*অনেকে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে জিমে দৌড়ান। যা একেবারেই করা উচিৎ না।
*ঘুম থেকে ওঠার পর নিজেকে একটু সময় দিন। সাধারণত ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর স্বাভাবিক হতে একটু সময় নেয়।
*ফিটনেস এক্সপার্টদের মতে, সকালে উঠে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ রেখে চুপ করে থাকুন। বেশ কয়েকটি ডিপ ব্রেথ নিন।
*ঘরের উষ্ণতায় রাখা পানি পান করুন। তারপর কাজ শুরু করুন।
*ঘুম থেকে ওঠার পর আমাদের মাংসপেশি, বিশেষত মেরুদণ্ড একটু স্টিফ হয়ে থাকে। ফলে উঠে বসার আগে একটু স্ট্রেচ না করলে এই স্টিফনেস সারা দিন থাকতে পারে। তাই বিছানায় শোয়া অবস্থায় ৩-৪ বার একটু হাল্কা স্ট্রেচ করে তার পর উঠুন।
*ঘুম থেকে উঠেই সবার আগে চা একদম নয়। রাতে খাবার পর দীর্ঘক্ষণ না খাওয়ার ফলে আমাদের শরীর অ্যাসিডিক হয়ে থাকে। ফলে দুধ-চিনি দেয়া চা বা কফি আমাদের শরীরকে আরও অ্যাসিডিক করে তোলে। তার বদলে বেশ খানিকটা পানি, লাইম জুস খেতে পারেন।
*ঘুম থেকে উঠেই- কে কী মেইল করল, কার মেসেজ এলো এসব চিন্তা দূরে রাখুন। সকালে উঠে পৃথিবীর সমস্যা সমাধান করতে গেলে নিজের সমস্যা বাড়াবেন। মনস্তাত্ত্বিকদের মতে, এতে মেজাজ রুক্ষ হয়ে যায়। সুতরাং মোবাইল দূরে রাখুন।
*ব্রেকফাস্ট না করার যদি অভ্যাস থাকে তো এখনই পাল্টে ফেলুন। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ব্রেকফাস্ট যারা করেন না তারা স্থুলতা, ডায়াবেটিক এবং অল্পতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘুম থেকে উঠে ব্রেকফাস্ট করলে শরীর একেবারে চাঙ্গা থাকবে। কয়েকটি ভেজানো কাঠবাদাম, রুটি-তরকারি বা ফল ইত্যাদি খেতে পারেন।
*কোন কারনে সকাল সকাল মেজাজ খারাপ হলেও নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। অনেকের স্বভাব থাকে সকালে খুব বেশি আওয়াজে গান চালানোর। এটাও ত্যাগ করুন। সঙ্গীত অবশ্যই ভালো। তবে সব সঙ্গীত নয়। সকালে উঠে পাখির ডাক শুনুন, হালকা রাগ সঙ্গীতও খুব উপকারী।
*সকালে উঠেই সারাদিনে কী করবেন তার তালিকা নিয়ে ব্যস্ত হবেন না। তাহলেই সব তাল গোল পাকানোর আশঙ্কা থাকে। মাথাও এতে কম কাজ করে। রাতেই এর তালিকা করে রাখুন।
*অনেকে মনে করেন, সকাল সকাল এক কাপ কড়া কালো কফি খেলে চাঙ্গা হয়ে উঠবেন। কিন্তু খালি পেটে ধূমপান বা কড়া কফি আপনার শরীরকে পুষ্টি থেকে কয়েক যোজন দূরে সরিয়ে দেবে। ফলে খালি পেটে আগে পানি খান।
...সকাল বেলা যদি আপনার ভালো যায় তাহলে সারাদিনটাই ভালোভাবে কাটার সম্ভাবনা থাকে। তবে ভালো থাকাটা নির্ভর করছে একান্ত আপনার ওপর।