১০) গ্যারি কারস্টেন (দক্ষিন আফ্রিকা) ১৯৬৭-জীবিত
দক্ষিন আফ্রিকার সাবেক ওপেনার এবং ভারতের কোচ গ্যারি কারস্টেন ২০০৩ সালে পাকিস্তানের সাথে টেস্ট ম্যাচে পেসার শোয়েব আক্তারের বলে মারাত্মকভাবে আহত হন। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেসের ওই বাউন্সারটি ব্যাটে লাগাতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হন গ্যারি। ফলশ্রুতিতে বলটি আঘাত করে তার বাম চোখের ঠিক নিচে। ১০ টি সেলাই এবং ভাঙা নাক ভোগায় তাকে অনেক দিন। পরবর্তীতে সফল চিকিৎসার দরুন সুস্থ হন তিনি।
৯) মার্ক বাউচার (দক্ষিন আফ্রিকা) ১৯৭৯-জীবিত
ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সফল এই উইকেটরক্ষক সামারসেটের সাথে প্র্যাকটিস ম্যাচে জখম হন। ম্যাচে ইমরান তাহিরের একটি গুগলি উইকেটে আঘাতের পর বেল উড়ে এসে বাউচারের বাম চোখে লাগে। রক্তাত্ত চোখ নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। পরবর্তীতে এই ইঞ্জুরির কারণে ডাক্তার তাকে খেলার অনুপযুক্ত বলে ঘোষণা দেন এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি।
৮) মাইক গ্যাটিং (ইংল্যান্ড) ১৯৫৭-জীবিত
১৯৮৬ সালে জ্যামাইকাতে অনুষ্ঠিত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ানডেতে পেসার ম্যালকম মার্শালের ১টি বাউন্সার আঘাত করে তার নাকে। বলটির ধাক্কা এতো জোরে ছিল যে তা আঘাতের পর বোলারের কাছে ফেরত আসে এবং গ্যাটিং হন রক্তাত্ত।
৭) আহমেদ শেজাদ (পাকিস্তান) ১৯৯১-জীবিত
ফিলিপ হিউজেসের ঘটনার ২ সপ্তাহ আগে নিউজিলেন্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে কোরি এন্ডারসনের বাউন্সারে মাথায় আঘাত পান তিনি। ফলশ্রুতিতে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। পরবর্তীতে ওই ম্যাচে তার ক্যারিয়ার সেরা ১৭৬ রানে হিট উইকেটে আউট হন তিনি।
৬) রিলে রসসু (দক্ষিন আফ্রিকা) ১৯৮৯-জীবিত
সম্প্রতি দক্ষিন আফ্রিকার হয়ে ডেব্যু ম্যাচ খেলার আগেই ২০১২ তে শ্রিলঙ্কান প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে লাসিথ মালিঙ্গার বাজে বাউন্সারে রক্তাত্ত নাক নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। আঘাতের পর পরই হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন তিনি।
৫) মার্ক ভারমিউলেন (জিম্বাবুয়ে) ১৯৭৯-জীবিত
অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত ভিবি সিরিজে ভারতের সাথে ম্যাচে ইরফান পাঠানের বলে মাথায় আঘাত পান তিনি। এছাড়াও ক্যারিয়ারে আরেকবার আঘাত পান তিনি।
৪) আব্দুল আজিজ (পাকিস্তান) ১৯৪১-১৯৫৯
ফিলিপ হিউজেসের আগে তিনিই একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি বাউন্সারের আঘাতে ক্রিকেট পিচে মারা যান। ১৯৫৯ সালে করাচীতে ব্যাটিং এর সময় বুকে বল এসে লাগে তার। সাথে সাথে মাঠে লুটিয়ে পরেন তিনি। ১৭ বছর বয়সী আব্দুল আজিজ আগে থেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। তাই বলের আঘাতে তখনই মৃত্যু হয় তার।
৩) নারি কনট্রাকটর (ভারত) ১৯৩৪-জীবিত
১৯৬১-১৯৬২ সালে বার্বাডোসে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলার চার্লি গ্রিফিথের বলে মাথায় আঘাত পান ভারতের তৎকালীন অধিনায়ক নারি। এই আঘাতের ফলে তার মস্তিষ্কের অপারেশন করানো হয় এবং তিনি ৬ দিন অবচেতন থাকেন। এরপর তাকে আর কখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা যায়নি। তিনি এখন সুস্থ রয়েছেন।
২) রামান লাম্বা (ভারত) ১৯৬০-১৯৯৮
১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ লীগের ম্যাচে শর্ট লেগে ফিল্ডিঙের সময় মাথায় আঘাত পান তিনি। তখন ব্যাপারটা তত মারাত্মক মনে না হলেও পরবর্তীতে তা মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। তিনি ভারতের হয়ে ৪ টি টেস্ট এবং ৩২ টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন।
১) ফিলিপ হিউজেস (অস্ট্রেলিয়া) ১৯৮৮-২০১৪
সাউথ অস্ট্রেলিয়া এবং নিউ সাউথ ওয়েলসের ম্যাচে শিন এবটের বলে মাথার পিছন দিকে আঘাত পান ২৫ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলিয় ওপেনার। সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে চেতনা হারান তিনি। এরপর আর চেতনা ফিরে পাননি তিনি। তিনদিন পর সিডনীর সেন্ট ভিন্সেন্ট হাসপাতালে সার্জারির পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় পুরা ক্রিকেট বিশ্ব শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে।