ক্রিকেট বল
ক্রিকেট খেলাকে ভালবাসি আর ক্রিকেট খেলার বল সম্পর্কে ধারণা নেই এটা কি হয় ? যে খেলা ভালবাসি তার আগাগোড়া সবার জানা উচিত। ভালবাসার মানুষটি যেমন সবার নিকট জানা শোনার যেখানে গোপনীয়তা থাকে না। প্রিয় খেলা কিংবা প্রিয় দলটিও ঠিক একই রকম।
ক্রিকেট বল নিয়ে এবার আসুন একটু কথা বলিঃ
ক্রিকেট বল এর আয়তনের ৩ ভাগের ১ ভাগ আকারের একটি কালো বল থাকে। এর ওপর প্রথমে কিছু সুতা প্যাঁচানো থাকে। তার ওপর নরম কিন্তু নমনীয় প্লাস্টিকের একটা আবরন দেওয়া হয়।এই আবরনের ওপর নরম কাপড়ের একটা আবরনের ওপর আবার ও নমনীয় লাল বা সাদা রঙের প্লাস্টিকের আবরন লাগান হই। এর পর থাকে মুল চামড়ার আবরন যা সুন্দর ভাবে রাউন্ড করে সেলাই করা থাকে ( একে সিম বলে ) ।
ভেতরের কাপড় ও প্লাস্টিক গুলোর নমনীয়তার ওপর বলে গুনগত ম্যান নির্ভর করে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের যেমন kukabura, am, dingdong, adidas, salanzer বল তৈরি করা হয়ে থাকে। এই বলের আন্তর্জাতিক নাম হচ্ছে ক্রিকেট বল। কাঠের বল বলে মুলত কিছু নাই। আমাদের দেশে আর ভারতীয় উপমহাদেশের কিছুদেশেই এই "কাঠের বল" নামটি মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত হয়েছে ভিতরের কালো কাঠের বল টির জন্য।
আমরা কি ক্রিকেট বলেই ওজন কত কিংবা নিদির্ষ্ট যে একটা ওজন আছে সেটা কি জানি ? অবশ্যই ক্রিকেটের নিজস্ব একটা ওজন আছে এবং প্রতিটি বলের একই পরিমান ওজন থাকতে হয়।ক্রিকেট বলের ওজন কত? এমন প্রশ্ন আমার মনে হয় কেউ চিন্তাও করেন না এবং ভাবনার প্রয়োজনও মনে করে। এজন্য আপনাদের নিকট এমন একটি তথ্য শেয়ার করলাম আজ। প্রতিটি ক্রিকেট বলের ওজন ১৫৫.৯ গ্রাম থেকে ১৬৩ গ্রামের মধ্যে হয়ে থাকে।
বলের ওপরের চামড়ার রঙটা বহুদিন ধরে শুধু লাল রঙেরই ছিল। এরপর যখন দিবা-রাত্রি ক্রিকেট ম্যাচ শুরু হল, তখন থেকেই সাদা রঙের বল ব্যবহারের শুরু। রাতের বেলা ফ্লাড লাইটের আলোয় লাল রঙের বল সহজে দেখা যায় না। আর সেজন্যই লালের বদলে অন্য কোনো রঙ খোঁজা হচ্ছিল। এজন্য হলুদ আর কমলা রঙের বল দিয়ে খেলা চালিয়ে শেষ পর্যন্ত সাদাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন মনের ভেতর যদি জাগ্রত হয় তাহলে যে কত প্রশ্ন জেগে থাকে তা বলে বোঝানো যাবে না। এমন প্রশ্ন হতে পারে প্রথম কোনদিন দিবা-রাত্রির ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল? যতদূর জানা যায়, ১৯৭৯ সলের ২৭ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রথম দিবা-রাত্রি ম্যাচ।
