল কন্টেন্ট থাকলেই হবে না। সব ধরণের ডিভাইস থেকে সেই কন্টেন্ট পড়তে পারার মত উপযোগী হতে হবে ওয়েবসাইটকে।
তবে এক্ষেত্রে মোবাইল সার্চের ক্ষেত্রে প্রভাব বেশি পড়লেও ডেস্কটপ থেকে সার্চের ক্ষেত্রে তেমন কোন প্রভাব পড়বে না।