নিমিষেই দুর করে ফেলুন শারীরিক দুর্বলতা
Lifestyle
লাইফস্টাইল হচ্ছে মূলত বেঁচে থাকার উপায়। এর মাধ্যমে একটি আদর্শ পন্থা নির্ণীত হয় যা একজন ব্যক্তি, গ্রুপ বা সংস্কৃতি কিভাবে চলবে তা বের করা যায়। ইংরেজী Lifestyle শব্দটি অস্ট্রিয়ান মনোবিজ্ঞানী আলফ্রেড এ্যাডলার (১৮৭০-১৯৩৭) সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন। শব্দটি প্রথমে আধুনিকতাবাদী শিল্প শৈলী হিসেবে ব্যবহৃত হত যা দ্বারা বাস্তব বিষয়ের সংমিশ্রণ বোঝান হয়। এটি দ্বারা মানুষের ব্যক্তিগত মান, পছন্দ, এবং বহিবারণ প্রকাশ পায় বা মানুষ মানসিকভাবে কতটা রুচিশীল তা বোঝা যায়।
গ্রামের পরিবেশ থেকে শহরের পরিবেশ অবশ্যই আলাদা। জীবনযাত্রার মান, পদ্ধতি ইত্যাদিতে গ্রাম ও শহরের মধ্যে রয়েছে আকাশ পাতাল পার্থক্য। নির্দিষ্ট জায়গার জীবনযাত্রার পদ্ধতির সাথে মানুষের জীবনও প্রভাবিত হয়। আশেপাশের পরিবেশের সাথে নিজেকে মিলিয়েই মানুষ জীবন ধারণ করতে পারে। এবার এই জীবনযাত্রা ভৌগলিক কারণেও ভিন্ন হতে পারে। যে দেশে মরুভূমি আছে সে দেশের জীবনযাত্রা আর নদীমাতৃক দেশের...
Lifestyle
১। যখন বিদায় বলবেনঃ
কয়েক সেকেন্ডের জন্যে জড়িয়ে ধরুন।
২। মর্যাদার অনুভূতিঃ
যখন আপনার সঙ্গিনীর মন খারাপ তখন তার সাথে খুব ভালো ভাবে কথা বলুন। যাতে সে মনে করে যে...
অবসাদ কাটানোর ১১টি উপায়
বর্তমান যুগ এতই ব্যস্ত যে অনেক সময়ই নিজের প্রিয়জনকে শুধু ঘুমানোর জন্যে কাছে পাওয়া যায়। আর যারা বিভিন্ন মেসে থাকেন তাদের তো কথায় নেই, মাসের পর মাস লেগে যায় প্রিয়জনের সাথে দেখা হতে। তাছাড়া এই প্রতিযোগিতামূলক জীবনে ক্যারিয়ার গড়ার চিন্তা তো রয়েছেই। এজন্য অনেকেই হতাশায় ভোগেন। আসুন জানা যাক এই অবসাদ কাটানোর ১১ টি উপায়ঃ
১। একজন পরামর্শদাতা খুজুনঃ
ভীত বা লজ্জবোধ করবেন না! আপনার অনেক গুরুতর শারীরিক সাহায্যের প্রয়োজন হলে একজন পরামর্শদাতাই আপনাকে সাহায্য করতে পারে। তার কাছে আপনি বলতে পারবেন নিজের জীবনের অনেক কথা যা অনেক সময় নিকট আত্নীয় বা বন্ধুকেও বলা যায় না। বলার অপেক্ষা রাখে না যে বিষণ্নতা একটি রোগ, অন্ধকারাছন্নময় জগত। তাই এটি যত তাড়াতাড়ি দূর করা যায় ততই মঙ্গল।
২। বাইরে অনেকদূর পর্যন্ত হাটুনঃ
অনেক ডাক্তার রোগীদেরকে নিয়মিত ব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আপনাকেও হয়ত বলতে পারে সময় কাটানোর জন্য ব্যায়াম করতে। কিন্তু সবচেয়ে ভাল হয় বাইরে বের হয়ে অনেকদূর পর্যন্ত হাঁটাহাঁটি করতে। এতে আপনার ভাল ব্যায়াম তো হবেই সাথে পাবেন প্রকৃতির সাথে আপনার মনের যোগসূত্র। আপনার শরীর ও আত্নাকে প্রকৃতির সাথে যুক্ত হওয়ার অনুমতি দিন। আপনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভালবোধ করবেন।
৩। সূর্যের দ্বারা আপনার ত্বক গরম করা যাকঃ