আম্পায়াররা অনেক সময়ই খেলা চলতে চলতে বল পরিবর্তন করেন, দেখেছ? কেন করেন? অনেকেই বলবেন কুয়াশায় বল নষ্ট হয়েছে কিংবা অমসৃণ হয়েছে কিংবা বল নরম হয়ে গেছে বড় জোর বল ফেটে গেছে। আসলে বলের সাইজ নষ্ট হয়ে যায় বলে বল পরিবর্তন করা হয়। একটি কথা না বললেই নয় ক্রিকেটের বল কিন্তু পুরোপুরি গোল নয়! এর একদিকের পরিধি ২২৪ মিঃমিঃ আর আরেক দিকের ২২৯ মিঃমিঃ! আশ্চর্যজনক না ব্যাপারটা সত্য। বলের সাইজের পাশাপাশি আরেকটা ব্যাপার জানা প্রয়োজন সবার। সবদেশে কিন্তু এক টাইপের বল দিয়ে খেলা হয় না। সব একদিনের ম্যাচ হয় অবশ্য কুকাবুরা বল দিয়ে। কিন্তু এই উপমহাদেশে যখন টেস্ট ম্যাচ হয়, তখন খেলা হয় এসজি ক্রিকেট বল দিয়ে। ইংল্যান্ডে টেস্ট ম্যাচ হয় ডিউক ক্রিকেট বল দিয়ে। আবার অস্ট্রেলিয়া, দ.আফ্রিকা কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট ম্যাচ হলে তখন আবার চলে আসে কুকাবুরা বল।
এসজি কিংবা ডিউক বল পেস বোলারদের বেশ উপকার করে। কারণ কুকাবুরা বলের তুলনায় এই বলের সিম (বলের উপরের সুতা) বেশ ভালো হয়। যা কিনা বাতাসে সুইং কিংবা পিচে পড়ে আরও ভালো সুইং করতে পারে। আর বল যত পুরনো হতে থাকে, দেখা যায় ফিল্ডাররা খুব ভালো করে শুধু একদিকেই ঘষতে থাকে। এতে করে বলের একদিক পুরনো হয়, অন্যদিক চকচক করতে থাকে। আর তাতেই ফাস্ট বোলাররা রিভার্স সুইং করতে পারে।
এবার বল নিয়ে অবাক করা একটি গল্প বলতে হয়। ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে শ্রীলঙ্কায় একটা ক্রিকেট বল তৈরি করা হয়। বলটা ছিল হীরার তৈরি! ওজন ৫৩.৮৩ ক্যারেট আর পুরো ১২৫ গ্রাম দিয়ে স্বর্ণের বলের সিম বানানো হয়েছিল। প্রিয় খেলাটা নিয়ে কত মানুষের কত ভাবনা।
ক্রিকেট বল নিয়ে অনেক কথাই বলা হলো এবার ক্রিকেট যেখানে খেলা হয় মানে ক্রিকেট মাঠের কিছু নিয়মকানুন আছে সেটাও জানার প্রয়োজন। আসুন জেনে নেই ক্রিকেট খেলার মাঠ সম্পর্কেঃ
ক্রিকেট মাঠ একটি বিশাল বিশাল বৃত্তাকার অথবা ডিম্বাকার ঘাসবহুল জমিনের উপর নির্মিত হয়। যদিও মাঠের আকারের বেলায় সুনির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই তবে এটির ব্যাস সাধারণত ৪৫০ ফুট(১৩৭ মি) থেকে ৫০০ ফুট (১৫০ মি) এর মধ্যে হয়ে থাকে। অধিকাংশ মাঠেই দড়ি দিয়ে মাঠের পরিসীমা ঘেরা দেয়া থাকে যা সীমানা নামে পরিচিত।
ক্রিকেট মাঠের পর এবার মাঠের পিচ ষ্ট্যাম্প নিয়ে কিছু কথা। ক্রিকেট খেলার বেশিরভাগ ঘটনা ঘটে থাকে মাঠের মাঝে যা সাধারণত ছোট করে ছাটা ঘাস অথবা ঘাসবিহীন চতুর্ভুজাকৃতির অংশ। এটিকে পিচ বলা হয়। পিচের পরিমাপ হচ্ছে ১০ × ৬৬ ফুট (৩.০৫ × ২০.১২ মি)।
