বাংলার ক্রিকেট ইতিহাসের এক অন্যতম নাম অলক কাপালী। যাকে প্রথম ভালো ভাবে চিনতে পারি সম্ভবত পাকিস্তানের সাথে ২০০৩ সালে টেস্ট এ হ্যাট্রিক করার পর থেকে। নিয়মিত ভাবে কখনোই বেশিদিন খেলতে পারেননি তিনি। তবে ২০০৬,২০০৮ এ বেশ কিছুদিন দলে খেলেছিলেন। ২০০৮ এ এশিয়া কাপে ভারতের সাথে তাঁর ৮৫ বলে সেঞ্চুরী ছিল টর্নেডো গতিতে। প্রথম ৫০ করতে সম্ভবত ৬৭ বল খেলেছিলেন। কিন্তু পরের ৫০ করেছিলেন মাত্র ১৭/১৮ বলে। কিন্তু রোহিত শর্মা ও যুবরাজ সিংহ এর ব্যাটিং এর কাছে সেদিন হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে।
আসলে বাংলাদেশে প্রতিভাবান খেলোয়াড় এর কখনোই অভাব ছিল না। সঠিক পরিচর্যার অভাবেই সবাইকে ঝড়ে পরতে হয়েছে। সর্বশেষ সম্ভবত ২০১১ শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন অলক কাপালী। তারপর থেকেই দলের বাইরে তিনি। সর্বশেষ বিসিএল’এ ডাবল সেঞ্চুরী করে আবারো জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। কাজটা অনেক কঠিন হবে। তারপরও আশাবাদী তিনি।
সে একজন বাংলাদেশী খেলোয়াড় এবং আমি বাংলাদেশের প্রত্যেকটা খেলোয়াড় এর সমর্থক হিসাবে প্রার্থনা করবো যেন আবারো তাকে জাতীয় দলে সুযোগ দেয়া হয় । বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম হ্যাট্রিক করা কিংবা ভারতের সাথে প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরী করা খেলোয়াড় হিসাবে সম্মান তিনি পেতেই পারেন। ঘরোয়া লীগে ভালো করে আশা করি শীঘ্রই জাতীয় দলে ফিরতে পারবেন অলক কাপালি।