এটা ডাক্তারি মতে সত্যি যে ভিটামিন ডি এর অভাবে আপনার ভেতর বিষণ্নতা কাজ করতে পারে। যারা বাইরে বেশি সময় কাটান, প্রচুর ফ্যাটি মাছ খান তাদের ভেতর ভিটামিন ডি এর পরিমাণ বেশি হওয়ায় বিষণ্নতা কমবোধ করেন। এই ভিটামিন ডি খুব সহজেই পেতে পারেন সূর্য থেকে। তাই সূর্যের দ্বারা আপনার ত্বক গরম করা যাক এবং বিষণ্নতা তাড়িয়ে দিন।
৪। অনেক বই পড়ুনঃ
বিষণ্নতা তাড়াতে বইয়ের সাহায্য...[…]
ভালোবাসার মানুষকে যা বলবেন না
খুব অজান্তেই আপনি আপনার মনের মানুষটির মনে আঘাত করে বসতে পারেন। অথচ আপনি আপনার মনের মানুষটিকে খুবই ভালবাসেন। কিন্তু তারপরও আপনার সামন্য ব্যবহারে আপনার সঙ্গীটি মনে আঘাত পেতে পারে। আর এ আঘাত আপনি নিশ্চয় তাকে দিতে চান না। তাহলে জেনে নিন সঙ্গীর সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক ধরে রাখতে আপনি কোন ব্যাপারগুলোতে সতর্ক থাকবেন। এগুলো হলো:
১. আপনার সঙ্গী আপনার চেয়ে কোন একটি ব্যাপারে ছোট হতেই পারেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা, সামাজিক পদমর্যাদা, উচ্চতার দিক দিয়ে ছোট কিংবা কম বেতন পান ইত্যাদি। কিন্তু ছোট হলেই এসব ব্যাপারে কখনোই খোটা দেবেন না। এতে তিনি মনে আঘাত পেতে পারেন, তেমনি সংসার ভেঙ্গে যাওয়ারও ভয় থাকে।
২. আপনি যেমন অনেক সময়ই নিজের আয় ব্যয় সম্পর্কে জবাবদিহি করতে চান না তেমনি সঙ্গীর আয়-রোজগারের ব্যাপারে যতটা সম্ভব কম কথা বলুন। তার আয় কম, সংসার চলছে না, আয় বাড়াতে হবে ইত্যাদি কখনোই বলবেন না। তাছাড়া আপনার সঙ্গী কীভাবে খরচ করবে, কেন খরচ করবে এসব নিয়ে বেশি কথা জিজ্ঞেস করে বিরক্ত করবেন না। আর বারবার অর্থনৈতিক ব্যাপারে কাউকে উত্যক্ত করা মানে তাঁকে ছোট করার চেষ্টা করা। তাই এ কাজটি করা থেকেও বিরত থাকুন।
৩. আপনি যেমন আপনার পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজনকে ভালবাসেন, তেমনি আপনার সঙ্গীও তার পরিবার-পরিজনকে ভালবাসে। তাই একে অপরের আপনজনদের নিয়ে খারাপ কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। আর অবশ্যই বাইরের কারো সামনে তাকে ছোট করে কটু কথা না বলাই ভাল। এতে আপনার প্রিয় মানুষটি আপনার উপর ক্ষুব্ধ হতে পারেন।
৪. কখনোই নিজের মনের মানুষটির সাথে অন্য কোন মানুষের তুলনাতে যাবেন না। কারণ মনের মানুষ সবসময়ই তুলনাহীন। অনেকেই বলেন, দেখ মানুষকে তোমার চেয়ে কত ভাল লাগছে আর...[…]
মাত্র ৫ টি ধাপ মানলেই চলে যাবে আপনার টেলিভিশন আসক্তি
একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশের মানুষ শুধুমাত্র বিটিভি দেখত। ফলে টিভি দেখার সময় ছিল ধরাবাঁধা। কিন্তু এখন স্যাটেলাইট এবং বাংলাদেশী চ্যানেলের ভীড়ে টিভি দেখার সময় বেড়ে গিয়েছে অনেকাংশে। এর মাধ্যমে অনেকের জীবন থেকে মূল্যমান কিছু সময় টিভি দেখার পিছনেই চলে যায়। যারা এরকম সমস্যায় আক্রান্ত তারা নিচের ৫ টি ধাপ মেনে চললেই এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।