পিচের দুইপ্রান্তে তিনটি করে খাড়া কাঠের দন্ড মাটিতে গাঁথা থাকে, যা স্টাম্প নামে পরিচিত। স্টাম্পের উপরে দুটি কাঠের টুকরা থাকে যা বেইল নামে পরিচিত।, তিনটি স্ট্যাম্পের উপর দুটি বেইল স্ট্যাম্পগুলোকে সংযুক্ত করে।
একটি উইকেট তিনটি মাটিতে পোতা স্ট্যাম্পের সমন্বয়ে গঠিত। স্ট্যাম্পের উপরে দুইটি বেইল থাকে
ক্রিকেটে স্ট্যাম্পে লেগে আউট হওয়ার ক্ষেত্রে যেকোন একটি বেইল ফেলা বাধ্যতামূলক। তিনটি স্ট্যাম্প ও দুটি বেইলের সমষ্টিগত সেট নামে উইকেট নামে পরিচিত। পিচের একপ্রান্তের নাম ব্যাটিং প্রান্ত, যে প্রান্তে ব্যাটসম্যান দাঁড়ায় এবং অপর প্রান্তের নাম বোলিং প্রান্ত যেখান থেকে বোলার দৌড়ে এসে বল করে। দুটি উইকেটের সংযোগকারী রেখার মাধ্যমে মাঠটি দুটি অংশে বিভক্ত হয়; তার মধ্যে যেদিকে ব্যাটসম্যান ব্যাট ধরেন সেদিকটিকে অফ সাইড এবং যে দিকে ব্যাটসম্যানের পা থাকে সেদিকটিকে বলে অন সাইড। অন্য ভাবে বলা যায় ডান-হাতি ব্যাটসম্যানের ডান দিক এবং বাম-হাতি ব্যাটসম্যানের বাম দিক হচ্ছে অফ সাইড এবং অন্যটি অন সাইড বা লেগ সাইড। পিচে যে রেখা আঁকা থাকে তাকে বলে ক্রিজ। ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন কিনা তা যাচাই করার জন্য ক্রিজ ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বোলার বৈধ বল করেছেন কি না তা যাচাইয়ের জন্যও ক্রিজ ব্যবহৃত হয়।
ক্রিকেট খেলাকে ভালবাসি আর ক্রিকেট খেলার বল সম্পর্কে ধারণা নেই এটা কি হয় ? যে খেলা ভালবাসি তার আগাগোড়া সবার জানা উচিত। ভালবাসার মানুষটি যেমন সবার নিকট জানা শোনার যেখানে গোপনীয়তা থাকে না। প্রিয় খেলা কিংবা প্রিয় দলটিও ঠিক একই রকম।
ক্রিকেট বল নিয়ে এবার আসুন একটু কথা বলিঃ
ক্রিকেট বল এর আয়তনের ৩ ভাগের ১ ভাগ আকারের একটি কালো বল থাকে। এর ওপর প্রথমে কিছু সুতা প্যাঁচানো থাকে। তার ওপর নরম কিন্তু নমনীয় প্লাস্টিকের একটা আবরন দেওয়া হয়।এই আবরনের ওপর নরম কাপড়ের একটা আবরনের ওপর আবার ও নমনীয় লাল বা সাদা রঙের প্লাস্টিকের আবরন লাগান হই। এর পর থাকে মুল চামড়ার আবরন যা সুন্দর ভাবে রাউন্ড করে সেলাই করা থাকে ( একে সিম বলে ) ।
ভেতরের কাপড় ও প্লাস্টিক গুলোর নমনীয়তার ওপর বলে গুনগত ম্যান নির্ভর করে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের যেমন kukabura, am, dingdong, adidas, salanzer বল তৈরি করা হয়ে থাকে। এই বলের আন্তর্জাতিক নাম হচ্ছে ক্রিকেট বল। কাঠের বল বলে মুলত কিছু নাই। আমাদের দেশে আর ভারতীয় উপমহাদেশের কিছুদেশেই এই "কাঠের বল" নামটি মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত হয়েছে ভিতরের কালো কাঠের বল টির জন্য।
