Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

বাংলাদেশীদের আবিষ্কার

Technology Image

মারকিউরাস নাইট্রাইট (HgNO2)
প্রখ্যাত বাঙালি রসায়নবিদ প্রফুল্ল চন্দ্র রায় (আগস্ট ২, ১৮৩১ – জুন ১৬, ১৯৪৪) যিনি পি সি রায় নামেও পরিচিত তিনি ১৮৯৫ সালে মারকিউরিস নাইট্রাইট (HgNO2)আবিষ্কার করেন যা সে সময়ে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তিনি তার সমগ্র জীবনে মোট ১২ টি যৌগিক লবণ এবং ৫ টি থায়োএস্টার আবিষ্কার করেন।
উদ্ভিদ উদ্দীপনায় সাড়া দেয়
পৃথিবীর প্রথম বায়োফিজিস্ট স্যার জগদীশচন্দ্র বসু (নভেম্বর ৩০, ১৮৫৮ – নভেম্বর ২৩, ১৯৬৭) প্রমাণ করেন যে, উদ্ভিদও উদ্দিপণায় সাড়া দেয়। তিনিই প্রথম উদ্ভিদ গবেষণায় পদার্থ বিদ্যা প্রয়োগ করেছিলেন। তিনি সম্পূর্ণ নিজস্ব পদ্ধতিতে এবং দেশীয় উপাদানে তৈরি যন্ত্রপাতি দিয়ে একটি বৈদ্যুতিক সংবেদনশীল যন্ত্রের মডেল আবিষ্কার করেন যা অনেকটা কম্পিউটারের সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিটের মতো। উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও সংবেদনশীলতা মাপতে ব্যবহৃত হয় এই যন্ত্র।
তাপীয় আয়নবাদ তত্ত্ব
বাংলাদেশী বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা ( ৬ অক্টোবর, ১৮৯৩ – ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৬) তাপীয় আয়নবাদ (Thermal Ionization) সংক্রান্ত তত্ত্ব উদ্ভাবন করে জ্যোতির্পদার্থ বিজ্ঞানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন।
পাট থেকে পাটকাঠি এবং পাটকাঠি থেকে রেয়ন
বাংলাদেশী রসায়নবিদ মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা (ডিসেম্বর ১, ১৯০০ – নভেম্বর ৩, ১৯৭৭) পাঠ ও পাঠকাঠি থেকে রেয়ন, পাঠকাঠি থেকে কাগজ এবং রস ও গুড় থেকে মল্ট ভিনেগার আবিষ্কার করেন যা এখনো বাংলাদেশের উল্লেখযোগ আবিষ্কার।
সংকর ধাতু উৎপাদন
বাংলাদেশের বিখ্যাত মহাকাশ গবেষক আব্দুস সাত্তার খান (১৯৪১ – ৩১ জানুয়ারি,২০০৮) নাসা ইউনাইটেড টেকনোলজিস এবং অ্যালস্টমে কাজ করার সময় ৪০ টিরও বেশি সংকর ধাতু উদ্ভাবন করেছেন। এই সংকর ধাতুগুলো ইঞ্জিনকে আরো হালকা করেছে যার ফলে উড়োজাহাজের পক্ষে আরো দ্রুত উড্ডয়ন সম্ভব হয়েছে এবং ট্রেনকে আরো গতিশীল করেছে। তার উদ্ভাবিত সংকর ধাতুগুলো এফ ১৬ ও এফ ১৭ যুদ্ধবিমানের জ্বালানি সাশ্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
রেকডি (জেনেটিক রিকম্বিনেশনের জিন)

Continue Reading...