১। প্রথমে চেষ্টা করুন সপ্তাহে অন্তত একদিন অন্তত টিভি না দেখে থাকুন। কিন্তু সেইদিন অবশ্যই সেটার পরিবর্তে অন্যান্য কাজ করুন যা আপনাকে আনন্দ দেয়। কোন ধরনের সিরিয়াস কাজ সেদিন করবেন না। আপনার যদি ছেলে মেয়ে থাকে তবে তাদের সাথে খেলে সময় কাটান। আর যদি আপনি স্টুডেন্ট হন তবে মজাদার কোন বই পড়ুন, গীটার বাজান ইত্যাদি।
২। বেশিরভাগ মানুষেরই প্রিয় টিভি শো থাকে। টিভি দেখা বন্ধ করার আগে তা অবশ্যই দেখতে থাকুন। কিন্তু সেটি সম্প্রচার একবার বন্ধ হয়ে গেলে সেই সময়ে অন্য কোন টিভি শো দেখা বন্ধ করে দিন। এসময় হালকা ব্যায়াম, কোন শখের কাজ বা বন্ধুদের ফোন করে সময় কাটান। দেখবেন অনেক আত্নতৃপ্তি আসবে।
৩। এখনকার প্রায় সব টিভিতেই টাইমার সেট করা যায়। টিভি টাইমার দিয়ে আপনার সময় নির্দিষ্ট করে দিন। টিভি যখন নিজে নিজেই বন্ধ হয়ে যাবে তখন টিভির সামনে থেকে উঠে পড়ুন এবং প্রয়োজনীয় কাজ করুন।
৪। অনেকেরই মনে সব সময় কাজ করতে থাকে যে, একটু দেখি টিভিতে কি হচ্ছে, দেখেই রেখে দিব। কিন্তু ভেবে দেখুন এর মাধ্যমে অনেক সময় নষ্ট হয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্যে নিজেই নিজের একটি টিভি গাইড বানিয়ে ফেলুন। দেখবেন অযথা টিভির পাশে ঘোরাফেরা আর করবেন না।
৫। আপনার হাতে যখন নিজস্ব একটি টিভি গাইড থাকবে তখন...[…]
প্রতিবন্ধীতা কোন রোগ কিংবা অসুখ নয়
সমাজে পরিপূর্ণ অংশগ্রহণ ও সম অধিকারের লক্ষ্য পূরণে প্রতিবন্ধী দিবসটি পালন করছে জাতিসংঘ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিবন্ধী মানুষদের অধিকার নিয়ে কর্মরত বিভিন্ন সংগঠনগুলো প্রতি বছর নতুন একটি শ্লোগানকে সামনে রেখে নানান কর্মসূচি পালন করে থাকে।
জাতিসংঘ ১৯৮৩ থেকে ১৯৯২ অব্দি প্রতিবন্ধী মানুষের উন্নত জীবন বাস্তবায়নে জন্য সম্পূর্ণ একটা দশক পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। এটি শেষ হয় ১৯৯২ সালের ১৪ অক্টোবর তখন জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ৩ ডিসেম্বরকে “আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস” ঘোষণা করা হয়।
“আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস” এই নাম পরিবর্তন করে ২০০৭ সাল থেকে প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার বা মর্যাদা রক্ষার সিআরপিডি সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এর নতুন নামকরণ হয় “International Day for Persons with Disabilities” যার বাংলা হয় “প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক দিবস” যা বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে ২০০৮ সালের ৩ ডিসেম্বর থেকে অদ্যবধি। অন্যান্য দেশের মত আমাদের দেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতি বছর পালিত হচ্ছে “আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস”।
