একসময় বাংলার ক্রিকেটের প্রাণ ভোমরা ছিল অলক কাপালি। এমনকি ২০০৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপে সে ছিল বাংলাদেশ দলের অন্যতম সদস্য।অলক কাপালির জন্মস্থান হলো সিলেট। তিনি ডানহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এবং ডানহাতি লেগ ব্রেক বোলার। বাংলাদেশী ক্রিকেট খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনিই প্রথম টেস্ট ক্রিকেটে হ্যাট্রিক লাভ করেছিলেন।
২৯ আগস্ট, ২০০৩ তারিখে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ টেস্ট সিরিজের ২য় টেস্টে তিনি হ্যাট্রিক লাভ করেন। পেশোয়ারের আরবাব নিয়াজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ খেলায় সাব্বির আহমেদ, দানিশ কানেরিয়া ও উমর গুল তার শিকারে পরিণত হন। পরবর্তীতে ১৩ অক্টোবর, ২০১৩ সোহাগ গাজী টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে দ্বিতীয় হ্যাট্রিক ও সেঞ্চুরি করেন।
অন্যদিকে বাংলাদেশের হয়ে ১৭ টেষ্ট খেলা অলক কাপালির তার সব ম্যাচেই হারের সাধ গ্রহন করতে হয়েছে। তবে টেষ্ট থেকে ওয়ানডেতে কিছুটা সফল হয়েছেন অলক কাপালি। তিনি ৬৯ টি ম্যাচ খেলে ১৯.৬০ গড়ে করেছেন ১২৩৫ রান। তিনি বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন প্রথম দ্রুত সেঞ্চুরিয়ান। ৮৬ বলে ১০০ রান করেছিলেন অলক কাপালি। তার দুই বছর পর অবশ্য সাকিব তার রেকর্ড ভাঙ্গেন। তার ক্যারিয়ারে ২০০৮ সালটি ছিল কালো অধ্যায়। সেই বছরই তিনি ভারতের বিতর্কিত লিগ আইসিএলে যোগ দেন।
আইসিলে সে ঢাকা ওয়ারিয়ার্স হয়ে খেলেন। সেই বিতর্কিত লিগের তিনিই ছিলেন প্রথম সেঞ্চুরিয়ান। তিনি হায়দ্রাবাদ হিরোসের বিপক্ষে ৬০ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেছিলেন। সেই সিজনে সে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। তিনি ৮ ম্যাচ খেলে করেছিলেন ৩২৪ রান । তারপর সেখান থেকে আসার পরই আর তাকে খুজে পাওয়া যায় নি। যদিও ঘরোয়া ক্রিকেট ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ৬ দল নিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। বিসিবি প্রতীকি খেলোয়াড় হিসেবে তাকে সিলেট রয়্যালস দলে নির্বাচিত করে। ঐ প্রতিযোগিতার ৯ খেলায় তিনি সর্বমোট ১২৪ রান করেছিলেন। আজকে হারিয়ে যেতে বসেছে তার ক্যারিয়ার। বিসিএলে ভাল করার পরঁও তাকে দলে ডাকা হয়নি ।
দেখা যাক তার ক্যারিয়ারঃ
নামঃ অলোক কাপালি
জন্মঃ ১/১/১৯৮৪, সিলেট।
পজিশন : অলরাউন্ডার
ক্যারিয়ার
টেষ্ট
ব্যাটিং
ম্যাচ-১৭
ইনিংস-৩৪
রান-৫৮৪
সর্বোচ্চ রান-৮৫
গড়-১৭.৬৯
স্ট্রাইক রেট-৮৪.৬২
বোলিং
ম্যাচ-১৭
ইনিংস-১৯
উইকেট-৬
ইকোনমি-৩.৮৫
বেষ্ট-৩/৩
ওয়ানডে
ব্যাটিং
ম্যাচ-৬৯
ইনিংস-৬৬
রান-১২৩৫
সর্বোচ্চ স্কোর-১১৫
গড়-১৯.৬০
স্ট্রাইক রেট-৬৭.৯৬
বোলিং
ম্যাচ-৬৯
ইনিংস-৪৯
উইকেট-২৪
ইকোনমি-৫.১৮
বেষ্ট- ৩/৪৯
টি-২০
ব্যাটিং
ম্যাচ-৭
ইনিংস-৭
রান-৫৭
সর্বোচ্চ স্কোর-১৯
গড়-১১.৪০
স্ট্রাইক রেট-৬৭.০৫
বোলিং
ম্যাচ-৭
ইনিংস-২
উইকেট-২
ইকোনমি-৭.০০
বেষ্ট- ২/১২