মোবাইল ব্যাটারীর চার্জ বাঁচান

Technology Image

মোবাইল বন্ধ রাখুনঃ
এটাই মোবাইলের চার্জ রক্ষার সবচেয়ে সহজ পন্থা। যখন ঘুমাবেন বা যখন অফিস আওয়ার শেষ তখন মোবাইল বন্ধ রাখতে পারেন। এর জন্যে অনেক মোবাইলের সিডিউল পাওয়ার অফ অপশন থাকে।
সিগন্যালের জন্যে সার্চ না করাঃ
অনেক সময় কিছু জায়গায় নেটওয়ার্কের সমস্যা হতে পারে যেমন লিফটে। তখন মোবাইল থেকে সিগন্যালের জন্যে সার্চ না করাটাই ভালো।
ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ দেওয়া বা খালি করাঃ
অনেকেই মনে করেন যে ব্যাটারিতে সম্পূর্ণ চার্জ বা সম্পূর্ণ খালি না করে চার্জ দেওয়া ঠিক না। কিন্তু এই ধারণাগুলো সম্পূর্ণই ভুল।
রিংটোনঃ
প্রোফাইলে শুধু রিংটোন ব্যবহার করুন। ভাইব্রেট ওপেন থাকলে আজই বন্ধ করে দিন।
ব্যাকলাইটঃ
মোবাইলের ব্যাকলাইট যেন ৫ সেকেন্ডের বেশি না হয়। বেশি হলে অযথাই আপনার মোবাইলের ব্যাটারীর চার্জ খেয়ে ফেলবে।
অতিরিক্ত ফিচারঃ
আপনার মোবাইলে অতিরিক্ত ফিচার থাকলে সেগুলো আজই ডিলিট করে দিন। কারণ এসবের জন্যে চার্জ শেষ হয়ে যেতে পারে।
ওয়াই ফাই, ব্লুটুথ বন্ধ রাখুনঃ
কাজের সময় ছাড়া ওয়াই ফাই, ব্লুটুথ অবশ্যই বন্ধ রাখুন। কারণ এগুলো চার্জ শেষ হওয়ার নীরব ঘাতক।
ব্রাইটনেসঃ
মোবাইলের ব্রাইটনেস সবচেয়ে কম করে রাখুন।
৩জিঃ
৩জি এর ব্যবহার আপনার মোবাইলের চার্জ ৫০% কম খরচ করে। তাই ৩জি ব্যবহার করুন।
এ্যানিমেটেড ছবি বা ভিডিওঃ
আপনার মোবাইলটি যদি স্মার্টফোন হয় তবে অবশ্যই ব্যাকগ্রাউন্ডে এ্যানিমেটেড ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করবেন না।

Continue Reading...

কম্পিউটারে নতুন সফটওয়্যার যেভাবে শিখবেন

Technology Image

কম্পিউটার ছাড়া এখন জীবন চিন্তা করাই যায় না। তাই কম্পিউটার পরিচালনা করতে পারাটা জরুরী। অন্তত নিজে নিজে সাধারণ জিনিসগুলো পারতে হবে তা নাহলে অন্যের সামনে আপনার নাক কাটা যেতে পারে। কম্পিউটারের প্রত্যেকটা প্রোগ্রাম ভিন্ন ভিন্ন ভাবে কাজ করে। তারপরও সব প্রোগ্রামে কিছু জিনিস একরকমই হয়। নতুন প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে গেলে নতুন মনে হয় কিন্তু কিছু জিনিস খেয়াল করলে আর নতুন মনে হবে না। আসুন জেনে নেই কিভাবে তা করবেন।
সফটওয়্যারটি কি করেঃ
প্রথমেই সফটওয়্যারটি কি করে বা কিসের জন্য তা জেনে নিন। আইকনের উপরে মাউস পয়েন্টার নিয়ে গেলে সফটওয়্যার সম্পর্কে একটি লেখা ভেসে উঠে যা এর সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে।
ভালোভাবে দেখুনঃ
সফটওয়্যারটি ওপেন করে যে উইন্ডো আসবে সেখানে মাউস পয়েন্টার ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে লেখাগুলো পড়ুন।
বারগুলো দেখুনঃ
এরপর টাইটেলবার, মেনুবারগুলো দেখে নিন। দেখবেন ফাইলে অন্যান্য সফটওয়্যারের মত ওপেন, ক্লোজ, সেভ, ফরম্যাট ইত্যাদি রয়েছে।
রাইট বাটনঃ
অনেক মেনুবারের আইটেমের উপরে রাইট বাটন ক্লিক করে দেখতে পারেন। অনেক সময় পপ আপ মেনু আসবে যেখান থেকে আপনার কাঙ্ক্ষিত টুলটি ব্যবহার করতে পারবেন।
হেল্প বাটনঃ
সব সফটওয়্যারেই একটি হেল্প বাটন থাকে। সেখানে গিয়েও সফটওয়্যার সম্পর্কে বিশদ জানতে পারবেন।
গুগলে সার্চ দিনঃ
গুগল সার্চ ইঞ্জিন এমন একটি জায়গা সেখানে সব তথ্য পাওয়া যায়। ফলে একটি নির্দিষ্ট সফটওয়্যারে কি জানতে চাচ্ছেন তা গুগলে সার্চ দিয়ে জেনে নিতে পারেন।
শর্টকাট কীঃ
সফটওয়্যার দ্রুত পরিচালনার জন্যে শর্টকাট কীগুলো জেনে নিন। এর ফলে আপনি আরো সুচারুরূপে কাজ করতে পারবেন।
C, V এবং X কীঃ
এই তিনটি কী খুব গুরুত্বপূর্ণ। এদের মাধ্যমে যথাক্রমে কপি, পেস্ট ও কাট করা যায়। সব সফটওয়্যারেই এগুলো crtl এর পরে টিপে এই কাজগুলো করা যায়। এছাড়া প্রতিটি...