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ও (এপ্রিল মাসের প্রথম বুধবার) জাতীয় এই দুই ভাবেই “প্রতিবন্ধী দিবস” পালন করা হয়। আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা, র্যালী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি।ভিন্নভাবে সক্ষম মানুষগুলোর জন্মগত অধিকার, বৈষম্যহীনতার প্রতি সম্মান, সমসুযোগ, সম অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনতার প্রতি সম্মানের মূলনীতিই এ দিবস পালনের উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশের মত দরিদ্র দেশে প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিগণ পদে পদে বাঁধার শিকার হচ্ছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, কর্মস্থলে, যাতায়াত ব্যবস্থায় এমনকি পরিবারেও নানা ভাবে তারা বঞ্চিত। দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণের জন্য তাদের নামতে হয় জীবিকা নির্বাহের কাজে কিন্তু সেখানে নেই তাদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা যার ফলে অধিকাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে বেছে নিতে হয় ভিক্ষাবৃত্তি। নারী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণ সবচেয়ে বেশী সমস্যার স্বীকার হন। সাংসারিক জীবনে প্রবেশের পথে বাধা হয়ে দাড়ায় তাদের প্রতিবন্ধিতা। অভিভাবক অতিরিক্ত যৌতুক দিয়ে প্রতিবন্ধী মেয়ের বিয়ে দেন। কিন্তু...[…]
মনের সুস্থ্যতা
মনের সুস্থতা একটি অতি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। মানসিক দক্ষতা বাড়ানো এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য কিছু উপায় অবলম্বন করা আবশ্যক। নিজের মন ও শরীর ভালো রাখার জন্য সাধারণ কিছু বিষয় আমাদের মেনে চলা উচিত। আর এর জন্য কিছু সময় ব্যয় করে বোঝার চেষ্টা করুন এ উপায়গুলো আপনার ওপর কতটুকু প্রভাব ফেলছে-
*অধিকাংশ সময় আমরা সরাসরি না বলে কিছু কথা ঘুরিয়ে বলে থাকি। যা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সরাসরি কথা বলার অভ্যাস করুন।
*কাজ করুন সহজ উপায়ে। অনেক সময় আমরা কাজ কঠিনভাবে করি যা আমরা সহজভাবেও করতে পারি। সহজ উপায়ে কাজ করার অভ্যাস আমাদের মানসিক জটিলতা থেকেও মুক্ত রাখে।
*আন্তরিকভাবে কাজ করার চেষ্টা করুন। শুধুমাত্র দায়িত্ব পালনের কথা না ভেবে, পারস্পারিক দ্বন্দ্ব মিটিয়ে কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করুন।
*সম্মানের ভয়, খ্যাতির বিরম্বনা, লাভের তীব্রতা এবং রাগ ও হতাশার ক্ষেত্র, এই অনুভূতিগুলো ক্ষতিকর। এগুলো নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তা করবেন না।
