মাত্র ১৮ বছর বয়স। অথচ সেমিফাইনালে সেরেনা উইলিয়ামসকে হারিয়ে বিস্ময়ের জন্ম দেন বেলিন্ডা বেনচিচ। শুধু তাই নয়, তরুণ প্রতিভাবান এই সুইস টেনিস তারকা যে টেনিস বিশ্বে নিজেকে মেলে ধরার জন্যই আসছেন। তার প্রমাণ দিলেন রজার্স কাপের ফাইনাল জিতেও।
রোববার ফাইনালে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় বাছাই সিমোনা হ্যালেপকেও পরাজয়ের স্বাদ উপহার দেন বেলিন্ডা বেনচিচ। সেইসঙ্গে রজার্স কাপের শিরোপাও নিজের করে নেন সুইজারল্যান্ডের এই তারকা।
রোমানিয়ার সিমোনার বিপক্ষে ৭-৬ গেমে প্রথম সেট জিতেন বেনচিচ। কিন্তু দ্বিতীয় সেটে ঘুরে দাড়ান হ্যালেপ। ৭-৬ গেমে বেনচিচকে পরাজিত করেন। তৃতীয় সেটে আবারও ঘুরে দাড়ানন সুইস তারকা। ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকার সময়ই ম্যাচ থেকে অবসর নেন হ্যালেপ। এর ফলে শিরোপা জিতেই কোর্ট ছাড়েন পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই চমক উপহার দেয়া এই সুইস কণ্যা।
শিরোপা জিতে রোমাঞ্চিত বেলিন্ডা বেনচিচ। অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে আমি আসলেই খুব উপভোগ করেছি। যদি ফাইনালেও হেরে যেতাম তাহলেও এটা হতো আমার জন্য বিস্ময়কর এক অভিজ্ঞতা।’
কানাডার টরেন্টোর এই রজার্স কাপে টেনিসের সব বড় বড় তারকারাই পারফর্ম করেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আর টেনিস বিশ্বের সেরা ছয় খেলোয়াড়কে পরাজিত করেই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন বেনচিচ। এই ইভেন্টে তিনি সিমোনা হ্যালেপ এবং সেরেনা উইলিয়ামসকে ছাড়াও হারিয়েছেন সাবেক নাম্বার ওয়ান তারকা ড্যানিশ কণ্যা ক্যারোলিন ওজনিয়াকি এবং সার্বিয়ার আনা ইভানোভিচের মতো খেলোয়াড়দের।
সেইসঙ্গে নতুন একটি মাইলফলকও স্পর্শ করলেন তিনি। তার পরামর্শদাতা মার্টিনা হিঙ্গিস যে অর্জন করেছিলেন তাই করলেন বেনচিচ। ১৯৯৯ সালে এই ১৮ বছর বয়সেই রজার্স কাপের শিরোপা জিতে টেনিস বিশ্বকে চমকে দিয়েছিলেন মার্টিনা হিঙ্গিস। এবার সেই কাজটা করে দেখালেন বেলিন্ডা বেনচিচ।
আগস্টের শেষ সপ্তাহেই শুরু হবে মৌসুমের শেষ গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট ইউএস ওপেন। তারই প্রস্তুতি-মঞ্চ এই রজার্স কাপ। আর রজার্স কাপের শিরোপা জেতায় স্বাভাবিকভাবেই ফেবারিট হিসেবে কোর্টে নামবেন ইউএস ওপেনে।
আর সেরেনা-হ্যালেপদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ পরাজয়ের এই হতাশা থেকে বেরিয়ে আসা। তবে ইউএস ওপেনের আগেই তারা আবার নিজেদেরকে স্বরুপে ফেরানোর সুযোগ পাচ্ছেন। সিনসিনাতি মাস্টার্সে যে খেলবেন তারা।