Continue Reading...

কম্পিউটার কেউ লুকিয়ে ব্যবহার করেছে কিনা জেনে নিন

Technology Image

খুব সহজেই গোয়েন্দাগিরি করে বের করুন আপনার কম্পিউটার অন্য কেউ নেড়েছিল কিনা। 
১। প্রথমে Start এ ক্লিক করুন।
২। এরপর Run এ ক্লিক করুন।
৩। এবার Open এর ঘরে recent লিখে কিবোর্ড থেকে এন্টার অথবা Ok ক্লিক করুন। সাথে সাথে আপনার সামনে একটি চার্ট এসে হাজির হবে। আপনি দেখতে পারবেন কে আপনার কম্পিউটারে কি দেখেছে, কি করেছে।
এরপর নির্দিষ্ট দিন ব্যাপী হিস্টরি দেখতে প্রথমে ডেক্সটপ থেকে My Computer ওপেন করুন। তারপর Ctrl+H চাপুন। আর মজা দেখুন আপনার ডান সাইডে সব হিস্টরি হাজির। এখন আপনি যে দিন/সপ্তাহ/মাস এর হিস্টরি দেখতে চান সেখানে ক্লিক করলেই সব দেখতে পারবেন।

Continue Reading...

বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির নাম ও ব্যবহার

Technology Image

আসুন জেনে নেওয়া যাক বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ও তার ব্যবহার। 
☞ মিটার সেকল → দৈর্ঘ্য পরিমাপের সবচেয়ে সরল যন্ত্র
☞ ভার্নিয়ার স্কেল → দৈর্ঘ্য পরিমাপক যন্ত্র (মিলিমিটারের ভগ্নাংশ)
☞ স্লাইড ক্যালিপার্স → বস্তর দৈর্ঘ্য, চোঙ বা বেলনের উচ্চতা, ফাঁপা নলের অন্ত:ব্যাস ও বহির্ব্যাস, গোলকের ব্যাস নির্ণয় করা যায়
☞ স্প্রিং নিক্তি → সরাসরি বস্তর ওজন নির্ণায়ক
☞ তুলা যন্ত্র → খুব অল্প পরিমাণ জিনিসের ভর সুক্ষ্মভাবে নির্ণয় করার যন্ত্র
☞ জাইরোকম্পাস → জাহাজের দিক নির্ণায়ক
☞ অডিও মিটার → শব্দের তীব্রতা নির্ণায়ক
☞ অডিও ফোন → কানে দিয়ে শোনার যন্ত্র
☞ সিসমোগ্রাফ → ভূকম্পন তরঙ্গ পরিমাপক যন্ত্র
☞ রিখটার স্কেল → ভূকম্পন তীব্রতা পরিমাপের একটি গাণিতিক স্কেল। এ স্কেলে ১ থেকে ১০ পর্যন্ত ভূমিকম্পের তীব্রতা ধরা হয়। ১৯৩৫ সালে সি. এফ. রিখটার এটি আবিষ্কার করেন।
☞ রেইনগেজ → বৃষ্টি পরিমাপক যন্ত্র
☞ সেক্স্রট্যান্ট → সূর্য ও অন্যান্য গ্রহের কৌণিক উন্নতি পরিমাপক যন্ত্র
☞ ক্রোনোমিটার → দ্রাঘিমা নির্ণয় / সূক্ষ্ম সময় পরিমাপক যন্ত্র
☞ অ্যাক্সিলারোমিটার → ত্বরণ পরিমাপক যন্ত্র
☞ স্প্রিডোমিটার → দ্রুতি পরিমাপক যন্ত্র
☞ ভেলাটোমিটার → বেগের পরিমাণ নিণায়ক
☞ অ্যানিমোমিটার → বাতাসের গতিবেগ ও শক্তি পরিমাপক যন্ত্র
☞ ওডোমিটার → মোটর গাড়ির গতি নির্ণায়ক
☞ ট্যাকোমিটার → উড়োজাহাজের গতি নির্ণায়ক
☞ অলটিমিটার → উচ্চতা নির্ণায়ক
☞ ফ্যাদেমিটার → সমুদ্রের গভীরতা নির্ণায়ক
☞ ম্যানোমিটার → গ্যাসের চাপ নির্ণায়ক
☞ ব্যারোমিটার → বায়ুমন্ডলের চাপ নির্ণায়ক
☞ এনোমোমিটার → বায়ুর গতিবেগ মাপক যন্ত্র
☞ হাইগ্রোমিটার → বায়ুতে আর্দ্রতা পরিমাপক যন্ত্র
☞ হাইড্রোমিটার → তরলের আপেক্ষিক গুরত্ব বা ঘনত্ব নির্ণায়ক
☞ ল্যাক্টোমিটার → দুধের বিশুদ্ধতা নির্ণায়ক
☞ হাইড্রোফোন → পানির তলায় শব্দ নিরুপণ যন্ত্র
☞ ক্যালরিমিটার → তাপ পরিমাপক যন্ত্র
☞ থার্মোমিটার → উষ্ণতা পরিমাপক যন্ত্র
☞ থার্মোস্ট্যাট → ফ্রিজ, ইস্ত্রি, ওভেন...