*যতটুকু পারেন ততটুকু করার চেষ্টা করুন। যখন আপনি আপনার সাধ্যমতো চেষ্টা করবেন তখন আপনার সম্পূর্ণ মনোযোগ থাকবে কাজের প্রতি। আসলে আমরা প্রতি মুহূর্তে নিজের সাধ্যকে অতিক্রম করার চেষ্টা করি। তাই চেষ্টা করুন নিজের সাধ্যমতো কাজ করতে। সব সময় মনে রাখবেন আপনি আপনার চারপাশের অবস্থাকে কখনই অতিক্রম করতে পারবেন না।
*নিজের প্রতি সচেতন থাকুন কিন্তু সতর্ক নয়। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার একটি উপায় হলো নিজের প্রতি খেয়াল রাখা। এটা সিদ্ধান্ত নিতে এবং নিজের অনুভূতিকে উপলব্ধি করার জন্য সহায়ক। আবার যারা মাত্রাতিরিক্ত আত্মসচেতন তারা সিদ্ধান্ত নিতে এবং কাজে পদক্ষেপ নিতে দুশ্চিন্তায় ভোগে। সেক্ষেত্রে আত্মসতর্কতা কাজ করার ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তাহীন মানসিকতার পরিচয় দেয়।
*নিজেকে প্রশ্ন করুন? দেখুন আপনার মনোবল এবং শক্তি আপনাকে কী উত্তর দিচ্ছে এবং সেটি সঠিক কিনা?[…]
সকালটা হোক শান্তিময়
আপনার সব কিছু যদি সঠিক চলমান না থাকে তাহলে আপনার প্রতিটি সকালই হবে আপনার জন্য এলোমেলো... অনেকেই হয়তো সকালটা শুরু করেন ক্লান্তি ও চাপ নিয়ে এবং সারাটা বেলা সেভাবেই। কিন্তু এমনটি হবে না যদি আপনি নিজেকে নিয়মের মাঝে আবদ্ধ করে ফেলেন। চলুন জেনে নেই কিছু পদক্ষেপ...যা আপনাকে এনে দিবে পারফেক্ট জীবন-
*রাতেই প্রতিদিনকার প্রয়োজনীয় সবকিছু তৈরি করে রাখুন। যেমন – কাপড় আয়রন করে রাখা, দুপুরের খাবার তৈরি রাখা, দরকারি চাবি জায়গামত রাখা, স্বাস্থ্যকর নাস্তা তৈরির চিন্তা করা ইত্যাদি। এসব কাজ সম্পন্ন করতে হয়তো আধাঘন্টার বেশি লাগবে না। কিন্তু এই কিছু সময়ের প্রস্তুতি আপনার সকালটা ঝামেলা মুক্ত রাখবে।
*প্রতিদিন একটি কাজের তালিকা তৈরি করুন যা আপনার আগামী দিনের জন্য আবশ্যিক। সেসব কাজকে প্রাধান্য দিন সে তালিকায় যা আপনার অবশ্যই করতে হবে। অবশ্যই অযথা কাজ তালিকায় রাখবেন না যা না করলেও চলবে।
*যদি আপনার আশেপাশে এমন সাউন্ড হয় যা শুনে প্রতি সকালেই আপনি বিরক্ত হন, তবে তার সমস্যার সমাধান দ্রুত করুন। এমন বিরক্তিকর পরিবেশ চাইলেই খুব সহজেই পরিবর্তন করা যায়, যা আপনার সকালের একটি ভালো সূচনা করবে।
*প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণ না ঘুমোনোর কারণে অনেকের সারাদিন মেজাজ খিটখিটে থাকে। এছাড়া, খুব অল্পতেই হাঁপিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ সঠিক ঘুমের অভাব। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
*যখন সাধারণত ঘুম থেকে উঠলে চলবে মনে করে উঠেন, সে সময় থেকে অবশ্যই তিরিশ মিনিট আগে উঠার অভ্যাস করুন। কারন এই সময়টা আপনাকে মানসিকভাবে সবক্ষেত্রে এগিয়ে থাকার শক্তি প্রদান করবে।
*এক গ্লাস পানি ঘুম থেকে উঠার পরপরেই পান করুন। যেহেতু আমাদের দেহের ৬০%-৭০% পানি দিয়ে গঠিত, সেহেতু সকালের এই পানি পানে আপনার শরীরে যোগ হয় এক গ্লাস জীবনী শক্তি। আজ থেকে...[…]