মোবাইল ফোনের ছোট মাইক্রো চিপস সিম কার্ডের (সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি মডিউলস) ২৫ বছর হতে চলেছে। এই সময়ের মধ্যে মোবাইল ফোন এবং নেটওয়ার্ক টেকনোলজির ব্যাপক উত্থান ঘটলেও সিম কার্ডের ব্যবহার আগের মতই আছে।
তবে সিম কার্ডের নিরাপত্তা এখন হুমকির মুখে। সাম্প্রতিক সময়ে অভিযোগ উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা লক্ষ লক্ষ সিমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে ফেলেছে।
নেদারল্যান্ডের সিম কার্ড প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জিমাল্টো সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এসএসএ’র এ ধরনের হামলার সম্মুখীন হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে আসছিলো তাদের প্রস্তুতকৃত সিম কার্ড মোবাইলের জন্য কতটা নিরাপদ। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে সিম কার্ডে এখন লাভের চেয়ে অপূর্ণতাই বেশি।
১৯৯১ সালে সিম কার্ড সর্বপ্রথম বাজারে আসে। সেসময় মোবাইল ফোন ছিল অত্যন্ত ভারী একটি ডিভাইস যা সাধারনত গাড়ি বা কাঁধে রাখা হতো। অনেক সময় গাড়ির সাথে সিমসহ মোবাইলও ভাড়া দেয়া হতো। প্রতিবারে অনেক লম্বা এক্সেস কোড লিখার পরিবর্তে একটি সিমের সাহায্যে মানুষ সহজেই একজন অন্যজনের ফোন নম্বর পেতে পারতো।
কিন্তু এখন যুগ অনেক পাল্টেছে। সেই বিশাল মোবাইলে মধ্যে সিম কিংবা সিমকার্ড সহ গাড়ির দিন এখর আর নেই। এখন মানুষের হাতে হাতে স্মার্টফোন আছে। যার সাহায্যে মানুষ মুহুর্তেই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারতে পারে, বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারে, আছে ওয়াইফাই, ইমেইল, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং, অ্যাপ স্টোর এবং অনলাইন শপিংয়ের সুযোগ।
তবে শিঘ্রই সিম কার্ডের বিকল্প অসছে। এর পরিবর্তে একটি ইউজার আইডি এবং একটি পাসওয়ার্ড থাকবে। আমরা ওয়াইফাইতে যেভাবে এক্সেস করি, ব্যাপারটা ঠিক সেরকমই।