Continue Reading...

মরিচা দূরীকরণ

Technology Image

দিনদিন প্লাস্টিকজাত সামগ্রীর চাহিদা বাড়লেও পিছিয়ে নেই লৌহজাত জিনিসের চাহিদা। কিন্তু লৌহজাত সামগ্রীর মূল সমস্যাই হলো মরিচা। লোহায় মরিচা পরার কারণে অনেক সময়ই সামগ্রীটি হয় ভেঙ্গে যায় নতুবা সামগ্রীটি চাকচিক্যতা হারিয়ে অল্প দিনেই পুরাতন হয়ে যায়। আবার প্লাস্টিকের সামগ্রীও কিছুদিন ব্যবহারের পর তাতে লালচে দাগ পড়ে যায়, যা অনেকটা বিরক্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়। আজ আমরা জানবো মরিচা দূর করার কয়েকটা পদ্ধতি-
*টিনের বা প্লাস্টিকের বালতির যেখানে যেখানে মরিচা ধরেছে, সেখানে সেখানে ঠান্ডা ব্ল্যাক টি দিন। একঘন্টা রাখার পর শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। বালতির মরচে বা দাগ মুহূতেই চলে যাবে।
*ওটমিল নোংরা বা দাগ পরিস্কার করতে বেশ কার্যকরী। ওটমিল দিয়ে হাত পরিস্কার করলে সবজি কাটার দাগ উঠে যায়। এছাড়াও ওটমিল অ্যান্টি সেপটিকের কাজ করে।
*রান্নাঘরের কোথাও জং ধরে গেলে বা তামার জিনিসের উপর কালো দাগ পড়ে গেলে কেচ্যাপ অনেকটা কাজে লাগে। তামার উপর কালো দাগ ওঠাতে সেখানে গরম জল আর কেচ্যাপ দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন।
*রান্নাঘরের নোংরা আবর্জনা পরিস্কার করতে ক্লাব সোডার বিকল্প নেই। প্রতিদিনকার রান্নাঘরের নোংরা আস্তরণ দূর করতে সোডা খুব কার্যকর।
*বোতলের কালো দাগ বা লালচে দাগ পরিস্কার করতে বোতলে গরম পানি নিয়ে তাতে কিছু চাল দিয়ে দিন। এবার বোতলের ঢাকনা লাগিয়ে বেশ জোরে জোরে ঝাঁকুনি দিন। তারপর ভালভাবে ধুয়ে দেখুন বোতল চকচকে পরিষ্কার হয়ে গেছে।
...দৈনন্দিন জীবনে অনাকাঙ্ক্ষিত মরিচার মুখোমুখি হতেই হয়। আশাকরি উপরের পদ্ধতিগুলো আপনার কাজে আসবে।

Continue Reading...

