মার্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টি২০ ম্যাচ দিয়ে জায়ে জাতীয় দলের জার্সি চড়ানো। সুইং বোলিং এর ঝাঁজ দেখিয়েছিলেন প্রথম সুযোগেই। মাস তিনেক পর নতুন ভাবে চেনালেন বিশ্ববাসীর সামনে। ভারতের ব্যাটিং লাইন আপের সামনে রাতারাতি হয়ে গেলেন যমদূতের অন্য নাম। সেই থেকে শুরু বলা চলে।
১৮ জুনে স্মরণীয় ওয়ানডে অভিষেকে নিলেন পাঁচ উইকেট। পরের ম্যাচেও সেই একই ঝলক। এক কাটারেই দিশেহারা ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ। তাঁর হাত ধরেই প্রথমবারের মত ভারতকে ওয়ানডে সিরিজ হারানোর স্বাদ পায় বাংলাদেশ।
একে একে ঘায়েল করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের। বাদ যায়নি খর্বশক্তির জিম্বাবুয়েও। পুরষ্কার এসেছে নিয়মিতই। তবে সবচেয়ে বড় পুরষ্কারটি মুস্তাফিজ পেলেন স্বয়ং বিশ্বক্রিকেটের অভিভাবকের কাছ থেকে।
আইসিসি ঘোষণা করেছে তাঁদের এ বছরের সেরা ওয়ানডে এবং টেস্ট একাদশ। বিশ্বকাপের বছর বলে সেই টুর্নামেন্টের প্রভাব ছিলো বেশি ওয়ানডে একাদশ নির্বাচনের ক্ষেত্রে। তবে মুস্তাফিজকে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য প্রয়োজন পড়ে নি এত বড় মঞ্চের।
ক্যারিয়ারের শুরুতেই এত শত প্রাপ্তি বাংলাদেশের হয়ে এর আগে হয়ত আশরাফুলের ভাগ্যেই জুটেছিলো। সেদিক থেকে চিন্তা করলে মুস্তাফিজ নিশ্চয়ই চাইবেন আশরাফুলকে সামনের দিনগুলোতে ছাড়িয়ে যেতে।
আইসিসি ঘোষিত ওয়ানডে একাদশে মুস্তাফিজ অধিনায়ক হিসেবে পাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সকে, যিনি ব্যাট হাতে পুরো বছরই নির্মম ছিলেন প্রতিপক্ষের বোলারদের উপর। বছরের শুরুতেই গড়েছিলেন দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড। মাতিয়েছেন বিশ্বকাপের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচেও। মাঝে দিয়ে বাংলাদেশ সফরে একদিনের সিরিজে না খেললেও ধারাবাহিকতা রেখেছিলেন ভারতের মাটিতে।
মুস্তাফিজ এবং ডি ভিলিয়ার্স ছাড়াও এই দলে আছেন তিলকরত্নে দিলশান, হাশিল আমলা, কুমার সাঙ্গাকারা, স্টিভেন স্মিথ, রস টেইলর, ট্রেন্ট বোল্ট, মোহাম্মদ শামি, মিচেল স্টার্ক এবং ইমরান তাহির। আর দলে দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে থাকছেন জো রুট।
উল্লেখ্য, ওয়ানডে একাদশে ছিলেন না পাকিস্তান দলের কোনো খেলোয়াড়।