একটা গুজব বাতাসে উড়ছিল। সেটা হল, কোন কারণে এশিয়া কাপ আয়োজনে ভারত পেছনে হাঁটলে টানা তৃতীয়বারের মত বাংলাদেশেই অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপের আসর। আর সত্য হতে যাচ্ছে সেটাই। বোর্ড সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে, ফেব্রুয়ারির শেষে বাংলাদেশে বসবে এশিয়া কাপের আসর।
এশিয়া কাপ আয়োজনের দৌড়ে ছিল মূলত দুটি দেশ - বাংলাদেশ ও ভারত। গত সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলে রেখেছিলেন যে, ‘বাংলাদেশে এশিয়া কাপ আয়োজনের সুযোগ আছে। তবে, এসিসি’র (এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল) মিটিংয়ের আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না। এখন অবধি সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ভারতেই হবে এশিয়া কাপ। তবে, সেটা কোন কারণে না হলে আয়োজক দেশ হবে বাংলাদেশ।’
আর সেই কথটাই এবার সত্যি হতে যাচ্ছে। আরো একটি বড় টুর্নামেন্টের আয়োজক হচ্ছে বাংলাদেশ। যদিও, ২০১৬ সালের এশিয়া কাপের সময়সূচি এখনও নিশ্চিত হয়নি। তবে, সূত্রের খবর ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে টুর্নামেন্টটি শেষ হবে ৬ মার্চ।
এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ঠিক আগেই বাংলাদেশে বসবে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের আসর। আর এর আগে চলবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ। ফলে, বলে দেয়া যায় আগামী নভেম্বর থেকেই একটা ক্রিকেট মহাযজ্ঞে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
২০১৬ সালের এশিয়া কাপ হওয়ার কথা ছিল ভারতে। কিন্তু, অল্প সময়ের ব্যবধানে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যার আয়োজকও ভারত।পরপর দুটি বড় টুর্নামেন্ট আয়োজন করা একটু কঠিনই। তাই, এশিয়া কাপের আয়োজন থেকে সরে দাঁড়ালো ভারত।
জানিয়ে রাখা ভাল, ২০১৬ সালের এশিয়া কাপের আয়োজনের মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের আয়োজক হচ্ছে বাংলাদেশ। ২০১২ ও ২০১৪ সালের এশিয়া কাপ হয়েছিল ঢাকাতে।
প্রথমে শোনা গিয়েছিল, এশিয়া কাপ ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হবে আগামী এক মার্চ থেকে ১০ মার্চের মধ্যবর্তী সময়ে। তবে, এবার সেই সময় বদলে ফেব্রুয়ারির শেষে আয়োজন করা হবে।
এবারের এশিয়া কাপে বেড়ে যাচ্ছে দল সংখ্যাও। চার টেস্ট খেলুড়ে দেশ – বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার সাথে গত এশিয়া কাপে ছিল আফগানিস্তান। এবার এর সাথে যুক্ত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আর, চলতি বছরের এপ্রিলে আইসিসির নতুন সংস্কারের খর্ব করা হয়েছে এসিসির কর্মপরিধি। আর তখনই সিদ্ধান্ত হয় ২০১৬ ও ২০২০ সালের এশিয়া কাপ হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের।