বাঁহাতের সুইং, গতি আর স্পিন দিয়ে ব্যাটসম্যানের উইকেট উপরে ফেলাটাই তাঁদের পেশা। বল হাতে নিলে ব্যাটসম্যান সবসময় একটু আতঙ্কে থাকতেন! পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরাম, ভারতের জহির খান, অস্ট্রেলিয়ার মিচেল জনসন, শ্রিলংকার চামিন্দা ভাস, ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্যার গারফিল্ড সোবার্স, নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেটরি এবং বাংলাদেশের মোহাম্মদ রফিক ক্রিকেট পঞ্জিকায় থিতু হয়েছেন বেশ ভালভাবেই। আজ তাঁদের ফ্রেমবন্দী করা হল-
ওয়াসিম আকরাম
পাকিস্তানের বাঁহাতি ফাস্ট বোলার ওয়াসিম আক্রাম সুইং অফ সুলতান নামে পরিচিত। টেস্ট ক্রিকেটে ৪০০-র বেশি উইকেট এবং ওয়ানডে ক্রিকেট সর্বাধিক ৫০২ উইকেট শিকার রেকর্ড রয়েছে তাঁর দখলে।
জহির খান
ভারতের বাঁহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলার জাহির খান বল উইকেটের দুদিকেই মুভ করানো এবং পুরানো বলে গতি ও সুইং করানোর জন্য বেশ দক্ষ। ভারতীয়দের মধ্যে টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে তিনি সবচেয়ে সফল।
মিচেল জনসন
অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি ফাস্ট বোলার মিচেল জনসন তাঁর গতির জন্যই বিখ্যাত। ১৫০ কিমির বেশি গতিতে বল করার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর।
চামিন্দা বাস
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের ইতিহাসে সেরা ফাস্ট বোলার চামিন্ডা ভাস । টেস্ট ম্যাচে শিকার কেরেছেন ৩৫৫ এবং ওয়ানডেতে ৪০০ উইকেট।
স্যার গারফিল্ড সোবার্স
বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে বিখ্যাত ওয়েস্টইন্ডিজের স্যার গারফিল্ড সোবার্স। বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে কেরিয়ার শুরু করলেও পরে বাঁহাতের কব্জির মোচড়ে চায়নাম্যান ও গুগলি বোলিংয়ের দক্ষতা অর্জন করেন।
ড্যানিয়েল ভেটরি
নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি স্পিনার ড্যানিয়েল ভেট্টোরি মাপা লেন্থ, ফ্লাইট, ও টার্ন করানোর জন্য পরিচিত। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অষ্টম ক্রিকেটার হিসেবে ৩০০ উইকেট ও ৩০০০ রান করেছেন তিনি।
মোহাম্মদ রফিক
বাঁহাতি এই স্পিনার বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল বোলার। লেন্থ আর সুইংয়ের বৈচিত্রের কারণে বেশ পরিচিত ছিলেন। টেস্ট ম্যাচে ১০০ এবং ওয়ানডেতে ১২৫ উইকেট শিকার করেন তিনি।