এসিডে ক্ষতি হয় না, আগুনে পুড়ে না

Technology Image

সহজে ধ্বংস হয় না এবং দেহটি নমনীয় এমন এক রোবট তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। ধসে পড়া ভবনের নিচের সংকীর্ণ পথ দিয়ে অনায়াসে ঢুকে পড়তে পারবে এ রোবট এবং খুবই বৈরী পরিবেশে উদ্ধার কাজসহ নানা তৎপরতায় সহায়তা করতে পারবে এটি।
বিজ্ঞান মানুষকে দিনদিন কতদূর এগিয়ে নিয়ে এসেছে এটা চিন্তা করলে সহজ কথায় উত্তর দেয়া সম্ভব নয়। বলতে হবে বিজ্ঞান কি করেনি, বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলেই আজ ঠান্ডাকে গরম, গরমকে ঠান্ডা করা যায়। শুধুই যে সুফল বয়ে এনেছে তাও বলা যাবে না। আসলে আলোর সাথে যেমন আঁধারের মিল তেমন সফলতার সাথে বিফলতা।

বিজ্ঞান নিয়ে প্রযুক্তি নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে চলছে তো চলছেই। নতুন নতুন আবিষ্কার যেন নেশায় পরিণত হয়েছেন তারা। তাই তো তেমনি রোবট আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা যা কি না আগুনে পোড়ে না, হিমাংকের নিচের হাড় জমানো ঠাণ্ডায় জমে যায় না বা গাড়ি চাপা দেয়ার পরও ‘মরে’ না। এমন কথা শুনলে কে না অবাক হবেন, সবার অবাক হওয়ারই কথা- হ্যাঁ এ রকম রোবটটি তৈরি করেছেন হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইকেল টোলি ও তার গবেষক দল।
পরীক্ষামূলক ভাবে যে রোবটটি তৈরি করা হয়েছে তা লম্বায় মাত্র ৬৫ মিলিমিটার। মাইনাস -৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের হাড় জমানো ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে প্রবল তুষার ঝড়ের মধ্যেও এটি অনায়াসে হেঁটে গেছে। আগুনের শিখার ধকল সহ্য করেছে ২০ সেকেন্ড এবং পানি ও অ্যাসিড এ রোবটের কোনো ক্ষতি করতে পারে নি। গাড়ি চাপা দিয়েও এ রোবটকে ধ্বংস করা যায় নি। রোবটের দেহ নিয়েই কেবল এমন চরম পরীক্ষা চালান হয়েছে। রোবটটি পরিচালনার জন্য যে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা তা আলগা ভাবে লাগান থাকায় এ সব পরীক্ষায় তা ব্যবহার করা যায় নি। অবশ্য টোলি বলেন, এ রোবটের নমনীয় দেহের...

Continue Reading...

তথ্যপ্রযুক্তিতে নারীর প্রভাব

Technology Image

প্রযুক্তি জগতে পুরুষদের আধিপত্য এখন আর নেই। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অনেক এগিয়ে গেছে । সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক বাধা ডিঙিয়ে এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী নিজেদের অধিষ্ঠিত করেছেন প্রযুক্তি জগতের নিয়ন্তা হিসেবে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে বিশ্বের শীর্ষ সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) শেরিল স্যান্ডবার্গ। সম্পদের পরিমাণ, ব্যবসায়িক প্রভাব, জীবনযাত্রা, গণমাধ্যমে উপস্থিতি, সমাজসেবা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন— এ সাতটি বিভাগে শীর্ষ ১০০ নারীর তালিকা করেছে বিখ্যাত মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস।
প্রচলিত সকল ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছেন এই নারীরা। তথ্যপ্রযুক্তিতে নারীরাও এগিয়ে যাচ্ছেন একই গতিতে। দেখুন তথ্যপ্রযুক্তি দুনিয়ার প্রভাবশালী পাঁচ নারীর অর্জন।

