বাংলাদেশের ক্রিকেটে এখন বাহাতি স্পিনারের ছড়াছড়ি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ৬ ফ্রাঞ্চাইজির দিকে তাকালেই খুব সহজে তার প্রমাণ মেলে, সব দলেই অন্তত একজন করে বাংলাদেশি বাহাতি স্পিনার আছেন। আর সবচেয়ে বেশি ৪ বাহাতি স্পিনারের দল রংপুর রাইডার্স।
আর এই বাহাতি স্পিনারদের জোয়ারটা যার অনুপ্রেরণায় শুরু হয়েছিল তিনি মোহাম্মদ রফিক। জাতীয় দলের এই সাবেক ক্রিকেটার এবার আসছেন নতুন ভূমিকায়। বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের সহকারি কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি।
আইকন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ছাড়াও রংপুর দলে আছেন আরো তিন বাহাতি স্পিনার, আরাফাত সানি, সাকলাইন সজিব এবং মুরাদ খান। তাই বোলিং কোচ হিসেবে মোহাম্মদ রফিকের চেয়ে ভাল পছন্দ আর কে ই বা হতে পারতো?
তবে প্রধান কোচ হিসেবে রংপুর পেতে চায় হাই প্রোফাইল বিদেশি কোন কোচকে। রংপুর রাইডার্সের ফ্রাঞ্চাইজি চেয়্যারম্যান মুস্তফা রফিকুল ইসলাম সময় টেলিভিশনকে জানান, ‘হেড কোচ হিসেবে একজন হাই প্রোফাইল কোচ আসছেন। আর সহকারি কোচ হিসেবে পেয়েছি মোহাম্মদ রফিককে। উনি আমাদের দলের বোলিং কোচিং এর দায়িত্ব নেবেন।’
ছবিঃ ২০০৭ বিশ্বকাপে মোহাম্মদ রফিকের সতীর্থ ছিলেন সাকিব আল হাসান
রংপুর রাইডার্সের দায়িত্ব নেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদ রফিক। চলমান জাতীয় লিগের পঞ্চম রাউণ্ডের খেলা শেষে খেলোয়াড়রা রংপুর রাইডার্সের ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার পর কাজ শুরু করবেন তিনি।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ৩৩ টেস্টে ১০০টি ও ১২৫ ওয়ানডেতে ঠিক ১২৫টি উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলা একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১টি উইকেট নিয়েছিলেন রফিক। বোলিংয়ের পাশাপাশি মারমুখী ব্যাটিং এর জন্য সুপরিচিত এই সাবেক ক্রিকেটারের ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ৯ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে একটি টেস্ট সেঞ্চুরিও রয়েছে।