সারা বিশ্বে ২০ টি দেশে ৩০৩ মিলিয়নের বেশি গ্রাহককে সাথে নিয়ে গ্লোবাল র্যাংকিং এর এক স্থান উপরে স্থান পেল এয়ারটেল। ব্যবসা পরিচালনার দুই দশকের মধ্যেই মাইলফলক অর্জন, বিজনেস মডেল এবং বৈশ্বিক আকারে এর শক্তিমত্তা নিহিত এয়ারটেল এখন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় উদীয়মান বাজারের ব্র্যান্ডের অন্যতম। টুজি, থ্রিজি এবং ফোরজি নেটওয়ার্কে সর্বোচ্চ কাভারেজ সহ গ্রাহক এবং রাজস্বের দিক দিয়ে ভারতের বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর। সর্ববৃহৎ থ্রিজি, এম-কমার্স নেটওয়ার্ক এবং ভৌগোলিক উপস্থিতি সহ আফ্রিকার বৃহত্তম অপারেটর। এয়ারটেলের মোবাইল নেটওয়ার্ক ২০টি দেশে ১.৮৫ বিলিয়নের বেশি মানুষকে কাভারেজের আওতায় এনেছে। ২০১৫ অর্থবছরে এটি বহন করেছে। ১.২৩ ট্রিলিয়নের বেশি ভয়েস মিনিট। ৩৩৩ পেটাবাইটের বেশী ডাটা। ১০০ মিলিয়নের বেশি মোবাইল গ্রাহকসহ ভারতের বৃহত্তম গ্রামীণ মোবাইল কাস্টমার বেস। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে এয়ারটেল কর্তৃপক্ষ।
এয়ারটেল ১৯৯৫ সালের নভেম্বরে নয়াদিল্লীতে (ভারত) এর কার্যক্রম শুরু করে এবং দুই দশকেরও কম সময়ে অতুলনীয় ব্যাপ্তি এবং কার্যক্রমের বৈচিত্রতার সাথে এটি উদীয়মান বাজারের একটি শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। কোম্পানিটি আউটসোর্সিং এর উপর ভিত্তিকৃত লো-কস্ট বিজনেস মডেলের পথিকৃৎ এবং এর মাধ্যমে কোম্পানিটি দ্রুতগতিতে এর সেবা সমূহ গ্রাহকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে এবং গ্রাহকদের সুলভে মোবাইল টেলিফোনী ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছে।
এই মাইলফলক অর্জন উপলক্ষ্যে ভারতী এয়ারটেলের চেয়ারম্যান সুনীল ভারতী মিত্তাল বলেন, “এয়ারটেল এর যাত্রায় এটি একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক এবং এটি আমাদের বিজনেস মডেলের শক্তিমত্তা প্রদর্শন করে। ২০টি দেশের গ্রাহকরা আমাদের ব্র্যান্ডকে ভালোবাসে। আজকে আমরা বৈচিত্র্যপূর্ণ ভৌগোলিক এলাকাসমূহে বিরামহীনভাবে আমাদের কার্যক্রমসমূহ পরিচালনা করি এবং প্রত্যেক গ্রাহককে একই বিশ্বমানের সেবা প্রদান করে থাকে, এটিই সম্ভবত আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জনগুলোর একটি। আমি আমাদের কর্মীদের এবং ব্যবসায় সহযোগীদের এই রোমাঞ্চকর যাত্রায় সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই এবং উন্নয়নশীল বিশ্বে মোবাইল ইন্টারনেট প্লে চালু হবার প্রাক্বালে এখন থেকে ভবিষ্যৎ শুধুই উজ্জ্বল হবে”।
এয়ারটেল ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মোবাইল নেটওয়ার্ক এর আওতায় ২০ টি দেশের ১.৮৫ বিলিয়ন লোক রয়েছে এবং এই নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে গতবছর ১.২৩ মিলিয়ন কল এবং ৩৩৩ পেটাবাইটসেরও বেশি ডাটা লেনদেন হয়েছে। ভারতে এয়ারটেল টুজি, থ্রিজি, ফোরজি, মোবাইল কমার্স এবং অন্যান্য ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস সহ সবচেয়ে বেশি সেবা দিয়ে থাকে। সমগ্র ভারতে এর রয়েছে ১.৫ মিলিয়ন আউটলেটস, ৫,১২১ শুমারীকৃত এবং ৪৬৪,০৪৫ শুমারীর বাইরের শহরে ও গ্রামে নেটওয়ার্ক উপস্থিতি যার আওতায় আছে সমগ্র ভারতের ৮৬.৮% জনসংখ্যা। ভারতে এয়ারটেল এর আছে ১০০ মিলিয়ন এর ও বেশি গ্রামাঞ্চলের গ্রাহক যা দেশটির সর্বোচ্চ।
