*খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিল চিকেন আর মটনের আইটেম। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে। এর পরিবর্তে খাদ্য তালিকায় রাখুন মাছ। তবে কড়া করে মাছ ভাজার পরিবর্তে হাল্কা ভেজে মাছের ঝোল, বা সবজির সঙ্গে সেদ্ধ মাছ খেতে পারেন। পাশাপাশি মাসে একদিন চিকেন খান।
*ফলের মধ্যে থাকা ভিটামিন আর অন্যান্য পুষ্টিগুণ শরীরের পক্ষে সহায়ক। ফ্রুট সালাদ বানিয়ে খেতে পারেন। আম, কলা আনারস, পেঁপে, পেয়ারা, সফেদা, বেদানা রাখুন ফলের তালিকায়।
*প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমান। কারণ ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে যারা অল্প ঘুমায় তাদের দ্রুত ক্ষুধা পায়।
*চেষ্টা করুন কম তেল ও কম মশলায় খাবার রান্না করতে। এছাড়া আপনার ওজন, উচ্চতা ও রোগ-ব্যাধি অনুযায়ী কী ধরনের খাবার খাওয়া উচিত, সে ব্যাপারে অভিজ্ঞ ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিন।
*স্বাস্থ্যের অতিরিক্তি ওজন কমানোর জন্য চিনি খাওয়া ত্যাগ করুন। সকালের চায়ে এক চামচ চিনি চললেও সারাদিনে যতটা সম্ভব বাদ দিন চিনি। মিষ্টি, চকলেট, পিৎজা, বার্গার, পেস্ট্রি মাসে একবার খেতে পারেন। এসব খাবার নিয়মিত বা সাপ্তাহিক তালিকা থেকে বাদ দিন।
*খাবারের তালিকায় বৈচিত্র্য রাখুন। একই খাবার দিনে তিনবার খেলে কিন্তু কোনো উপকার হবে না। খেয়াল রাখবেন ব্রেকফাস্টে কার্বোহাইড্রেট, লাঞ্চে প্রোটিনের মাত্রা যেন ঠিক থাকে। বিকেলের খাওয়া বাদ দেবেন না। হাল্কা নাস্তা করতে পারেন এ সময়ে। আর খাওয়ার সময় আস্তে আস্তে চিবিয়ে খান। তাহলে নিজেকে ভয়ংকর ক্ষুধার্ত মনে হবে না।
*নিয়মিত ব্যায়াম করুন। কেননা ডায়েটিং করলেন আর সারাদিন ঘুমালেন, তাহলে ওজন কমানোর চেষ্টাটাই ব্যর্থ। সকালে হাল্কা ব্যায়াম করুন। একান্তই যদি না পারেন তাহলে অন্তত ৩০ মিনিট হাটাহাটি করুন।