আমরা কি ক্রিকেট বলেই ওজন কত কিংবা নিদির্ষ্ট যে একটা ওজন আছে সেটা কি জানি ? অবশ্যই ক্রিকেটের নিজস্ব একটা ওজন আছে এবং প্রতিটি বলের একই পরিমান ওজন থাকতে হয়।ক্রিকেট বলের ওজন কত? এমন প্রশ্ন আমার মনে হয় কেউ চিন্তাও করেন না এবং ভাবনার প্রয়োজনও মনে করে। এজন্য আপনাদের নিকট এমন একটি তথ্য শেয়ার করলাম আজ। প্রতিটি ক্রিকেট বলের ওজন ১৫৫.৯ গ্রাম থেকে ১৬৩ গ্রামের মধ্যে হয়ে থাকে।
বলের ওপরের চামড়ার রঙটা বহুদিন ধরে শুধু লাল রঙেরই ছিল। এরপর যখন দিবা-রাত্রি ক্রিকেট ম্যাচ শুরু হল, তখন থেকেই সাদা রঙের বল ব্যবহারের শুরু। রাতের বেলা ফ্লাড লাইটের আলোয় লাল রঙের বল সহজে দেখা যায় না। আর সেজন্যই লালের বদলে অন্য কোনো রঙ খোঁজা হচ্ছিল। এজন্য হলুদ আর কমলা রঙের বল দিয়ে খেলা চালিয়ে শেষ পর্যন্ত সাদাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন মনের ভেতর যদি জাগ্রত হয় তাহলে যে কত প্রশ্ন জেগে থাকে তা বলে বোঝানো যাবে না। এমন প্রশ্ন হতে পারে প্রথম কোনদিন দিবা-রাত্রির ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল? যতদূর জানা যায়, ১৯৭৯ সলের ২৭ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রথম দিবা-রাত্রি ম্যাচ।
আম্পায়াররা অনেক সময়ই খেলা চলতে চলতে বল পরিবর্তন করেন, দেখেছ? কেন করেন? অনেকেই বলবেন কুয়াশায় বল নষ্ট হয়েছে কিংবা অমসৃণ হয়েছে কিংবা বল নরম হয়ে গেছে বড় জোর বল ফেটে গেছে। আসলে বলের সাইজ নষ্ট হয়ে যায় বলে বল পরিবর্তন করা হয়। একটি কথা না বললেই নয় ক্রিকেটের বল কিন্তু পুরোপুরি গোল নয়! এর একদিকের পরিধি ২২৪ মিঃমিঃ আর আরেক দিকের ২২৯ মিঃমিঃ! আশ্চর্যজনক না ব্যাপারটা সত্য। বলের সাইজের পাশাপাশি আরেকটা ব্যাপার জানা প্রয়োজন সবার। সবদেশে কিন্তু এক টাইপের বল দিয়ে খেলা হয় না। সব একদিনের ম্যাচ হয় অবশ্য কুকাবুরা বল দিয়ে। কিন্তু এই উপমহাদেশে যখন টেস্ট ম্যাচ হয়, তখন খেলা হয় এসজি ক্রিকেট বল দিয়ে। ইংল্যান্ডে টেস্ট ম্যাচ হয় ডিউক ক্রিকেট বল দিয়ে। আবার অস্ট্রেলিয়া, দ.আফ্রিকা কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট ম্যাচ হলে তখন আবার চলে আসে কুকাবুরা বল।
এসজি কিংবা ডিউক বল পেস বোলারদের বেশ উপকার করে। কারণ কুকাবুরা বলের তুলনায় এই বলের সিম (বলের উপরের সুতা) বেশ ভালো হয়। যা কিনা বাতাসে সুইং কিংবা পিচে পড়ে আরও ভালো সুইং করতে পারে। আর বল যত পুরনো হতে থাকে, দেখা যায় ফিল্ডাররা খুব ভালো করে শুধু একদিকেই ঘষতে থাকে। এতে করে বলের একদিক পুরনো হয়, অন্যদিক চকচক করতে থাকে। আর তাতেই ফাস্ট বোলাররা রিভার্স সুইং করতে পারে।