ইন্ডিয়ার সবচেয়ে বিস্তৃত থ্রিজি নেটওয়ার্ক সেবাপ্রদানকারী সংস্থা হল এয়ারটেল যারা তাদের গ্রাহকদের দিচ্ছে দ্রুত গতির ইন্টারনেট সেবা এবং মোবাইল টিভি, ভিডিও কল, লাইভ স্ট্রীমিং ভিডিও এবং গেমিংসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনী সেবা। ইন্ডিয়াতে এয়ারটেলই এক মাত্র অপারেটর যারা টিডি-এলটিই এবং এফডিডি-এলটিই প্রযুক্তি ব্যাবহার করে ৩০টির ও বেশি শহরে ৪জি সেবা, দ্রুতগতির তারবিহীন প্রযুক্তি যাতে আছে বাফারলেস এইচডি ভিডিও স্ট্রীমিং এবং মাল্টিটাস্কিং সক্ষমতা। ভবিষ্যতে তারা ৬ টি সার্কেলে ১৮০০ মেগাহার্টজ সক্ষমতার এফডিডি-এলটিইএ ব্যাবহার করে ইন্ডিয়ার প্রথম ৪জি আলট্রা সার্ভিস দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
আফ্রিকাতে ভারতীয় এয়ারটেল হচ্ছে সবচেয়ে বড় মোবাইল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান যাদের আছে ৭৫ মিলিয়নেরও বেশি গ্রাহক। তারা আফ্রিকার ১৭টিরও বেশি দেশে টুজি, থ্রিজি এয়ারটেল মানি সেবা দিয়ে যাচ্ছে. এয়ারটেল মানি একটি দ্রুত বর্ধনশীল এম-কমার্স সেবা ডাটা অনুযায়ী যা মহাদেশটির উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। এয়ারটেল বাংলাদেশ ৮.৩৫ মিলিয়ন গ্রাহক সমৃদ্ধ একটি দ্রুত বর্ধনশীল মোবাইল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান যারা টুজি ও থ্রিজি সেবা দিচ্ছে। এয়ারটেল ব্র্যান্ডটি দেশটির তরুণ সমাজের কাছে তাদের ভয়েস সেবা এবং দ্রুতগতির থ্রিজি সেবার কারনে খুবই জনপ্রিয়। এই র্ব্যান্ডটির আছে ৩.৬ মিলিয়ন তরুণ ফ্যানসমৃদ্ধ “এয়ারটেল বাজ” নামে একটি ফেসবুক পেইজ। সম্প্রতি জনপ্রিয় এই টেলিকম ব্র্যান্ডটি কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স ইনিসিয়েটিভ, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস এবং সোশ্যাল মিডিয়া এনগেজমেন্ট এর জন্য ধারাবাহিক ভাবে অনেক পুরস্কার জিতে নিয়েছে।
শ্রীলঙ্কায় ভারতী এয়ারটেল তাদের সর্বাধুনিক টুজি এবং থ্রিজি এইচএসপিএপ্লাস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভয়েস, ডাটা এবং এন্টারপ্রাইজ সলিউশন সেবা প্রদান করে থাকে। এয়ারটেলের রয়েছে এর মোট নেটওয়ার্ক কাভারেজের ৭০% এরও বেশি এলাকায় থ্রিজির উপস্থিতি যা উপমহাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ থ্রিজি অনুপাত। বাজারের সর্বশেষ প্রবেশকারী হওয়া সত্ত্বেও কার্যক্রম চালুর প্রথম বছরেই এয়ারটেল ১ মিলিয়ন গ্রাহক সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। কো¤পানীটি ২০১৫ সালে গ্রেট প্লেসেস টু ওয়ার্ক এর পুরস্কার জিতে নেয়, একইসাথে শ্রীলঙ্কায় বেস্ট মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেশন হিসেবে স্বর্ণপদক জিতে নেয়।
গ্রাহকসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ মোবাইল অপারেটর
র্যাংকিং- অপারেটর- মোবাইল সংযোগ সংখ্যা(মিলিয়নে)
১. চায়না মোবাইল- ৬২৬.২৭
২. ভোডাফোন গ্রুপ- ৪০৩.০৮
৩. ভারতী এয়ারটেল- ৩০৩.১০
৪. চায়না ইউনিকম- ২৯৯.০৯
৫. আমেরিকা মোভিল- ২৭৪.১৪