চমকে ওঠার মতই কথা! গত জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে শুরু করে বিশ্বকাপ হয়ে দেশের মাটিতে ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফর মিলিয়ে বাংলাদেশ দলকে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া প্রধান কোচ চন্দিকা হাতুরুসিংহে কেন ছাড়বেন বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব?
হঠাৎ করেই এমন শঙ্কা জাগার কারণ দুইটি। এক, বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন সাবেক ব্যাটসম্যান মারভান আতাপাত্তু। দুই, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইট ও ভারতীয় প্রভাবশালী দৈনিক ‘দ্যা হিন্দু’সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী পরবর্তী কোচ হিসেবে সম্ভাব্য তালিকায় সবার উপরেই আছে বর্তমানে বাংলাদেশ দলের কোচ চন্দিকা হাতুরুসিংহের নাম!
হাতুরুসিংহে ছাড়াও এই তালিকায় নাম আছে সাবেক শ্রীলঙ্কান কোচ গ্রায়েম ফোর্ড এর। শ্রীলঙ্কা যে নতুন প্রধান কোচ হিসেবে হাতুরুসিংহেকে পেতে মরিয়া থাকবে এর জন্য বাংলাদেশ দলের হয়ে তার বর্তমান সাফল্য অন্যতম কারণ হলেও সেটিই একমাত্র কারণ নয়। এর আগে একবার শ্রীলঙ্কার সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করা ও শৃংখলাজনিত কারণে বরখাস্ত হওয়া হাতুরুসিংহেকে ফেরাতে ২০১০ সালে তৎকালীন বোর্ড প্রধানকে চিঠি দিয়েছিলেন সদ্য অবসর নেওয়া শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান ও তৎকালীন অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা। সাঙ্গাকারা লিখেছিলেন, ‘জাতীয় দলের জন্য আমরা যেমন দূরদর্শী ও অগ্রসর ধ্যান-ধারণার কোচ খুঁজছি, হাতুরু হচ্ছে ঠিক তেমনই একজন!’
২০১৪ সালের মে মাসে হাতুরু যখন বাংলাদেশ দলের কোচ নিযুক্ত হন, তার কিছুদিন আগেও শ্রীলঙ্কার কোচ হবার দৌড়ে সদ্য পদত্যাগী কোচ আতাপাত্তুর সাথে আলোচনায় ছিলেন হাতুরুও। সেসময় অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস এর সহকারী কোচের দায়িত্বে থাকা এই শ্রীলঙ্কান বলেছিলেন, ‘এখানে(অস্ট্রেলিয়ায়) আমি আমার কাজ খুবই উপভোগ করছি। কিন্তু খেলোয়াড়রা যেমন নিজের দেশের হয়ে খেলার জন্য মুখিয়ে থাকেন, কোচেরাও তেমনি নিজের দেশের হয়ে কাজ করতে ভালবাসেন। শ্রীলঙ্কা দলের সাথে কাজ করা এমন একটা ব্যাপার যেটিকে আমি কখনোই বলবো না যে কখনোই নয়!’
সেই হাতুরুসিংহে এখন কি পারবেন নিজের দেশের ডাক উপেক্ষা করে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে থেকে যেতে? এই মুহূর্তে ছুটিতে বাংলাদেশে না থাকায় এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে হাতুরুর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবির কোন কর্মকর্তাও এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে মুখ খোলেননি।