এবার বল নিয়ে অবাক করা একটি গল্প বলতে হয়। ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে শ্রীলঙ্কায় একটা ক্রিকেট বল তৈরি করা হয়। বলটা ছিল হীরার তৈরি! ওজন ৫৩.৮৩ ক্যারেট আর পুরো ১২৫ গ্রাম দিয়ে স্বর্ণের বলের সিম বানানো হয়েছিল। প্রিয় খেলাটা নিয়ে কত মানুষের কত ভাবনা।
ক্রিকেট বল নিয়ে অনেক কথাই বলা হলো এবার ক্রিকেট যেখানে খেলা হয় মানে ক্রিকেট মাঠের কিছু নিয়মকানুন আছে সেটাও জানার প্রয়োজন। আসুন জেনে নেই ক্রিকেট খেলার মাঠ সম্পর্কেঃ
ক্রিকেট মাঠ একটি বিশাল বিশাল বৃত্তাকার অথবা ডিম্বাকার ঘাসবহুল জমিনের উপর নির্মিত হয়। যদিও মাঠের আকারের বেলায় সুনির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই তবে এটির ব্যাস সাধারণত ৪৫০ ফুট(১৩৭ মি) থেকে ৫০০ ফুট (১৫০ মি) এর মধ্যে হয়ে থাকে। অধিকাংশ মাঠেই দড়ি দিয়ে মাঠের পরিসীমা ঘেরা দেয়া থাকে যা সীমানা নামে পরিচিত।
ক্রিকেট মাঠের পর এবার মাঠের পিচ ষ্ট্যাম্প নিয়ে কিছু কথা। ক্রিকেট খেলার বেশিরভাগ ঘটনা ঘটে থাকে মাঠের মাঝে যা সাধারণত ছোট করে ছাটা ঘাস অথবা ঘাসবিহীন চতুর্ভুজাকৃতির অংশ। এটিকে পিচ বলা হয়। পিচের পরিমাপ হচ্ছে ১০ × ৬৬ ফুট (৩.০৫ × ২০.১২ মি)।
পিচের দুইপ্রান্তে তিনটি করে খাড়া কাঠের দন্ড মাটিতে গাঁথা থাকে, যা স্টাম্প নামে পরিচিত। স্টাম্পের উপরে দুটি কাঠের টুকরা থাকে যা বেইল নামে পরিচিত।, তিনটি স্ট্যাম্পের উপর দুটি বেইল স্ট্যাম্পগুলোকে সংযুক্ত করে।
একটি উইকেট তিনটি মাটিতে পোতা স্ট্যাম্পের সমন্বয়ে গঠিত। স্ট্যাম্পের উপরে দুইটি বেইল থাকে
ক্রিকেটে স্ট্যাম্পে লেগে আউট হওয়ার ক্ষেত্রে যেকোন একটি বেইল ফেলা বাধ্যতামূলক। তিনটি স্ট্যাম্প ও দুটি বেইলের সমষ্টিগত সেট নামে উইকেট নামে পরিচিত। পিচের একপ্রান্তের নাম ব্যাটিং প্রান্ত, যে প্রান্তে ব্যাটসম্যান দাঁড়ায় এবং অপর প্রান্তের নাম বোলিং প্রান্ত যেখান থেকে বোলার দৌড়ে এসে বল করে। দুটি উইকেটের সংযোগকারী রেখার মাধ্যমে মাঠটি দুটি অংশে বিভক্ত হয়; তার মধ্যে যেদিকে ব্যাটসম্যান ব্যাট ধরেন সেদিকটিকে অফ সাইড এবং যে দিকে ব্যাটসম্যানের পা থাকে সেদিকটিকে বলে অন সাইড। অন্য ভাবে বলা যায় ডান-হাতি ব্যাটসম্যানের ডান দিক এবং বাম-হাতি ব্যাটসম্যানের বাম দিক হচ্ছে অফ সাইড এবং অন্যটি অন সাইড বা লেগ সাইড। পিচে যে রেখা আঁকা থাকে তাকে বলে ক্রিজ। ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন কিনা তা যাচাই করার জন্য ক্রিজ ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বোলার বৈধ বল করেছেন কি না তা যাচাইয়ের জন্যও ক্রিজ ব্যবহৃত হয়।