এই ফলাফলটাই ছিল সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশিত! আর হলও সেটাই; আবারও ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার গড়লেন নতুন ইতিহাস, মুশফিকুর রহিম আবারও ধারাবাহিক; আর বল হাতে বোলারদের সম্মীলিত পারফরম্যান্স তো আছেই। সব মিলিয়ে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম সাক্ষী হয়ে থাকলো আরেকটি ইতিহাসের।
৬৩ বল বাকি থাকতে পাকিস্তানের বিপক্ষে আট উইকেটে জিতে গেল বাংলাদেশ। ব্যাস, হয়ে গেলো হোয়াইটওয়াশ। এই নিয়ে দশমবারের মত কোন দলকে কোন ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ।
২৫১ রানের লক্ষ্যে তামিম করেছেন ৬৪ রান। তবে, এবার সবচেয়ে বড় ঝড়টা তুললেন সৌম্য সরকার। ১১০ বলে ১২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন ২২ বছর বয়সী এই তরুণ। আর মুশফিক করেন অপরাজিত ৪৯ রান।
তবে, পাকিস্তানের শুরুটা যে অনেক ভালো হয়েছিলো, তাতে সন্দেহ নেই। দ্বিতীয় ওয়ানডের মত আবারও টসে জয়, উদ্বোধনী জুটিতে ৯১ রান। ১৬তম ওভারের শেষ বলে সামি আসলামকে ফিরিয়ে দিয়ে প্রথম ব্রেক থ্রুটা আনেন নাসির। এ র পরের ওভারে দ্বিতীয় আঘাত হানেন আরাফাত সানি; বোল্ড হয়ে সাজ ঘরে ফিরে যান মোহাম্মদ হাফিজ।
তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক আজহার আলির সঙ্গে ৯৮ রানের বড় জুটি গড়েন হারিস সোহেল। এই জুটিতেই ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক তুলে নেন অধিনায়ক। ২০১০ সালের পর প্রথমবারের মত ওয়ানডেতে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন কোন পাকিস্তানি অধিনায়ক। আর ওয়ানডেতে কোন পাকিস্তানি অধিনায়কের এটা দশম সেঞ্চুরি।
৩৮ তম ওভারের চতুর্থ বলে আজহার আলীর বিদায় থেকেই শুরু হয় পাকিস্তানের যাওয়া-আসার খেলা। মাত্র ৪৮ রান তুলতেই বাকি আট উইকেট হারায় সফরকারীরা। আজহার আলি ১০১ রানে আউট হন সাকিব আল হাসানের বলে। ৪৯তম ওভারে জুনায়েদ খানকে ফিরিয়ে শেষ আঘাতটি হানেন আরাফাত সানি। শেষপর্যন্ত ২৫০ রানেই থামে পাকিস্তানের ইনিংস।
প্রথম দুই ম্যাচে পেসারদের প্রভাব থাকলেও, সে ম্যাচে বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন স্পিনাররা। স্পিন থেকে এসেছে পাঁচ উইকেট। বাংলাদেশ দলের হয়ে সাকিব আল হাসান, রুবেল হোসেন, আরাফাত সানি ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা প্রত্যেকে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন।
সব মিলিয়ে পাকিস্তান এক ওভার আগে অল আউট হওয়ার আগে করে ২৫০ রান। আর আবারও পাকিস্তানের এই রানকে অনায়াসে টেক্কা দেয় বাংলাদেশ। গড়ে ওঠে ইতিহাস!