Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Sports Image

ইতিহাস জানে না বাংলাদেশে খেলা কতটা কঠিন



আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মাটিতে পা রাখবে অস্ট্রেলিয়া। আর সেই সিরিজে ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। আর দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার সাথে টেস্টের কথা বলতে গেলে আসলে নয় বছর আগের স্মৃতি আসতে বাধ্য।
কি হয়েছিল নয় বছর আগে? সেবার ফতুল্লাতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা হাবিবুল বাশার সুমনের দল করেছিল ৪২৭। প্রতাপশালী অস্ট্রেলিয়া ছিল সে সময়। ম্যাথু হেইডেন, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, রিকি পন্টিং, শেন ওয়ার্ন, ব্রেট লিদের মত তারকারা তখন অস্ট্রেলিয়া দলে।
তাদের বিপক্ষে রানের পাহাড়ের মর্যাদা তাই অনেক বেশি। মোহাম্মদ রফিক-এনামুল হক জুনিয়রদের স্পিন ও মাশরাফি বিন মুর্তজার পেস তাণ্ডবে সেই প্রতাপশালীরাই অল আউট হয়ে গেল মাত্র ২৬৯ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসটা ভাল গেল না বাংলাদেশের। অল আউট হয়ে গেল মাত্র ১৪৮ রানে। তারপরও অস্ট্রেলিয়ার সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য ৩০৭ রান। রীতিমত নাকানি-চুবানি খেয়ে অস্ট্রেলিয়া জিতলো মাত্র তিন উইকেটে।
ইতিহাস পরাজিতদের মনে রাখে না। মনে রাখে জয়ীদের। মনে রাখে রিকি পন্টিংকে, যিনি ১১৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ বাঁচিয়েছিলেন। মনে রাখে অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে, প্রথম ইনিংসে যিনি ১৪৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন।
কিন্তু, ভুলে যায় মোহাম্মদ রফিককে; যিনি দুই ইনিংস মিলিয়ে নয় উইকেট পেয়ে কাঁপুনি ধরিয়েছিলেন অজিদের বুকে; উড়তে থাকা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের নামিয়ে এনেছিলেন মাটিতে। ১৩৮ রানের ইনিংস খেলা শাহরিয়ার নাফিসকেও ভুলে যায়; ভুলে যায় ফতুল্লার মাটিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সকে।

কিন্তু, বাংলাদেশকে ভোলেননি অ্যাডাম গিলক্রিস্ট; ইতিহাসের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে তিনি বলেন, ‘ইতিহাস কখনওই বোঝাতে পারে না বাংলাদেশে খেলা কঠিন; বোঝাতে পারে না আসলে ম্যাচটা কতটা কঠিন ছিল।’
বাংলাদেশের মাটিতে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা যে বরাবরই ভাল সেটা আবারও মনে করিয়ে দিলেন তিনি। বললেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতেই আমি ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা সেঞ্চুরিটা পেয়েছিলাম। আর এটা সব সময়ই লোকে বলবে। কিন্তু, বাংলাদেশের মাটিতে ওরা যে বরাবরই অন্যরকম সেটা ভুলে গেছে সবাই।’