শেরিল স্যান্ডবার্গ (জন্ম ২৮ আগস্ট ১৯৬৯)
তিনি শুধু ফেসবুকের পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্যই নন; ডিজনি, ভি-ডে, দ্য সেন্টার ফর গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট, স্টারবাকস এবং উইমেন ফর উইমেন এই প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবেও কাজ করছেন। বর্তমানে ফেসবুকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শেরলি কারা স্যান্ডবার্গ। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের সেরা শিক্ষার্থী হিসেবে জন এইচ উইলিয়ামস পুরস্কার পেয়েছিলেন। টাইম সাময়িকীর ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় নাম আছে তাঁর। বিলিয়ন ডলারের মালিকও হয়েছেন সম্প্রতি।

ভার্জিনিয়া রমেটি (জন্ম জুলাই, ১৯৫৭)
১৯৮১ সালে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিনস (আইবিএম) করপোরেশনে কাজ শুরু, ২০১১ সালে এই প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হন তিনি। ভার্জিনিয়া মেরি ‘গিনি’ রমেটি বর্তমানে আইবিএমের চেয়ারম্যান ও সিইও। ২০১২ সালে টাইম সাময়িকীর ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান পান। নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং তড়িৎ প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করেন।

সাফরা এ. ক্যাটজ (জন্ম ১ ডিসেম্বর ১৯৬১)
বছরে চার কোটি ২০ লাখ ডলার বেতন সাফরা আডা ক্যাটজের। ওরাকল করপোরেশনের কো-প্রেসিডেন্ট ও চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) হিসেবে কাজ...

Continue Reading...

ফেসবুক সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ে আসছে নতুন প্রযুক্তি

Technology Image

প্রযুক্তির ব্যবহার দিনে দিনে এতো বেড়ে যাচ্ছে যে বোঝার উপায় নেই। এমন এক সময় আসছে যে, এই প্রযুক্তি ছাড়া চিন্তাই করতে পারবে না মানব সমাজ। ভালোর সাথে খারাপও যুক্ত হবে কেননা মানব জাতি অনেক লোভী। ক্ষমতা যার নিকট সেই সুযোগ খুঁজে বেড়াবে। প্রযুক্তির কল্যাণ না করে নিজের কল্যাণে ব্রত হয়ে যাবে। যাই হোক এমনটি কামনা করা যায় না প্রযুক্তি ক্ষেত্রে। তার চেয়ে প্রযুক্তিকেই সত্য মিথ্যে বোঝাতে শিখিয়ে নেওয়াটাই শ্রেয়। তেমনি ফেসবুকে আসছে সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ে নতুন প্রযুক্তি!

ফেসবুক স্ট্যাটাসের সত্যমিথ্যা যাচাইয়ের জন্য আসছে নতুন প্রযুক্তি। ইউরোপের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় এটি নিয়ে কাজ করছে৷ এ দলের নেতৃত্বে আছে ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারে অবস্থিত শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়৷ তারা এমন একটি সিস্টেম বা ব্যবস্থা তৈরির কথা ভাবছে, যেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে যে কোনো তথ্যের সত্যতা এবং তার সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্র সম্পর্কে জানতে পারবে৷ গবেষকরা জানিয়েছেন, ইমারজেন্সি সার্ভিস, গণমাধ্যম এবং প্রাইভেট সেক্টরে এটা বেশ কাজে দেবে৷ কেননা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব সেক্টর নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়াতে দেখা যায়৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থ সহায়তায় তিন বছরের প্রকল্পটির নাম দেয়া হয়েছে ‘ফিমে’৷ এর মাধ্যমে টুইটার ও ফেসবুকে ব্যবহারকারীদের দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা যাবে৷ এক বিবৃতিতে প্রকল্পের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্তমানে প্রচুর গুজব ও অসত্য তথ্য দেখা যায়৷ এ ধরনের বার্তাগুলোর সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে, যা পরবর্তীতে বড় ধরনের কোনো বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে৷ কিন্তু এই তথ্য ভাণ্ডারটি এতটাই বিশাল যে ঠিক যখন এটা দেয়া হবে তখনই এটা যাচাই-বাছাই করা সম্ভব নয়৷ এতে কিছুটা সময় লাগবে৷প্রকল্পটি চার ধরনের তথ্য নির্ধারণে কাজ করছে – জল্পনা, বিতর্ক, ভুল তথ্য এবং অসত্য তথ্য৷ মূলত তিনটি ফ্যাক্টর ব্যবহার করে কাজটি করছেন গবেষকরা৷ প্রথমত যে তথ্যটি দেয়া...

Continue Reading...